আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র ধনসাম্য,বিচারসাম্য, ধর্মসাম্য এবং উসুলে বা সপ্ত পদ্ধতি জগতের সামনে তুলে ধরার যোগ্যতা, সক্ষমতা ও তৌফিক কামনা করেন হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী (মাঃ)—–

প্রেস রিলিজ

পবিত্র ঈদ উল ফিতর এর পরের দিন, শাওয়াল মাসের প্রথম জুমার নামাজ আদায় শেষে দরবারে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র গাউসিয়া হক মনজিল এর কেন্দ্রীয় মিলাদ কিয়াম শেষে মুনাজাত পরিচালনাকালে হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র প্র-প্রপৌত্র, গাউসিয়া হক মনজিল এর সম্মানিত সাজ্জাদানশীন হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী (মাঃ) হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র প্রবর্তিত উসুলে সাবআ-সপ্তপদ্ধতি-র মর্মার্থ, আমরা যাতে নিজেদের ভিতর ধারণ করতে পারি,লালন করতে পারি,দিকে দিকে পৌঁছে দিতে পারি সেই তৌফিক কামনা করেন এবং এই মহান আদর্শের উপকার-আমাদের সমাজের জন্য এর প্রয়োজনীয়তা-এই মহান শিক্ষার অভাবে আমাদের সমাজ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে-সেই দিকে আমরা (সমাজের) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি,উপযুক্তভাবে তুলে ধরতে পারি সেই যোগ্যতা আমাদের দান করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহুতাআলার দরবারে ফরিয়াদ করেন।

হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র ত্বরীকার দাওয়াত দিকে দিকে তুলে ধরার, পৌঁছে দেওয়ার যোগ্যতা,সক্ষমতা কামনা করে হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ কোরআন এবং সুন্নাহ -র আলোকে যুগোপযোগীভাবে ইসলামকে যেভাবে বিশ্বের কাছে প্লেইস করেছেন- মাইজভান্ডারী ত্বরীকার মাধ্যমে,সকলে সেই আদর্শকে যাতে দিকে দিকে পৌঁছে দিতে পারে আল্লাহ সুবহানাহুতাআলার দরবারে সেই তৌফিক কামনা করেন।

তিনি আদলে মোতলাক,বিচার সাম্যতা,সকলের উপর ন্যায় বিচার করার, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের উপর ন্যায় বিচার করতে পারার, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য-দিকে দিকে পৌঁছে দিতে পারার সেই তৌফিক কামনা করেন।

তিনি ধন-সাম্য,ধনের যেই জাতি গঠনের জাতীয় সম্পদ- যার মৌলিক মানবাধিকার-(যার) যতটুকু ধনসম্পদ প্রয়োজন, প্রত্যেকের কাছে যাতে সেই ধনসম্পদ পৌঁছে দিতে পারে, সেই পর্যন্ত সমাজকে গড়ে তুলতে পারে, হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র সেই শিক্ষাটা যাতে সকলের কাছে তুলে ধরতে পারে সেই সামর্থ্য দান করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহুতাআলার দরবারে ফরিয়াদ করেন।

তিনি তাওহীদে আদ্যিয়ান, ধর্মসাম্য,সকল ধর্মের যে, মূল যে আহ্বান-স্রষ্ঠার আনুগত্য, সেই আহবানের ভিত্তিতে সকলে যাতে আমরা নিজ নিজ দ্বীনের কারণে,দ্বীনের জন্য, সংঘাতহীনভাবে,এই জগতের কল্যাণ করতে পারি,সংলাপ করতে পারি সেই তৌফিক কামনা করে কোরআান-সুন্নাহর আদর্শ তথা হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র তাওহীদে আদ্যিয়ান- এর এই শিক্ষাকে আমরা যাতে জগতের সামনে তুলে ধরতে পারি আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা দরবারে সেই তৌফিক কামনা করেন।

তিনি আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা -র আউলিয়ায়ে কেরাম এর শিক্ষার, আদর্শের অনুপ্রাণিত মানবসন্তান হিসেবে, মানবজাতির খাদেম হিসেবে, ত্বরীকতের খাদেম হিসেবে, উম্মাহ্-র খাদেম হিসেবে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (কঃ)-র গোলামরা যাতে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে সেই তৌফিক কামনা করার সাথে সাথে জালেমের জুলুম থেকে , মিথ্যা মামলা-মোকাদ্দমা থেকে হেফাজত করার জন্য এবং প্রত্যেকের দ্বারা যাতে কোন জুলুম সংঘটিত না হয়, সেই অবস্থা থেকে প্রত্যেককে হেফাজত করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহুতাআলার দরবারে ফরিয়াদ জানান ।

তিনি সকলকে আর্থিক সংকট হতে উদ্ধার, কর্মময় জীবন দান,কর্জমুক্ত জীবন দান,ঋণমুক্ত থাকার তৌফিক দান,হালাল রিজিকের মাধ্যমে পিতা-মাতা পরিবারের উপযুক্ত খেদমতের তৌফিক দান এবং দুনিয়াবী সংকট হতে উদ্ধার করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহুতাআলার দরবারে ফরিয়াদ করেন।

মিলাদ কিয়াম ও মুনাজাত শেষে তিনি আগত ভক্ত জায়েরীণদের সাক্ষাৎ প্রদান ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আগত হাজারো ভক্ত জায়েরীণ ও সাধারণ মুসল্লীগণ এর জন্য তবাররুকাত এর ব্যবস্থা করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

‎শাহজাদপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে দলিল পুড়িয়ে ধ্বংস।


‎সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মালিক শনাক্ত না হওয়া বিপুল সংখ্যক নিবন্ধিত দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
জানা যায় ২০১৭ ও ২০১৮ সালে নিবন্ধিত এসব দলিল ডেলিভারি না নেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অফিসে জমিয়ে রাখা ছিলো। মালিকানা যাচাইয়ের জন্য একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নির্ধারিত সময়ে কেউ উপস্থিত না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ দলিলগুলো ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেয়।

উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেছেন, মালিকবিহীন দলিল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নেই এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এড়াতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ প্রকাশ, সময়সীমা প্রদান ও যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করার পর দলিলগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, মালিকহীন দলিল অনেক সময় দালালচক্রের অপব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে।

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ