আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে : ধর্ম উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন,আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তার সঙ্গে সমসাময়িক ও আগামীর চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে। সোমবার সকালে চট্টগ্রামের কুমিরাতে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে দুদিনব্যাপী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গৌরবের আলোকবর্তিকা উল্লেখ করে বলেন, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ প্রসারে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য।মিশরের কায়রোর ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় লিগের সহযোগিতায় এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গৌরবময় পাণ্ডিত্য ও পেশাগত দক্ষতা রয়েছে এবং তারা শুধু দেশি নয়, বিদেশি প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্যও গৌরব বয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিময় প্রোগ্রাম রয়েছে। এখান থেকে পড়াশোনা করে তুর্কি, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ আছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের মনোরম পরিবেশ বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, আমাদের বসে থাকলে চলবে না। অপার সম্ভাবনা আমাদের হাতছানি দিচ্ছে। এ জাতীয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেসব শিক্ষার্থী বের হবে তারাই আগামীদিনে পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবে। এ কারণে আমাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট বের করতে হবে। জনগণের যে আকাঙ্খা ও চাহিদা সেটা পূরণের জন্য ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রয়োজন। আমরা এখানে শুধু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব না, সমাধানের পথও খুঁজে বের করব।
ড. খালিদ বলেন, শিক্ষা ও সমাজের ইসলামিকীকরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা রয়েছে এবং ইতোমধ্যে এসব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই কনফারেন্স থেকে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশমালার মাধ্যমে আগামীর পথ সুগম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক ইসলামিক রিলিফ অর্গানাইজেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ আল-মুসলেহ। তিনি বলেন, আমরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি শ্রেষ্ঠতম বিদ্যাপীঠ হবে এবং এ অঞ্চলের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন আজ আমরা কিছুটা দেখতে পারছি। এখন আমাদের সামনে অনেক পথ বাকি আছে। তিনি ইসলামের গৌরব ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন এবং কুরআন ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের অনুরোধ জানান।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী আযাদীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. এজেডএম ওবায়দুল্লাহ ও কায়রোর ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় লিগের অধ্যাপক ড. সামী মোহাম্মদ রাবী এল-শেরিফ। অন্যান্যের মধ্যে এমিরেটাস অধ্যাপক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. একেএম আজহারুল ইসলাম, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম, জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. নাথিয়ের মুফলেহ মুহাম্মদ ওবায়দাৎ ও অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হক নদভী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক ।

শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চসিক মেয়র জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা’দের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) এবং উদ্ভিজ্জ খাবার (হলুদ ফল, রঙিন শাক-সবজি) খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হবে। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন তালুকদার, ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে, ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার, ডাঃ শর্মীলা রায়, ডাঃ মামুন রশিদ।

সাতকানিয়া কেরানীহাটে মোবাইল কোর্টের অভিযান, ৯৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক নির্দেশনায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে বুধবার (১২- মার্চ) বিকাল ৩ টায় সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।


এসময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আম্মাজান পাজ্ঞাবি বিতান কে ২৫,০০০/-টাকা, রিমেক্স 69 কে ১৫,০০০/- টাকা, শৈল্পিক কে ১,০০০/- টাকা, আরটিক্স কে ৫,০০০/- টাকা, সু-বাজার কে ৫০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। মোট ৫ টি মামলায় সর্বমোট ৯৬,০০০/-টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাস।

এসময় সহকারী কমিশনার(ভূমি) জনাব ফারিস্তা করিম, উপজেলা মৎস অফিসার জাকিয়া আবেদিন, ইলেক্ট্রিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ