
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় আনসার ভিডিপি’র কোম্পানি কমান্ডার মিঠু কবিরাজের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতী ও বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী জয়পুরহাট জেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জয়পুরহাট জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত ই খোদা বলেন এঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মিঠু কবিরাজ হলেন পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর চৌধুরীপাড়া গ্রামের নাসির কবিরাজের ছেলে।

অভিযোগ ও ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, বিভিন্ন সময়ে উপজেলায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের ডিউটির তালিকায় নাম দেওয়ার অজুহাতে ওই নারীর সঙ্গে সর্ম্পক গড়ে তোলেন মিঠু কবিরাজ। কিন্তুু ওই নারীর আনসার ও ভিডিপির কোন প্রশিক্ষণ সনদ না থাকায় ৬ হাজার টাকায় তাকে একটি ভুয়া সনদ ( যার নং ৪০২১৮৯৭) তৈরী করে দেন মিঠু। এরপর সেই সনদ দিয়ে বিভিন্ন সময় ডিউটিও করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এরপর সুযোগ বুঝে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে মিঠু।
সম্প্রতি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডিউটিতে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রশিক্ষণ সনদ, কাগজ পত্র বাবদ তার কাছ থেকে ১ হাজার টাকাও নেয় মিঠু কবিরাজ। তবে নির্বাচন উপলক্ষে সদস্য যাচাই বাছাইয়ের সময় সনদটি জাল হওয়াই নির্বাচনী ডিউটিতে বাদ পড়েন ওই আনসার নারী সদস্য। আর এতেই দেখা দেয় আপত্তি। পরে এ নিয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডাও হয়। একপর্যায়ে এ বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ভয় ভীতি ও প্রাণ নাশের এমন হুমকি দেয় মিঠু কবিরাজ। একারনে ওই নারী জেলা ও উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

এবিষয়ে মিঠু কবিরাজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়।
পাঁচবিবি উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা তৃপ্তি রাণী বলেন, এঘটনায় আমি লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে মেয়েটি মৌখিক ভাবে জানায় যে মিঠু তাকে জাল সনদ তৈরি করে দেয় এবং তার সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের কথা বলেন।
জয়পুরহাট জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত ই খোদা জানান, অভিযোগ পেয়েছি , এব্যাপারে ৩ সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনের কারনে তদন্ত হয়নি । এখন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।