আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ আইনের শাসনে ফিরে আসা শুরু হয়েছে: জামায়াত নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ায় দোয়া ও শোকরানা মাহফিল করেছে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত ইসলামী। এতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, এ রায়ে প্রমাণ হল, পুরো মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে জামায়াত নেতাদের দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর দেওয়ান বাজারে নগর জামায়াতের কার্যালয়ে এ দোয়া ও শোকরানা মাহফিল হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হল, টোটাল বিচারিক প্রক্রিয়াটা ন্যায়ভ্রস্ট ছিল, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে আমাদের শহিদ নেতাদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। সেটি দুনিয়াবাসীর সামনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মহান রব আমাদের প্রিয় নেতা আজহার ভাইকে জীবিত রেখেছিলেন। তার ওপর যে পরিমাণ মানসিক, শারীরিক নির্যাতন হয়েছে, এই নির্যাতনের মুখে একজন মানুষের বেঁচে থাকা দুষ্কর ছিল।

তিনি বলেন, আজহার ভাইয়ের খালাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আইনের শাসনে ফিরে আসা শুরু হয়েছে। বিচারাঙ্গন কলঙ্কমুক্ত হওয়া শুরু হয়েছে। সত্যের বিজয় আর মিথ্যার পরাজয় শুরু হয়েছে। আমাদের জন্য পহেলা জুন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দলের যে অন্যায়ভাবে নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে, নিবন্ধনও আমরা ফিরে পাব ইনশল্লাহ। একইসঙ্গে ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা প্রতীকও ফিরে পেয়ে আমরা পার্লামেন্টে বিজয় অর্জন করে দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবো ইনশল্লাহ।

সভাপতির বক্তব্যে নগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আল্লাহতালা আজহার ভাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আপীল বিভাগের মাধ্যমে। এ রায় শুনলে আজ সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ভাই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ব্যারিস্টার রাজ্জাক ভাই যেভাবে মোকাবেলা করেছেন, আজ উনি সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। কিন্তু উনি তো দুনিয়া থেকে চলে গেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের নেতৃবৃন্দের যদি ফাঁসি না হতো, তাহলে সবাই আজহার ভাইয়ের মতো বেকসুর খালাস হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতেন। নেতৃবৃন্দের ফাঁসির মাধ্যমে জামায়াত ইসলামীকে, এই বিশাল বাগানকে শূন্য করে দেয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আমাদের ওপর এখন বিশাল দায়িত্ব। আজহার ভাই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। পহেলা জুন আমাদের নিবন্ধনের রায় হবে। আমাদের হৃদয়ের মার্কা, আবেগের মার্কা, প্রাণের মার্কা দাঁড়িপাল্লা যাতে আমরা নিবন্ধনসহ ফেরত পাই, সেজন্য সবাই মিলে দোয়া করবেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ