আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

জাতীয়:

বেনজীরের ৭টি অবৈধ পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে দুদক

ঢাকা অফিস:

ঢাকা:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত আলোচিত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ৭টি অবৈধ পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক পাঁচটি পাসপোর্টের নম্বর প্রকাশ করেছে। পাসপোর্টের নম্বরগুলো হলো— E0017616, AA1073252, BC0111070, BM0828141 ও AND800002095। এর বাইরে আরও দুটি পাসপোর্টের সন্ধান সংস্থাটির কাছে রয়েছে এবং এগুলোর বিষয়ে আরো খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এতথ্য জানা যায়।

এর আগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তাদের মধ্যে চারজন পরিচালক, একজন উপপরিচালক ও দুজন উপসহকারী পরিচালক।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও আশ্রয় নিয়েছেন নজিরবিহীন জালিয়াতির। কিন্তু নবায়নের সময় ধরা পড়লে আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। চিঠি দেওয়া হয় র‍্যাব সদর দফতরে। কিন্তু অবৈধ প্রভাব খাঁটিয়ে ব্যবস্থা করেন সব। পাসপোর্ট অফিসে না গিয়ে নেন বিশেষ সুবিধা।

এছাড়া সাবেক এই আইজিপির পাসপোর্টে আড়াল করেছেন পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে বিশেষ পাসপোর্ট নেননি।

এদিকে, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে দুদক থেকে দুই দফা তলব করা হলেও তারা সংস্থাটির ডাকে হাজির হননি। তবে তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন।

জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ গত ৪ মে সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন। এর আগে তাকে গত ৬ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। বিদেশে অবস্থান করায় তিনি ওইদিন দুদকে হাজিন হননি। পরে তিনি সময় চেয়ে আবেদন করলে তাকে ১৬ দিনের সময় দিয়ে রোববার ডাকা হয়।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে গত ২২ এপ্রিল। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের তলবি নোটিশ পাঠায় হয় গত ২৮ মে। এর আগে গত ৪ মে তিনি সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন। বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তাদের বিরুদ্ধে সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বিস্তারিত তদন্ত করেছে। এরপরই গণমাধ্যমে তাদের অস্বাভাবিক সম্পদের খবর প্রকাশ পায়।

গত ২৩ ও ২৬ মে আদালতের আদেশে বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদ, ব্যাংক হিসাব, শেয়ারসহ অন্যান্য সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়। তাদের নামে থাকা ৮৩টি দলিলে ৬২১ বিঘা জমি, গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ, ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ও তাদের মালিকানার কোম্পানি ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের ওই আদেশ দিয়েছেন। ওই দুইদিনে বেনজীর ও তার পরিবারের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৩৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ওসমান হাদিকে দেখতে এসে তোপের মুখে মির্জা আব্বাস।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ