আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

অবশেষে সিআইডিতে হস্তান্তর চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র জয়দীপ হত্যা মামলা।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চান্চল্যকর ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীতে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মিরসরাই কলেজের ছাত্র কক্সবাজারের জয়দীপ দাসকে।
জানা যায়, ২৯ নভেম্বর সোমবার বিকাল থেকেই ০১৭৯৮১৯৭৬২৫/ ০১৭৯৪ ৩৭৩৬২৩ নাম্বার থেকে উসান ও উৎস নামে দুইভাই নিহত জয়দীপকে বার-বার ফোন করে জানায় এলাকার অপু দাসের ভাইয়ের বিয়েতে যেতে হবে, জয়দীপকে বিনা দাওয়াতে অনেকটা জোর করে কক্সবাজার থেকে বরযাত্রী হিসেবে পটিয়া এইচকে কনভেনশন হলে নিয়ে আসে বন্ধু অনিরুদ্ধ বড়ুয়া উসান।
পরিকল্পনা মাফিক ঐ বিয়েতে মোটরসাইকেল নিয়ে যোগ দেয় উসানের পূর্বপরিচিত চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার ত্রাস শহিদুল ইসলাম ওরফে সাজ্জাদ পিতা শাহআলম মাতা রেহেনা বেগম, সাং গন্ডামারা বাশখালী চট্টগ্রাম সহ অজ্ঞাত আরও ২ জন।

পরবর্তীতে ঐ ২ জনকে রেখে রাত ১ টার পরে মাঝখানে জয়দীপ ও পেছনে উসান বড়ুয়াকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর উদ্দেশ্য রওনা দেয় শহিদুল ইসলাম ওরফে সাজ্জাদ , রাত দেড়টায় নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় জয়দীপকে মোটরসাইকেলের মাঝখানে বসানোর একটি ভিডিও ধারন করে পেছনে বসা আসামি উসান বড়ুয়া নিজে, ভিডিও ধারনের পরপরই বন্ধ করা হয় তাদের ব্যবহৃত মোবাইল।
রাত ৩ টা ১৩ মিনিটে জয়দীপের মোবাইলে ০১৫১৬৩৪০৪৬৮ নাম্বার থেকে অমিত নামক উসানের আরেক বন্ধু কল দিয়ে জয়দীপের মৃত্য নিশ্চিত হওয়ার পরে রাত সাড়ে ৪ টায় বিভিন্ন স্বজনদের মাধ্যমে জয়দীপের পরিবারকে জানানো হয় সড়ক দুর্ঘটনায় জয়দীপ মারা গেছে লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলে আছে।

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলা হলেও সম্পুর্ন অক্ষত রয়েছে তাদের বহনকারী মোটরসাইকেল, এবং ড্রাইভ করা শহিদুল ইসলাম ও পেছনে বসা উসান বড়ুয়া, অক্ষত রয়েছে সবার পরিধেয় পোষাকাদী।
জনমনে প্রশ্ন থেকে যায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাঝখানের জন মারা গেলে সামনে আর পেছনের জন কি করে এত নিখুঁতভাবে অক্ষত তাকে।
এ ঘটনায় জয়দীপের মা জয়শ্রী পাল বাদী হয়ে ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলার ১ আসামি শহিদুল গ্রেফতার হলে ৩ দিনের রিমান্ড দেয় আদালত, এরই মাঝে আসামির ১ বছরের জামিন হওয়ায় হতাশ নিহতের পরিবার, বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করেন আদালত।
তিনি আরও জানান ২ নং আসামির পিতা কক্সবাজারের প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করেছেন।
আমি একজন অসহায় স্কুল শিক্ষিকা আমি রাষ্ট্রের কাছে আমার একমাত্র ছেলে হত্যার বিচার চাই।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ