আজঃ শুক্রবার ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

ভোটকেন্দ্রের ভেতর এবং ভোট গণনা কক্ষে দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী।

ঢাকা অফিস:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে এবং ভোট গণনা কক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাসদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। রিটার্নিং বা প্রিজাইডিং অফিসারদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাসদস্যদের এ দায়িত্ব পালন করবে।
একই সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকেও (র‍্যাব) এ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। প্রয়োজন হলে বিজিবি ও র‍্যাব হেলিকপটার ও ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করতে পারবে।
নিজস্ব যানবাহনের বাইরে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা রিটার্নিং অফিসার অথবা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বেসরকারি যানবাহন অধিযাচনপূর্বক ব্যবহার করতে পারবে। ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তায় মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোতায়ন সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে এসব ব্যবস্থার বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া নির্দেশনার আলোকে গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এবারের নির্বাচনে ৫ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ ও র্যাব সদস্য, ২ হাজার ৩৫০ কোস্ট গার্ড সদস্য এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে।

এর আগে ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচেন ইভিএমে ভোট নেওয়া ছয়টি আসনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে কারিগরি সহয়তা দেওয়ার জন্য সেনা সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এবার ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন সম্পর্কে পরিপত্রের ৯-এ বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষ্যে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সহ) ‘ইন এইড টু দি সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ফৌজদারী কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনের বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ‘ইনস্ট্রকশন রিগার্ডিং এইড টু দি সিভিল পাওয়ার’-এর ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজন অনুসারে উপজেলা-থানায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা দেবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা-উপজেলা-মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

৯ (ঘ) তে বলা হয়েছে, রিটার্নিং অফিসার বা প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনা কক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দায়িত্ব পালন করবে। এ বাহিনীর টিমের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। উপকূলবর্তী এলাকায় নৌবাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে। ঝুঁকি বিবেচনায় রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রতিটি জেলায় নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা কম-বেশি করা যাবে এবং এ বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয়সংখ্যক হেলিকপটার ও পরিবহন বিমান জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও বাহিনীসমূহের অনুরোধে উড্ডয়ন সহায়তা দেবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে এলাকাভিত্তিক মোতায়েন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।

২৫ জেলার ৭২ উপজেলা দুর্গম, ১২টি আসনে কোস্ট গার্ড মোতায়েন: নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের ২৫টি জেলার ৭২টি উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১২ সংসদীয় আসনের ১৩টি উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৪২টি ইউনিয়নে কোস্ট গার্ড মোতায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অক্টোবরে ৪৬৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত আহত ১২৮০ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সিএনজি ও মোটররিক্সা নিয়ন্ত্রণ জরুর
অক্টোবরে ৪৬৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত আহত ১২৮০ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি

এম মনির চৌধুরী রানা

বিদায়ী অক্টোবর মাসে দেশের গণমাধ্যমে ৪৬৯ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত, ১২৮০ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই মাসে রেলপথে ৫২টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত, ৩০ জন আহতের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তথ্যমতে, নৌ পথে ১১ টি দুর্ঘটনায় নিহত ১২ জন ও ০১ জন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩২ টি দুর্ঘটনায় ৫২৮ জন নিহত এবং ১৩১০ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ১৭০ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৬ জন নিহত, ১৩৭ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৬.২৪ শতাংশ, নিহতের ৩৭.৫২ শতাংশ ও আহতের ১০.৭০ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১২৬ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩০ জন নিহত ও ৩৪৩ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

আজ ১২ নভেম্বর বুধবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৫০ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩৯ জন চালক, ১১৯ জন পথচারী, ২৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৮ জন শিক্ষার্থী, ১৪ জন শিক্ষক, ৯৭ জন নারী, ৪০ জন শিশু, ০১ জন আইনজীবি, ০২ জন সাংবাদিক, প্রকোশলী ০৩ জন এবং ১৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০৪ জন পুলিশ সদস্য, ০১ জন র‌্যাব সদস্য, ০১ জন বিজিবি সদস্য, ০১ জন আইনজীবি, ০৩ জন প্রকোশলী, ১৩৩ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৯ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৩৫ জন শিশু, ৩৫ জন শিক্ষার্থী, ১৪ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৩ জন শিক্ষক ও ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭৭২ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৫.৯০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২১.২৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬.০৬ শতাংশ বাস, ১২.৮০ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৪.২৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৮.৪১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৪.৭৯ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৮৯ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.১৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৯.৬১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৪.৬৯ শতাংশ বিবিধ কারনে এবং ০.৬৩ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪২.৪৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩.৬৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৭.২৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৬৯ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.২৭ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৬৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, অক্টোবর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ :
১. বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দেশের সড়কের মাঝে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি, এসব গর্তের কারনে দুর্ঘটনা বেড়েছে।
২. সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, সিএনজি অটোরিক্সা, নসিমন-করিমন অবাধে চলাচল।
৩. জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা।
৪. সড়কে মিডিয়ান বা রোড ডিভাইডার না থাকা, সড়কে গাছপালায় অন্ধবাঁেকর সৃষ্টি।
৫. মহাসড়কের নির্মাণ ক্রটি, যানবাহনের ক্রটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।
৬. উল্টোপথে যানবাহন, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন।
৭. অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রীবহন।
৮. বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশসমূহ :
১. বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ দেশের সড়ক-মহাসড়ক জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা।
২. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা।
৩. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহন, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান।
৪. গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কে ফুটপাতসহ সার্ভিস লেইনের ব্যবস্থা করা।
৫. সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকের বেতন ও কর্মঘন্টা সুনিশ্চিত করা।
৬. মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা।
৭. সড়ক পরিবহন আইন উন্নত বিশ্বের আদলে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রয়োগ করা।
৮. সারাদেশে উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওর্য়াক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৯. মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।
১০. মেয়াদোর্ত্তীন গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবত ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।
১২. ড্রাইভিং প্রশিক্ষন গ্রহনকারী চালকের উপর চাপিয়ে দেওয়া ভ্যাট ও আয়কর অব্যাহতি দিতে হবে।
১৩. মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা আমদানী ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ করা ।

সব প্রার্থীর একই মঞ্চে বির্বাচণী ইজতেহার ঘোষণা এবং পোস্টার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সব প্রার্থীর জন্য একই মঞ্চে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করার বাধ্যবাধকতা রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য ফআচরণ বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিধিমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

এতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং ২০০৮ সালের আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় রেখে বেশ কিছু নতুন ও কঠোর বিষয় যুক্ত করে এই আচরণবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে।নতুন এই বিধিমালায় ভোটের প্রচারণায় প্রথমবারের মতো পোস্টার ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ড্রোন ব্যবহার এবং বিদেশে যে কোনো ধরনের প্রচারণা কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ