আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন, ২০২৫

রাঙ্গামাটির যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রে ৪০তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম অফিস:

সাধু সাধু সাধু ধ্বনিতে হাজারো পুণ্যার্থীদের ভক্তি ও শ্রদ্ধায় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রে ৪০ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত কঠিন চীবর বুনন ও ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সোমবার শুরু হয়ে মঙ্গরবার বিকেলে দুইদিন ব্যাপী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে ছিলো, বুদ্ধপুজা, বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, সুত্রপাঠ, ধর্মীয় দেশনা, কল্পতরু প্রদক্ষিণ ও ফানুস বাত্তি উৎসর্গসহ উল্লেখযোগ্য।

কঠিন চীবর দানোৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পুণ্যার্থী অংশ নেন। পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মূখর হয়ে উঠে বিহার প্রাঙ্গণ। দুপুরে কল্পতরু ও কঠিন চীবরকে পুরো বিহার এলাকা প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়। সন্ধ্যায় জগতের সকল প্রাণীর হিতসুখ ও মঙ্গল কামনায় ৮৪ হাজার বাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে প্রথমে মঞ্চে উপস্থিত ভিক্ষু সংঘকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন ভক্তরা। পরে উদ্বোধনী ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে পঞ্চশীল পাঠ করেন প্রদীপ চাকমা। বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন বর্ষা চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পূর্ণ চক্র চাকমা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রূপক চাকমা ও অরুণ কুমার চাকমা।

ধর্মীয় সভায় পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে ধর্ম দেশনা দেন দীঘিনালা বনবিহারের উপাধক্ষ্য ভদন্ত শ্রীমৎ শুভবর্ধন মহাস্থবির। বিমুক্তিপুর ধ্যান কুটিরের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ প্রিয়ানন্দ মহাস্থবির, ধুতাঙ্গটিলা বনবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ দেবধাম্মা মহাস্থবির, রাজবন বিহারের ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ অগ্রজ্যোতি মহাস্থবির ও যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ কল্যাণজ্যোতি মহাস্থবির।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন।

চট্টগ্রাম হামজারবাগস্থ শাহানশাহ হক ভাণ্ডারী খানকাহ্ শরীফ এ গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ এর সম্মানিত সভাপতি আলহাজ্ব রেজাউল আলী জসিম চৌধুরী প্রতি বছরের মতো মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ-এর মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেছেন। মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ এর আওতাধীন আট শতাধিক শাখা কমিটির সদস্যবৃন্দকে বৃক্ষ রোপণে উদ্বুদ্ধকরণ চেষ্টার অংশ হিসেবে মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ প্রতি বছর এই কর্মসূচি ঘোষণা করে থাকে।

এই বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করে তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনতে ও পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত গাছের চারা রোপণের বিকল্প নেই। ত্বরিকতের হুকুম আহকাম পালনের সাথে সাথে সামাজিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে সাংগঠনিক কাঠামোকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি শাখা কমিটির প্রত্যেক সদস্যকে অন্তত একটি ফলজ ও একটি বনজ গাছের চারা রোপণের জন্য উদ্বুদ্ধ করার বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি মাইজভাণ্ডার শরীফ গাউসিয়া হক মনজিল এর সম্মানিত সাজ্জাদানশীন রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (মঃ)-’র দেখানো পথে সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে এই বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেয়ার আহ্বান জানান।

ধলই সফিউল বারী দরবার শরীফের চন্দ্র মাসিক মাহফিল সম্পন্ন।

ফরহাদাবাদ দরবার শরীফের অন্যতম খলিফা ও জামাতা হাজত রওয়া,মুশকিল কোশা আল্লামা শাহসুফি সৈয়দ সফিউল বারী (রহ.)’র পবিত্র চন্দ্র মাসিক ফাতেহা উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল গত ১৩ জুন’২৫ শুক্রবার বাদ এশা হুজুরের একমাত্র পুত্র শাহজাদা সৈয়দ নুরুল আলম ফরহাদাবাদীর সভাপতিত্বে দরবারে অনুষ্ঠিত হয়। হুজুরের বড় নাতি সৈয়দ গোফরান উদ্দিন ফরহাদের সঞ্চালনায় উক্ত মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মির্জাপুর দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা সৈয়দ মোফাক্কেরুল ইসলাম মির্জাপুরী,

বিশিষ্ট মাইজভান্ডারী লেখক ও গবেষক ডা. বরুণ কুমার আচার্য বলাই। সভায় এলমে শরিয়ত ও এলমে তরিকতের উপর সারগর্ভ আলোচনা করেন মওলানা শেখ আরিফুর রহমান, মওলানা সৈয়দ ওসমান গনি। হুজুরের বর্নাঢ্য জীবনে মজহাব মিল্লাতের খেদমতের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, “আল্লামা সফিউল বারী (রহ.) বিভিন্ন মাহফিলে শরিয়ত ও তরিকতের উপর যে সব আলোচনা করতেন সেগুলো তার বহুমুখী পাণ্ডিত্বের অধিকারী হিসেবে আল্লামা খেতাবে ভুষিত হন। তিনি সব সময় মানুষকে নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত আদায়ের উপর গুরুত্ব দিতেন। বেশিরভাগ মানুষ শরিয়তের মাসালাগত জটিলতায় ওনার কাছে এসে সঠিক সমাধা নিতেন।” মাহফিলে সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাস্টার সৈয়দ বদিউল আলম, সৈয়দ জামাল উদ্দিন ফরহাদাবাদী, সৈয়দ কুতুব উদ্দিন ফরহাদাবাদী, সৈয়দ করিমুল আবেদিন, মওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ইলিয়াছ,

হাফেজ নুরুল ইসলাম, আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন মানিক, লায়ন ড. তরুণ কুমার আচার্য, সৈয়দ আহমদ উল্লাহ ফারুক, তাজাম্মাল হোসেন খান, নাজমুল হোসেন খান, শেখ মুহাম্মদ আশরাফুর রহমান আতিফ, সৈয়দ হাসনাইন মোর্শেদ, আক্তার হোসেন সওদাগর, এস এম সাজ্জাদ, শেখ মুহাম্মদ মসিউর রহমান আশিক, সৈয়দ আতাউর রহমান, আব্দুল হক সুমন, সৈয়দ মুহাম্মদ ওমাইর আকিব, সৈয়দ মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, ঝুমুর সর্দার প্রমুখ। মিলাদ কিয়াম পরিবেশন করেন সাহেবজাদা সৈয়দ সামিউল হক ফরহাদাবাদী ও আখেরি মুনাজাত করেন মওলানা সৈয়দ মোফাক্কেরুল ইসলাম মির্জাপুরী(ম.)। সর্বশেষ সকলের মাঝে তবারুক পরিবেশন করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ