আজঃ শুক্রবার ৭ নভেম্বর, ২০২৫

সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা অফিস:

সৌদি আরব সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সৌদি আরবে ইসলামে নারী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন’-এ যোগদান এবং পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে আজ দেশে ফিরলেন তিনি।

বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এসময় বিমান প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সচিব এবং পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বিমানটি স্থানীয় সময় রাত ১০.৫৪ মিনিটে জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

প্রধানমন্ত্রী ৫ নভেম্বর মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং মদিনার মসজিদ আল-নববীতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত এবং আসরের নামাজের পর সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন।

একই দিনে তিনি মদিনা ছেড়ে মক্কায় পৌঁছান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী এশার নামাজের পর আল মসজিদ আল-হারামে (কা’বা শরীফ) পবিত্র ওমরাহ পালন করেন।
গত ৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ইসলামে নারী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলনের ফাঁকে তিনি ওআইসি ও সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সম্মেলনে যোগদান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ‘উইমেন ইন ইসলাম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন এবং তাঁর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন।

ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর সদর দপ্তরের সাথে সমন্বয় করে সৌদি আরব ৬-৮ নভেম্বর এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাণীশংকৈলে মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী ‘র ১৪৩ তম প্রয়াণ দিবস পালিত

আমরা অসত্যকে ত্যাগ করে, সত্যকে ধারণ করি এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা বৈদিক আর্য সমাজের আয়োজনে বলিদ্বারা দূর্গা মন্দির চত্বরে মহর্ষিদয়ানন্দ সরস্বতী’র ১৪৩ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে স্মৃতি তর্পণ শ্রদ্ধান্জলী ওশুভ দীপাবলির প্রদীপ প্রজ্বলন এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈদিক আর্য সমাজের সভাপতি বিনোদ চন্দ্র বর্ম্মনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, শুনিল চন্দ্র আর্য,শ্যামল চন্দ্র আর্য, বলিদ্বারা বৈদিক আর্য সমাজের সম্পাদক ধনেশ্বর রায়, মাষ্টার ছবিকান্ত দেব, ডাঃ কৃষ্ণ চন্দ্র রায়, মাষ্টার কৃষ্ণ রায়,ললিত মহন রায় প্রমূখ।

অনুষ্ঠান সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করেছেন সহকারী কৃষি অফিসার দিপংকর রায় ও প্রাসাদী
বর্ম্মন।মহর্ষি দয়ানন্দের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ৪টি হোম যোগ্যের মাধ্যমে মহর্ষির মঙ্গল কামনায় প্রায় ৫শতাধিক ভক্ত অংশ গ্রহণ করেন।

আগামী নির্বাচনে আলেম-ওলামাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে : ইনকিলাব সম্পাদক

আগামী নির্বাচনে আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি বলেছেন, সবাইকে তারেক রহমানের পেছনে দাড়াতে হবে। ।

সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার আওতাধীন সাবেক জমিয়াত নেতৃবৃন্দ ও পীর মাশায়েখদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। নগরীর স্টেশন রোডে এক অডিটোরিয়ামে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চট্টগ্রাম অঞ্চল সমন্বয়ক কমিটি এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, আগামী নির্বাচনে আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সবাইকে তারেক রহমানের পেছনে দাঁড়াতে হবে। সামনে ইঞ্জিন ঠিক থাকলে ট্রেন ঠিকমতে চলবে। রাজনীতিবিদরা দরবার, খানকা ও পীর মাশায়েখদের শক্তিটা দেখতে পান না। এক একটি দরবারের হাজার হাজার ভক্ত রয়েছেন। সেই আধ্যত্মিক শক্তি ভোটের মাঠে দেখা যাবে।

জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এদেশের নব্বই ভাগ মানুষ হানাফি মাজহাবে বিশ্বাসি। কিন্তু এই মাজহাব ধ্বংস করতে গত ১৪ মাসে যা করা হয়েছে, তা বিগত ১৬ বছরেও হয়নি। তারা ক্ষমতায় গেলে দরবার, খানকা থাকবে না। তারা সারাদেশে মসজিদ কমিটি, বাজার কমিটি, দরবার কমিটিও দখল করেছে।
আকিদাবিরোধী বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। তারা মুসলমানদের আকিদা বিনাশ করছে। মাজারে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা সালাফি ভিত্তিক সমাজ গঠনের বার্তা দিয়েছে। তারা এককেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা চেয়েছে। তারা মাদরাসা শিক্ষা চায় না, আরবি বিশ্ববিদ্যালয় চায় না।তারা এখন রোজা-পূজা এক করে দেখছে। যখন যেখানে সুবিধা, তারা মাজারে গিয়ে জেয়ারত করছে, পুজায় গিয়ে মন্ত্রপাঠ করছে। আল্লাহর আইন আর সৎ লোকের শাসনের কথা বলে তাদের সেক্রেটারি জেনারেল এখন হিন্দুদের নিয়ে সমাবেশ করছেন।ইনকিলাব সম্পাদক আরও বলেন, এদেশে পীর মাশায়েখদের হাত ধরে ইসলাম এসেছে। আলেম ওলামাদের এই শক্তিকে কেউ মোকাবিলা করতে পারবে না।

ক্ষমা চাওয়া নিয়ে জামায়াত আমীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় বসে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত (পলিটিক্যাল এপোলজি)। সেখানে বসে আবার তারা ভারতের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। তাদের বাংলাদেশে সালাফি ভিত্তিক সমাজ কায়েম করতে দেয়া হবে না। এ জন্য আগামী নির্বাচনে কওমি-সুন্নি ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার সাবেক অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান আলকাদেরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক ছৈয়দ মাওলানা আবু ছালেহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ এজহারুল হক ও মোবাশ্বেরুল হক, আমানত শাহ দরগাহ শরীফের পীর হাবিব উল্ল্যাহ খান, পীরে কামেল সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুম কামাল।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ