আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

বৈধ ইটভাটা ৪০৬, অবৈধ ৩২১টি

আট মাসে ২৯টি ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা

বিশ্বজিৎ পাল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ব্যাঙের ছাতার মত একের পর এক গড়ে উঠছে অবৈধ ইটভাটা। নিয়মিত অভিযান, জরিমানার মাঝেই কোনোভাবেই ইটভাটার লাগাম টানা যাচ্ছে না। বেশিরভাগ ইটভাটা কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে গাছের গুঁড়ি, কাঠ ব্যবহার করায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। এতে কৃষিজমির মাটি যেরকম উর্বরতা হারাচ্ছে, তেমনি ধ্বংস হচ্ছে বনজ সম্পদ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইটভাটায় পোড়ানো গাছ-কয়লা থেকে নির্গত হওয়া ধোঁয়ার সঙ্গে পার্টিকুলেট কার্বন, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ও নাইট্রোজেনের অক্সাইড বের হয়, যা মানুষের চোখ, ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ২০১০ ও ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩-এ বলা হয়েছে, বসতি এলাকা, পাহাড়, বন ও জলাভূমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা করা যাবে না। কৃষিজমিতেও ইটভাটা অবৈধ। কিন্তু ইটভাটার মালিকরা এ আইন মানছে না।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে মোট ইটভাটা আছে ৪০৬টি। এর মধ্যে মাত্র ৮৫টির বৈধতা আছে। বাকি ৩২১টি ইটভাটা অনুমোদনহীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।
পরিবেশ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রামে ফিক্স চিমনি (৮৯-১২০ ফুট উঁচু) ভাটা আছে ২৭৯টি, জিগজ্যাগ চিমনি আছে ১১৬টি এবং পরিবেশ ফ্রেন্ডলি টেকনোলজির ইটভাটা আছে মাত্র ১১টি। এর মধ্যে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় ১২টি ইটভাটার মধ্যে সবগুলোর অনুমোদন আছে। আনোয়ারায় দুটির মধ্যে একটি, পটিয়ায় দুটির মধ্যে একটি, সন্দ্বীপে ১১টির মধ্যে নয়টি, বাঁশখালীতে ১২টির মধ্যে ১০টি, বোয়ালখালীতে পাঁচটির মধ্যে চারটি, মিরসরাইয়ে ১৫টির মধ্যে নয়টি অবৈধ। এছাড়া সীতাকুণ্ডে আটটির মধ্যে ছয়টি, চন্দনাইশে ৩২টির মধ্যে ২৫টি, লোহাগাড়ায় ৪৮টির মধ্যে ৪৫টি, ফটিকছড়িতে ৫৫টির মধ্যে ৪৩টি, সাতকানিয়ায় ৭০টির মধ্যে ৪৫টি, রাউজানে ৩৭টির মধ্যে ২৯টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৬৯টির মধ্যে ৬৬টি ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ৩৫টির মধ্যে ২০টি ইটভাটা অবৈধ বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলার উপ পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা চালালে দুই বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদফতর থেকে সবসময় অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ইটভাটার মালিকরা হাইকোর্টে গিয়ে মামলার বিরুদ্ধে রিট করে ভাটা পরিচালনা করে।
এদিকে পাহাড় কাটা, খাল-জলাধার ভরাট ও ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগে গত আট মাসে ২৯টি ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর, যার বেশিরভাগই অনুমোদনহীন, অবৈধ।
পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, ইটভাটা সাধারণত বেশি সক্রিয় থাকে বছরের অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। এ সময়কে ইট তৈরির মৌসুম বলা হয়। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত যেসব ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, এর বেশিরভাগেই কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে গাছের গুঁড়ি, কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছিল। ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছিল ফসলি জমির মাটি। এতে কৃষিজমির মাটি যেরকম উর্বরতা হারাচ্ছে, তেমনি ধ্বংস হচ্ছে বনজ সম্পদ।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েও সুফল মিলছে না। সেগুলোর মালিকপক্ষ রাজনৈতিক-সামাজিকভাবে খুবই প্রভাবশালী। আইনের ফাঁক গলে ঠিকই ইটভাটাগুলো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে।
পরিবেশ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত লোহাগাড়া উপজেলায় নয়টি, সাতকানিয়ায় তিনটি, সীতাকুণ্ডে চারটি, ফটিকছড়িতে একটি, বাঁশখালীতে দুটি, রাউজানে পাঁচটি, রাঙ্গুনিয়ায় চারটি ও আনোয়ারায় একটি ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার আরো বলেন, ইট প্রয়োজনীয় জিনিস। চাহিদার কারণেই দিন দিন ইটভাটার পরিমাণ বাড়ছে, অধিকাংশের লাইসেন্স নেই। ইচ্ছেমতো ইটভাটা পরিচালনা করছে তারা। পাহাড়ের ও ফসলি জমির মাটি কেটে এসব ইটভাটা পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া লোকালয়ের আশেপাশে ইটভাটা পরিচালনা করার কোনো সুযোগ নেই। তবুও অনেক ইটভাটা লোকালয়ের পাশেই গড়ে উঠছে। আমরা প্রতি মাসেই এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন জরিমানার চেয়ে মামলা বেশি করছি। ইটভাটার মালিকরা চায় আমরা তাদের জরিমানা করি। এতে অতি সহজেই তারা পার পেয়ে যায়। তাই আমরা জরিমানা করি সর্ব্বোচ্চ তিন থেকে চারটি ইটভাটাকে। মামলা করলে তারা শাস্তির মুখে পড়ে।
এদিকে লোহাগাড়া উপজেলার মেসার্স আকতারিয়া ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারের ছাড়পত্র না থাকায় চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি মামলা করে পরিবেশ অধিদফতর। মামলায় ইটভাটার আট অংশীদারকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে একজন মো. ইসমাইল।
ইসমাইল বলেন, করোনার পর আমরা আট জন মিলে একটি ইটভাটা চালু করি। তখনই আমরা পরিবেশ অধিদফতরের কাছে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করি। কিন্তু তারা আমাদের জানায় সরকার তখন কোনো ইটভাটাকে লাইসেন্স দিচ্ছে না। আমাদের ইটভাটার আশেপাশে কোনো জনবসতি নেই। পাহাড়ের বা ফসলি জমির মাটিও আমরা কাটি না। শুধু লাইসেন্স না থাকায় পরিবেশ অধিদফতর আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়।
পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম বলেন, শীতকালে পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ ইটভাটা। অন্যান্য সময়েও দূষণ হয়। তবে শীতকালে হয় বেশি। জরিমানা করেও এসব ইটভাটার মালিককে কিছু করা যাচ্ছে না।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ