আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাকা আলম।

কে এম রাজীব, চট্টগ্রাম

 

চলচ্চিত্র, ব্যবসা ও সামাজিক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদান রাখায় স্বীকৃতি স্বরুপ আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন সুন্দরী মিস বাংলাদেশ-১৯৯৫ খ্যাত চলচ্চিত্র নায়িকা, কক্সবাজার ওমেন্স চেম্বার অব কমার্স এর পরিচালক মাসুকা নাসরিন রাকা। গত ২৬ জুলাই ঢাকার বাংলা মোটরস্থ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে স্টার বাংলাদেশ মিডিয়া ও জাতীয় দৈনিক অভয়নগর পত্রিকার উদ্যোগে আয়োজিত মিডিয়া অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিয়ার আইকনিক অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ উপলক্ষে ” উদ্যােক্তার সফলতার পেছনের কথা ও মিডিয়ার ভূমিকা ” শীর্ষক আলোচনা সভা ও ই-ক্রয় প্রেজেন্ট’স অনুষ্ঠানে মাসুকা নাসরিন রাকা’কে এ আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। একই সাথে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মোঃ জয়নুল আবেদীনকে।
বিশিষ্ট অভিনেত্রী মাসুকা নাসরিন রাকা বাংলাদেশ মার্শাল আর্টের জনক প্রজোযক, পরিচালক ও নায়ক ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম এর সহধর্মিণী।

এছাড়া অনুষ্ঠানে শোবিজ, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক, আইসিটি ও আইটি, রিয়েল এস্টেট, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং নারী উদ্যােক্তা সহ দেশ বরেণ্য মানবিক কাজে যারা দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন তাদের মধ্যে বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ৩০ জনকে মিডিয়া অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিয়ার আইকনিক অ্যাওয়ার্ড সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান, স্টার বাংলাদেশ মিডিয়া ও জাতীয় দৈনিক অভয়নগর পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আরিফুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন, ডিএমপি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শাহজাহান সাজু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, দৈনিক অভয়নগর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ শাহিন হোসেন, আশিক আহমেদ, ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, এ কে এম মুশফিকুল আলম। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যম, ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এসময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার ছিলেন এটিএন বাংলা।

উল্লেখ, অভিনেত্রী মাসুকা নাসরিন রাকা ১১ই নভেম্বর কুমিল্লা জেলার চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর বেড়ে উঠা ঢাকা শহরে। তাঁর পিতা আব্দুল মান্নান ও মাতা কামরুন নাহার মন্নান। তিনি ছোট বেলা থেকেই সাংস্কৃতিমনা ছিলেন। কবিতা আবৃত্তি, অভিনয়ে ছিলেন বেশ মনোযোগী। তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয় ঢাকা আজিমপুর থেকে। তিনি আজিমপুর গার্লস হাই স্কুল থেকে এস এস সি, বদরুন্নেসা কলেজ থেকে এইচ এস সি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওনার্স মাস্টার্স পাশ করেন। পরবর্তীতে স্টামফোর্ট ইউনিভার্সিটি থেকে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার উপর পড়াশোনা করে মাস্টার্স পাশ করে ডাবল এম এ উন্নীত হন।

তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনে ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় শুরু করেন। তাঁর ধারাবাহিক উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে, তথাপি, মাটির মায়, আপন নিবাস ও অতন্ত্র প্রহর। এছাড়া তিনি বেশ কিছু খন্ড একক নাটকে অভিনয় করেন।যার মধ্যে কোথায় ও ক্ষরন, সোনার বলয়, ভালোবাসবে না কেন মন, মন বলে তুমি, আমার দুটি ভাই, ঢাকা চাঁদনি গড়ের কয়েকদিন ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইত্যাদি। এছাড়া তিনি যুক্ত হন লেখালেখি, সাংবাদিকতা, গল্প কবিতার বই লিখাতেও অবদান রাখেন। ১৯৯৩ সালের বই মেলাতে তাঁর প্রথম আবৃত্তির ক্যাসেট প্রকাশ পায়। সেখানে তিনি বেস্ট আবৃত্তিকার হিসেবে বিবেচিত হন এবং
তিনি একমাত্র অভিনেত্রী যিনি বিদেশের মাটিতে মূকাভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করেন।

মাসুকা নাসরিন রাকা’র ১৯৯৭ সালে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম এর হাত ধরে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ” সুন্দরী মিস বাংলাদেশ “। এ ছবি ব্যবসা সফল হওয়ায় তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, একের পর এক ২৫টি ছবিতে কাজ করেন তিনি। তাঁর উল্লেখ যোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে, সুন্দরী মিস বাংলাদেশ, কুংফু নায়ক, পেশাদার খুনি, বিদ্রোহী মাস্তান, ওস্তাদের ওস্তাদ, ডাইরেক্ট এ্যাকশান, লোহার শিকল, মরণ নিশান, লাল চোখ, জলন্ত বিস্ফোরণ, ক্যাপ্টেন মারুফ, পিতা পুত্রের গল্প, নীল নকশা, তুষের আগুন ও আমি নারী ইত্যাদি। ব্যক্তি জীবনে রাকা ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলমকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির ঘরে তাজওয়ার আলম ও রেজওয়ার আলম নামের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ শিক্ষিত এই নায়িকা বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপাশি মানবিক ও সামাজিক কর্মকান্ড এবং রিসোর্ট ব্যবসায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ৩২ টি চেক বিতরণ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে বোয়ালখালীতে ৩২ টি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় শাকপুরা প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ উপলক্ষে এক সভা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি রূবেল বড়ুয়া হৃদয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি পল্টু কান্তি বড়ুয়া ও সমাজকর্মী রাজীব বড়ুয়ার উপস্থাপনায় এতে আশির্বাদক ছিলেন- শাকপুরা সার্বজনীন তপোবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বসুমিত্র মহাস্থবির, ভদন্ত বিপস্সী মহাথের, ভদন্ত পরমানন্দ মহাস্থবির, ভদন্ত দীপানন্দ থেরো। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন -চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান,

জেলার সদস্য মোঃ শওকত আলম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী, সাবেক সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপি সাবেক আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক প্রচার সম্পাদক সরোয়ার আলমগীর, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, শওকত আলী চেয়ারম্যান, আবদুল আওয়াল মঞ্জু, শাকপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম খান, পৌরসভা বিএনপি নেতা হাজী আবু আকতার, বোয়ালখালী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা মোঃ মোঃ ইলিয়াসসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,

বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি বিকাশ বড়ুয়া, বৈদ্যপাড়া পঞ্চরত্ন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি দেশপ্রিয় বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট মহানগর-জেলা ও উপজেলা শাখার নেতা কমল জ্যোতি বড়ুয়া,তাপস বড়ুয়া , সুমন বড়ুয়া, রনি বড়ুয়া চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া, প্রকৌশলী দিক্ষিত বড়ুয়া, অর্ণব বড়ুয়া,সুমন বড়ুয়া ছোটন বড়ুয়া,পিপলু বড়ুয়া সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার/ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন- বাংলাদেশ সম্প্রতির মেলবন্ধ, এদেশে সকল ধর্মের সহবস্থান ছিল -আছে- থাকবে। তাই ধর্মীয় সৌহার্দ্য বজায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরিই ধারাবাহিকতায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট আমাকে নির্বাচিত করুন আমি আপনাদের সকলের আশির্বাদ প্রার্থী। তিনি এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাস্টি রূবেল বড়ুয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন এখন সরকারী টাকা দপ্তরে গিয়ে আনতে হয়না, রূবেল বড়ুয়াই সরকারী টাকা নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির। তার এ কর্মযজ্ঞকে আপনাদের আশির্বাদে রাখতে হবে।

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ