আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগ কর্তৃক ভারতে হারানো আইফোন চট্টগ্রামে উদ্ধার

প্রেস রিলিজ

সিএমপির অফিশিয়াল ফেইসবুকে পেইজে যোগাযোগ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ আলী হোসেন মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সামীম কবির ও সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মোঃ তারেক আজিজের নির্দেশনায় বিশেষ টিমের এসআই মোঃ রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ ৬ জুলাই ২০২৪ চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন নিউমার্কেট এলাকার জলসা মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করে ভারতের কলকাতায় হারানো আইফোন ১৪ প্লাস মোবাইল উদ্ধার করে। মোবাইলটি উদ্ধার হলেও চোরাই মোবাইল ভারত থেকে চোরাই পথ দিয়ে নিয়ে এসে ব্যাবসা সিন্ডিকেটের হোতা কৌশলে পালিয়ে যায়। উদ্ধারের পর মোবাইলটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় মোবাইলটির মালিকের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য যে, কিছুদিন আগে একজন ভারতীয় নাগরিকের আইফোন ১৪ প্লাস মোবাইল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় হারিয়ে গেলে তিনি সেখানকার মহেশতলা থানায় জিডি করেন। মোবাইল হারানোর কিছুদিন পরে বাদীর নিকট একটি ইমেইল যায় যে, হারানো মোবাইলটি চট্টগ্রাম শহরে চালু হয়েছে। তখন তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিশিয়াল পেইজে যোগাযোগ করে তার জিডি ও মোবাইলটি চালু করার লোকেশন পাঠান। ম্যাসেজ পেয়ে সিএমপির জনসংযোগ শাখা তাকে আশ্বস্ত করেন যে মোবাইলটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করা হবে। এরপর মোবাইলটি উদ্ধারের দায়িত্ব পড়ে চট্টগাম মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর-পশ্চিম) বিভাগের উপর। মোবাইলটিতে কোনো সিম প্রবেশ না করানো সত্ত্বেও নানা কৌশলে কাজ করে গোয়েন্দা বিভাগের দলটি চারজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করে যারা ভারত থেকে চোরাই পথে চোরাই মোবাইল চট্টগ্রামে এনে চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকুমন্ডি লেনে বিভিন্ন খুচরা দোকানদারদের নিকট পৌঁছে দেয় এবং নিজেরাও খুচরা বিক্রি করে। আভিযানিক দল সিন্ডিকেটের হোতাকে টার্গেট করে অভিযান পরিকল্পনা করতে থাকলে সে যে-কোনো ভাবে বিষয়টি বুঝতে পেরে একজন ব্যবসায়ী মারফত চোরাই মোবাইলটি ডিবির এসআই রবিউল ইসলামের নিকট পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যায়। এই সিন্ডিকেট ভারতের সব চোরাই মোবাইল চট্টগ্রামে পাঠায় এবং বাংলাদেশের চোরাই দামি মোবাইল ভারতে ও ভুটানে পাঠিয়ে থাকে। সিন্ডিকেট সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ