আজঃ বুধবার ২৫ জুন, ২০২৫

আজ মধ্যরাত থেকে বন্ধ তিন দিনের প্যাকেজ, ব্যয় ‘বাড়বে’ ইন্টারনেটের

প্রযুক্তি ডেস্ক:

 

মুঠোফোনে তিন দিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ রোববার (১৫ অক্টোবর) থেকে থাকছে না। অর্থাৎ শনিবার মধ্যরাত থেকে তিন দিনের প্যাকেজ কিনতে পারবেন না গ্রাহকেরা। এখন থেকে মানুষকে অন্তত সাত দিন মেয়াদি প্যাকেজ কিনতে হবে।

সাত দিনের প্যাকেজের দাম তিন দিন মেয়াদি প্যাকেজের চেয়ে বেশি। ফলে মানুষের ব্যয় বাড়বে বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলো।

 

 

যেমন মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইটে শনিবার রাতে দেখা যায়, তিন দিন মেয়াদের এক গিগাবিট (জিবি) ডেটার প্যাকেজের দাম ৪৬ টাকা। রোববার থেকে আর তিন দিনের প্যাকেজ কেনা যাবে না। সাত দিন মেয়াদে তিন জিবি ডেটা কিনতে ব্যয় হবে ১২৯ টাকা।

মোবাইল অপারেটরগুলো বলছে, তিন দিনের প্যাকেজ বন্ধ হওয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে অনীহা তৈরি হতে পারে। কারণ, একসঙ্গে ইন্টারনেটের পেছনে বেশ বড় অঙ্কের ব্যয় (স্বল্প আয়ের মানুষের পরিপ্রেক্ষিতে) করার সামর্থ্য যাঁদের নেই, তাঁদের একাংশ ডেটা কেনা বাদ দেবেন।

যাঁদের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট একেবারেই জরুরি, তাঁরা বাড়তি ব্যয় করে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন। প্রয়োজন না থাকলেও অনেক মানুষকে বেশি মেয়াদের বেশি দামি প্যাকেজ কিনতে হবে।

 

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সাইফ পাওয়ারটেক থেকে মুক্ত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি

অবশেষে প্রায় দুই দশক ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘রাজত্ব’ চালিয়ে যাওয়া ক্ষমতাধর বহুল আলোচিত চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল(এনসিটি) বসরকারি প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের কাছ থেকে মুক্ত হচ্ছে। আপাদত এনসিটি বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এনসিটি পরিচালনার ভার বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার আলোচনা নিয়ে নানামুখী বাদ-প্রতিবাদের মধ্যে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই এনসিটি পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে সাত কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণও করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দরে মোট চারটি কনটেইনার টার্মিনাল আছে। সেগুলো হল- চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি), নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), জেনারেল কার্গো বার্থ (কনটেইনার ও বাল্ক-জিসিবি) এবং পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল (পিসিটি)। এনসিটি চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথম নির্মিত ও সবচেয়ে বড় টার্মিনাল, যাতে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য কী গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ আরও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আছে। চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে হ্যান্ডলিং হওয়া ৩২ লাখ টিইইউস কনটেইনারের মধ্যে ৪৪ শতাংশ এককভাবে পরিচালনা হয়েছে এনসিটি থেকেই।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীরা এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো এনসিটিসহ যেকোনো স্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় নেতারাও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বরাবরের মতো সরব বামপন্থী দলগুলো দেশি কিংবা বিদেশি অপারেটর বাদ দিয়ে বন্দরকে নিজস্ব উদ্যোগে পরিচালনার পক্ষে অবস্থান নিয়ে এরই মধ্যে আন্দোলনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে।

তবে এনসিটি বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালনার বিষয়ে বন্দরের সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে এনসিটি পরিচালনা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। মূল কাজের বাইরে অতিরিক্ত অপারেশনাল কাজ করতে গিয়ে বন্দরের সক্ষমতা কমে যাবে। দ্রুততার সঙ্গে দেশি কিংবা বিদেশি অপারেটরদের হাতে অপারেশনাল কার্যক্রমের দায়িত্ব হস্তান্তর করা উচিত বলে তাদের অভিমত।

জানা গেছে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এনসিটি পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে সাত কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এনসিটিতে স্থাপিত কী গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেন এবং স্বয়ংক্রিয় পরিচালনা (আইটি) পদ্ধতিসহ আনুষাঙ্গিক মিলিয়ে এ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। ছয় মাস পরিচালনার জন্য প্রতিমাসে সাত কোটি টাকা হারে মোট ৪২ কোটি টাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে এ ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন পেতে গত ১৯ জুন বন্দর চেয়ারম্যান নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছেন।

তবে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পাঁচ কোটি টাকার বেশি ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে এসব বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কিছু বলতে রাজি হননি। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয় জেনেছেন বন্দর ব্যবহারকারীসহ শ্রমিক-কর্মচারীরা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমি এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না। ফলে এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য আপাতত নেই। দুয়েকদিনের মধ্যে আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ এক হাজার মিটার দৈর্ঘ্যের এনসিটি টার্মিনালটি নির্মাণ করে। এরপর বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেরাই প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করে। শুরু থেকেই বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি ছিল, এনসিটি বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করার। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এনসিটি পরিচালনার ভার তুলে দেয় বেসরকারি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের হাতে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রুহুল আমিন তরফদার আওয়ামী লীগের ক্ষমতাধর মন্ত্রী-এমপিদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ফলে শুধুমাত্র এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েই তরফদার চট্টগ্রাম বন্দরে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলেও অভিযোগ আছে।

সূত্র জানায়, গত ১৫ বছর ধরে দফায় দফায় চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর পর সাইফ পাওয়ারটেকের সময় শেষ হচ্ছে আগামী ৬ জুলাই। এমতাবস্থায় গত ১৮ জুন এনসিটি পরিচালনার বিষয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ আর না বাড়িয়ে আপাতত ছয় মাস বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এনসিটি পরিচালনার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় একটা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনা, এটা বন্দরের জন্য একেবারে নতুন বিষয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ আগে কখনোই এমন কাজ করেনি। ২০০৭ সালের আগে সেটা লেবার বোর্ড করতো। ২০০৭ সালে প্রণীত শ্রম আইন অনুযায়ী লেবার বোর্ড বিলুপ্ত করা হয়। সুতরাং একেবারে নতুন এ কাজ নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষকে চাপে পড়তে হবে। তাদের জন্য কিছুটা ঝুঁকিও তৈরি হল, সক্ষমতা কমে যাবার ঝুঁকি। এখন দেখা যাক, তারা কীভাবে এই চ্যালেঞ্জটা মোকাবিলা করে।

তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেসরকারি অপারেটর নিয়োগের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাজ নয়। পৃথিবীর কোনো বন্দর কর্তৃপক্ষ এ কাজ নিজেরা করে না, দুয়েকটি পোর্টে হয়তো করে। আমার মতামত হচ্ছে, ছয় মাস বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করুক, এরপর যেন স্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেটা পরিচালনার ভার বেসরকারি অপারেটরকে দেওয়া হয়। দেশি হোক কিংবা বিদেশি অপারেটর হোক, প্রক্রিয়াটা খুবই স্বচ্ছ হতে হবে এবং অংশীজনদের মতামত নিয়ে করতে হবে।

তবে অর্ন্তবর্তী সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তে এনসিটি সাইফ পাওয়ারটেকের হাত থেকে মুক্ত হলেও চিটাগং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) পরিচালনার ভার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনো তাদের হাতেই থাকছে।
সূত্রমতে, সাইফ পাওয়ারটেকের মেয়াদ শেষের পর এনসিটি পরিচালনার ভার দুবাইভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়ার জন্য প্রাকপ্রক্রিয়া শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় তার সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যেতে পারেনি।

এর পর অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে এনসিটি পরিচালনার ভার ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দেয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে। গত ১৪ মে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে এসে বন্দর ব্যবস্থাপনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদেশি সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করার অভিমত জানান। তিনি বক্তব্যে বলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরা যারা তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ রাজি না থাকলে তাদের রাজি করাতে হবে। মানুষকে গররাজি করিয়ে করার দরকার নেই, রাজি করিয়েই করতে হবে।

অন্তবর্তী সরকারের মতামত প্রকাশ্য হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীরা এর বিরোধিতা শুরু করেন। বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহযোগী শ্রমিক সংগঠনগুলো গত একমাস ধরে বন্দর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে মিছিল-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। বামপন্থী রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠগুলোও রাজপথে নেমেছে।

‘সাম্রাজবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ নামে বামপন্থীদের একটি প্ল্যাটফর্ম ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে আগামী ২৭ ও ২৮ জুন দু’দিনের রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এছাড়া, শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) আগামী ৩০ জুন চট্টগ্রাম বন্দর গেইটে বৃহত্তর শ্রমিক সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

রোডমার্চ বাস্তবায়ন কমিটি, চট্টগ্রামের সংগঠক ও জেলা সিপিবির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘অন্তর্র্বতী সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদের ওপর বিদেশি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। বিদেশিদের নিয়োগের ফলে দেশীয় কর্মসংস্থান কমবে, শ্রমিকরা বেকার হবে। এ প্রেক্ষাপটে রোডমার্চ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।

তবে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে এসব আশঙ্কাকে অমূলক আখ্যায়িত করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ জাফর আলম আরো বলেন, একটা টার্মিনালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং মানে কুলিগিরির কাজ, সেটা দেশি প্রতিষ্ঠানকে দিলেই কী আর বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দিলেই কী ! এতে নিরাপত্তাহীনতার কী হল বুঝতে পারলাম না। এগুলো যারা বলেন, তাদের কেউ কেউ ব্যক্তিস্বার্থে করেন আর কেউ কেউ অহেতুক ভয় বা আশঙ্কা থেকে করেন বলে তিনি জানান।

নবীনদের আদর্শ আর সাহসের সঙ্গে পথচলার আহ্বান জানালেন সেনাপ্রধান।

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে রবিবার (২২ জুন) গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০২২-বি ব্যাচ ও ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৫ ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়।

কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করে নবীন কর্মকর্তাদের সালাম গ্রহণ ও কৃতিত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পদক তুলে দেন।এ ব্যাচ থেকে মোট ৫২ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেছেন, যার মধ্যে ৪৪ জন মিডশিপম্যান ও ৮ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার রয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন নারী এবং ৪ জন বিদেশি কর্মকর্তা থাকার মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর বহুত্ববাদ ও আন্তর্জাতিক সংহতির ছবি ফুটে উঠেছে।

সেনাবাহিনী প্রধান নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সততা, শৃঙ্খলা ও নেতৃত্বের গুণাবলীর মাধ্যমে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।’ তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং নবীনদের আদর্শ ও সাহসের সঙ্গে পথচলার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবক এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রশিক্ষণার্থীদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ