আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র ধনসাম্য,বিচারসাম্য, ধর্মসাম্য এবং উসুলে বা সপ্ত পদ্ধতি জগতের সামনে তুলে ধরার যোগ্যতা, সক্ষমতা ও তৌফিক কামনা করেন হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী (মাঃ)—–

প্রেস রিলিজ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পবিত্র ঈদ উল ফিতর এর পরের দিন, শাওয়াল মাসের প্রথম জুমার নামাজ আদায় শেষে দরবারে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র গাউসিয়া হক মনজিল এর কেন্দ্রীয় মিলাদ কিয়াম শেষে মুনাজাত পরিচালনাকালে হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র প্র-প্রপৌত্র, গাউসিয়া হক মনজিল এর সম্মানিত সাজ্জাদানশীন হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী (মাঃ) হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র প্রবর্তিত উসুলে সাবআ-সপ্তপদ্ধতি-র মর্মার্থ, আমরা যাতে নিজেদের ভিতর ধারণ করতে পারি,লালন করতে পারি,দিকে দিকে পৌঁছে দিতে পারি সেই তৌফিক কামনা করেন এবং এই মহান আদর্শের উপকার-আমাদের সমাজের জন্য এর প্রয়োজনীয়তা-এই মহান শিক্ষার অভাবে আমাদের সমাজ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে-সেই দিকে আমরা (সমাজের) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি,উপযুক্তভাবে তুলে ধরতে পারি সেই যোগ্যতা আমাদের দান করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহুতাআলার দরবারে ফরিয়াদ করেন।

হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র ত্বরীকার দাওয়াত দিকে দিকে তুলে ধরার, পৌঁছে দেওয়ার যোগ্যতা,সক্ষমতা কামনা করে হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ কোরআন এবং সুন্নাহ -র আলোকে যুগোপযোগীভাবে ইসলামকে যেভাবে বিশ্বের কাছে প্লেইস করেছেন- মাইজভান্ডারী ত্বরীকার মাধ্যমে,সকলে সেই আদর্শকে যাতে দিকে দিকে পৌঁছে দিতে পারে আল্লাহ সুবহানাহুতাআলার দরবারে সেই তৌফিক কামনা করেন।

তিনি আদলে মোতলাক,বিচার সাম্যতা,সকলের উপর ন্যায় বিচার করার, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের উপর ন্যায় বিচার করতে পারার, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য-দিকে দিকে পৌঁছে দিতে পারার সেই তৌফিক কামনা করেন।

তিনি ধন-সাম্য,ধনের যেই জাতি গঠনের জাতীয় সম্পদ- যার মৌলিক মানবাধিকার-(যার) যতটুকু ধনসম্পদ প্রয়োজন, প্রত্যেকের কাছে যাতে সেই ধনসম্পদ পৌঁছে দিতে পারে, সেই পর্যন্ত সমাজকে গড়ে তুলতে পারে, হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র সেই শিক্ষাটা যাতে সকলের কাছে তুলে ধরতে পারে সেই সামর্থ্য দান করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহুতাআলার দরবারে ফরিয়াদ করেন।

তিনি তাওহীদে আদ্যিয়ান, ধর্মসাম্য,সকল ধর্মের যে, মূল যে আহ্বান-স্রষ্ঠার আনুগত্য, সেই আহবানের ভিত্তিতে সকলে যাতে আমরা নিজ নিজ দ্বীনের কারণে,দ্বীনের জন্য, সংঘাতহীনভাবে,এই জগতের কল্যাণ করতে পারি,সংলাপ করতে পারি সেই তৌফিক কামনা করে কোরআান-সুন্নাহর আদর্শ তথা হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কঃ -র তাওহীদে আদ্যিয়ান- এর এই শিক্ষাকে আমরা যাতে জগতের সামনে তুলে ধরতে পারি আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা দরবারে সেই তৌফিক কামনা করেন।

তিনি আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা -র আউলিয়ায়ে কেরাম এর শিক্ষার, আদর্শের অনুপ্রাণিত মানবসন্তান হিসেবে, মানবজাতির খাদেম হিসেবে, ত্বরীকতের খাদেম হিসেবে, উম্মাহ্-র খাদেম হিসেবে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (কঃ)-র গোলামরা যাতে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে সেই তৌফিক কামনা করার সাথে সাথে জালেমের জুলুম থেকে , মিথ্যা মামলা-মোকাদ্দমা থেকে হেফাজত করার জন্য এবং প্রত্যেকের দ্বারা যাতে কোন জুলুম সংঘটিত না হয়, সেই অবস্থা থেকে প্রত্যেককে হেফাজত করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহুতাআলার দরবারে ফরিয়াদ জানান ।

তিনি সকলকে আর্থিক সংকট হতে উদ্ধার, কর্মময় জীবন দান,কর্জমুক্ত জীবন দান,ঋণমুক্ত থাকার তৌফিক দান,হালাল রিজিকের মাধ্যমে পিতা-মাতা পরিবারের উপযুক্ত খেদমতের তৌফিক দান এবং দুনিয়াবী সংকট হতে উদ্ধার করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহুতাআলার দরবারে ফরিয়াদ করেন।

মিলাদ কিয়াম ও মুনাজাত শেষে তিনি আগত ভক্ত জায়েরীণদের সাক্ষাৎ প্রদান ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আগত হাজারো ভক্ত জায়েরীণ ও সাধারণ মুসল্লীগণ এর জন্য তবাররুকাত এর ব্যবস্থা করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ