আজঃ শনিবার ১৫ মার্চ, ২০২৫

মেডিকেল সনদ, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট এর জন্য ৯৬৫টি মামলার কার্যক্রম আটকে আছে

ডেস্ক নিউজ:

তদন্তে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ

চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে ৬ মার্চ বিকেল ৪ ঘটিকায় আদালতের সম্মেলন কক্ষে একনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ রবিউল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের মাননীয় মহানগর দায়রা জজ জনাব ড. বেগম জেবু্ননেছা। আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মনীষা মহাজনসহ চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে কর্মরত বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিজ্ঞ অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর জনাব দুলাল চন্দ্র দেবনাথ। কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন, পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, কারা প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক মেডিসিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিটিসিএল,সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ।

কনফারেন্সের শুরুতে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ রবিউল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, মেডিকেল সনদ, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট এর জন্য ৯৬৫টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আটকে আছে। তিনি ৯৬৫টি মামলার তালিকা উপস্থাপন করে দ্রুততম সময়ে মেডিকেল সনদ, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।পাশাপাশি, তিনি চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরকেও পরিবেশ আইন প্রয়োগে তৎপর হওয়ার আহবান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা মামলার তদন্তে শুধুমাত্র আসামীর দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির উপর নির্ভর না করে তদন্তে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। কনফারেন্সে সকল অংশীজন আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন, সাক্ষীদের নিরাপত্তা, তদন্ত ও বিচারকাজে বিদ্যমান নানান প্রতিবন্ধকতা এবং এর কার্যকর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সালিসীদের বাঁধার মুখে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রীর পরিবার আইনি সহায়তা নিতে পারছেন না!

সালিসীদের বাঁধার মুখে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রীর পরিবার আইনি সহায়তা নিতে পারছেন না!অভিযুক্তর নাম, মানিক লাল দাস (৩০)। সে সুনামগঞ্জের শাল্লার উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের পুটকা গ্রামের প্রভাবশালী সুদর্শন দাসের গুণধর ছেলে।

শনিবার শাল্লার ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় এলাকার লোকজন জানান, শাল্লার প্রত্যন্ত এলাকায় স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া দরিদ্র পরিবারের এক শিশু কন্যাকে তাদেও বাড়ির পাশেই মায়ের সামনে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধায় উপজেলার পুটকা গ্রামের বখাটে মাদকাসক্ত মানিক লাল দাস জোর পূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।

বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার রাতেই পুটকা গ্রামে থাকা ভিকটিমের এক আত্বীয়ের বাড়িতে সালিস বৈঠকে বসেন গ্রামের তিন পাড়ার কয়েকজন প্রভাবশালী সালিসীগণ।
ওই সালিস বৈঠকে স্থানীয় ইউপি সদস্য দ্বিজেন্দ্র সহ গ্রাম্য সালিসী রণজিৎ সরকার,বকুল দাস,বিকাশ দাস, সচিন্দ দাস, রানু দাস, কৃষ্ণপদ দাস, রাজ কুমার দাস, সোম চাঁদ দাস, সুনিল দাস, ইন্দ্রজিৎ দাস, সজল দাস, আশিষ দাস কেনু দাস সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী পরিবারের বখাটে মানিক লাল দাসকে সালিস বৈঠকে আনা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে সালিসীগণের সামনে মানিক উপস্থিত হলেও ছিলেন নেশাগ্রস্থ্য। ভবিষ্যতে এ ধরণের আর কোন ঘটনা ঘটাবেনা মানিক, ভিকটিমের পরিবার যেন থানায় গিয়ে অভিযোগ না করে এসব বলে কোন রকম ধামাচাঁপা দিয়ে সালিসের সমাপ্তি ঘটে ওই রাতে।

তবে এ ধরণের ঘটনায় ধামাচাঁপা বিষয়টি কোন কোন সালিসীগণ এমনকি গ্রামের মানুষজন অনেকটা উদ্ভেগ প্রকাশ করে বললেন, এঘটনার পুর্বেও গ্রামে কমপক্ষে তিনটি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটিয়েছে মানিক লাল দাস। বরাবরই পারিবারীক প্রভাবে প্রতিটি ঘটনা এভাবেই ধামাচাঁপা দেয়া হয়েছে।

শনিবার শাল্লার পুটকা গ্রামে গেল বৃহস্পতিবার রাতে সালিসে উপস্থিত থাকা রণজিৎ সরকার বলেন, সালিসে আমি একা নই ইউপি সদস্য দ্বিজেন্দ্র বাবু সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সালিসীগণ গ্রামবাসীকে নিয়ে সালিসে বসার পর অভিযুক্ত মানিককে সালিনস বৈঠকে উপস্থিত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নেশাগ্রস্থ্য হয়ে সালিসীগণ ও গ্রামবাসীর সামনে উপস্থিত হয়েছেন মানিক লাল দাস।

শাল্লার পুটকা গ্রামে সালিস বৈঠকে থাকা বিকাশ দাস বলেন, ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি এভাবে ধামাচাপা দেয়া আদৌ ঠিক হয়নি। তিনি আরো বলেন, গ্রামের অনেক নারী , কিশোরী, শিশুকন্যারা মানিক লাল দাসের ভয়ে শঙ্কিত হয়ে বসবাস করছেন।

শাল্লায় প্রত্যন্ত গ্রামে যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া শিশুকন্যা ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বললেন, এরকম ঘটনা শুনে মর্মাহত হয়েছি, ভিকটিমকে আইনি সহায়তা দিতে আইন শুস্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করি, যেন ভবিষ্যতে এ ধরণের অপকর্ম করার মত দু:সাহস দৃষ্টতা যেন কেউ দেখাতে না পারে, এসব ঘটনা যেন আর দেশবাসীকে আর দেখতে হয় না হয় ।

শনিবার ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর পরিবার জানায়, আমরা আইনি সহায়তা পেতে থানায় াভিযোগ করতে চাইলেও গ্রাম্য সালিসীগণের কারো কারো নিষেধ থাকায় থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে পারছিনা।
শনিবার সকালে জানতে চাইলে শাল্লা থানার ওসি মো..শফিকুল ইসলাম বলেন,এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চালিয়েও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

সুনামগঞ্জে মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু কন্যাকে শ্রেণিকক্ষে ধর্ষণ চেষ্টা,অভিযুক্ত গ্রেফতার।

মাদ্রাসায় পড়ুয়া নয় বছর বয়ষী এক শিশু কন্যাকে শ্রেণিকক্ষে ধর্ষণ চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার ভোররাতে এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সাবুল সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামের ছমরু মিয়ার ছেলে।

শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।শনিবার ছাতকের ভিকটিম শিশু কন্যার পারিবারীক সুত্র জানায়, শুক্রবার সকাল আটটার দিকে গ্রামের স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়তে যায় ৯ বছর বয়সী শিশু কন্যা।

উপজেলার জহিরপুর গ্রামের বখাটে সাবুল ফাঁকা মাদ্রাসায় দ্বিতীয় তলার শ্রেণিকক্ষে জোর পূর্বক ওই শিশু কন্যাকে ধরে নিয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষেই ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।
চিৎকার করে কৌশলে শ্রেণিকক্ষ থেকে দৌড়ে পালিয়ে এসে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায় ওই শিশুকন্যা।
এরপর পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসা কতৃপক্ষ, শিক্ষকদের, গ্রামবাসীকে ঘটনাটি জানানোর পর তারাবির নামাজের পর ওই ঘটনায় গ্রামে সালিস বৈঠক ডাকা হয়।

তারাবির নামাজের পর রাত সাড়ে ৯টা থেকে দশটার ভেতর সালিসে কয়েক শতাধিক লোকজন উপস্থিত হন।
ঘটনা শুনে সালিসে উপস্থিত থাকা লোকজন উক্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত’র গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বসতবাড়িতে ভাংচুর চালায়।

এদিকে ছাতক থানার জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার জহিরপুর এলাকা থেকে শনিবার ভোররাতে অভিযুক্ত সাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেন।
শনিবার সকালে ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, গ্রেফতার সাবুলকে ছাতক থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ