বন্দর দিয়ে ক্যালসিয়াম কার্বনেট আমদানির ঘোষণায় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গুঁড়াদুধ, ডেক্সট্রোজ, কফি মেট, মেনথলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার আমদানিকারক জি ওয়াই ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি চার কনটেইনারে এসব পণ্য আমদানি করে।
এই চালানে মিথ্যা ঘোষণায় প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্জ (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি চীন থেকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঘোষণায় চার কনটেইনার পণ্য আমদানি করে। কিন্তু কাস্টমসের এআইআর শাখা চালানটিতে ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য আমদানির বিষয়ে জানতে পারে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চালানটি খালাস না করে শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে কনটেইনার চারটি চট্টগ্রাম বন্দরে না নামিয়ে সিঙ্গাপুরে ফেরত প্রদানের জন্য রিটার্ন অন বোর্ড (আরওবি) ঘোষণা দেয়।
পরবর্তীতে কাস্টমসের চাপে শিপিং এজেন্ট কনটেইনার চারটি চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস করে।
এরপর বুধবার কনটেইনার চারটিতে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করে কাস্টমসের এআইআর শাখা। চালানটিতে ৬০ টন ডেক্সট্রোজ, ১৫ টন গুঁড়াদুধ, এক টন কফি মেট, তিন টন মেনথলসহ বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। চালানটিতে মাত্র তিন টন ক্যালসিয়াম কার্বনেট পাওয়া যায় বলে জানায় কাস্টমস।
একই আমদানিকারক চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঘোষণায় আরেক চালানে ডেক্সট্রোজ ও গুঁড়াদুধ আমদানি করে। কিন্তু কাস্টমসের এআইআর শাখা ওই চালানটিও আটক করে। ওই চালানে প্রায় এক কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানান ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক।
তিনি বলেন, এর একমাস আগে ওই আমদানিকারক একই কায়দায় আরেকটি চালান আনে। ওই চালানটিও আমরা আটক করি। নজরদারির এক পর্যায়ে তারা শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে কনটেইনারগুলো সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু কাস্টমসের পক্ষ থেকে জাহাজটির বন্দর ত্যাগ স্থগিত করা হয়। এতে জাহাজটি কনটেইনার চারটি চট্টগ্রাম বন্দরে ডিসচার্জ করে। এরপর কায়িক পরীক্ষার মাধ্যমে কনটেইনার চারটি পণ্যসহ আটক করা হয়। এই চালানে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে।