চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন দলের যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে হচ্ছে দলীয় একটি সূত্রে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ‘অফ দ্যা রেকর্ডে’ কেন্দ্রীয় বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘দলের প্রয়োজনে কেন্দ্রে কিছু রদবদল করা হতে পারে। নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কিছুই শোনা যাচ্ছে। এতে কারো নাম বাদ পড়বে আবার কারো নাম যুক্ত হবে। তবে সবকিছু তারেক রহমানের হাতেই।’
ওই সূত্রটি বলছে, কেন্দ্রীয় বিএনপিতে কিছু পরিবর্তন আসছে। কেউ বাদ পড়ছেন, কেউ যুক্ত হচ্ছেন। চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। সঙ্গে আছেন সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। যদিও এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি নগর বিএনপির কেউ।
এর আগে, নগর কমিটি বিলুপ্তির পরপরই বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছিল, ডা. শাহাদাত হোসেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে চলে যেতে আগ্রহী। কোন কারণে নগরের সভাপতি করা হলে একই সাথে তাকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা কিংবা যুগ্ম মহাসচিবের পদ দিলে তাতে তিনি আগ্রহ দেখাতে পারেন। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ‘মুক্ত’ রাজনৈতিক পরিবেশ পেয়েছে বিএনপি। এমন সুযোগে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ফেরার পাশাপাশি দলকে ‘শক্তিশালী’ করতে চায় শীর্ষ নেতৃত্ব। দলকে আরো ‘চাঙ্গা’ করতে কেন্দ্রে ‘অন্তর্ভুক্ত’ করা হচ্ছে ‘ত্যাগী’ নেতাদের।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির এক নেতা বিষয়টি ‘নিশ্চিত’ করলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শুনেছি উনাকে (শাহাদাত) যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দলে ‘অন্তর্ভুক্ত’ করা হচ্ছে। তবে শতভাগ সত্য কিনা সেটি জানতে কেন্দ্রের ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
নগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘শাহাদাত ভাইয়ের বিষয়টি (যুগ্ম মহাসচিব) সম্পর্কে জানি না। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের জন্য যেটা ভালো মনে করবেন; তিনি সেটাই করবেন।’ তিনিও কেন্দ্রের কোনো পদে ‘অন্তর্ভুক্ত’ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ‘এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না’ বলে জানান সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাতে হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।