আজঃ রবিবার ১৩ জুলাই, ২০২৫

৬৯ 'র গনঅভ্যুত্থান:

২৪ জানুয়ারী গণঅভ্যুত্থান দিবসঃ বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক।

ঢাকা অফিস:

বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ। মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান।

দিবসটি পালন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা ভিত্তিক গণ-আন্দোলনের আদর্শকে ধারণ করে অগ্রসরমান সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন এবং ১১-দফা দাবি ঘোষণা করেন।

এই ১১-দফা দাবীর মূল ভিত্তি ছিল বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬-দফা। ৬-দফা ভিত্তিক ১১-দফা দাবীতে ছাত্রসমাজের সমস্যাকেন্দ্রিক দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি কৃষক ও শ্রমিকদের স্বার্থ সংক্রান্ত দাবিসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান দাবী ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ রাজবন্দিদের মুক্তি। ৬-দফা এবং পরবর্তীতে ১১-দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয় ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান।

’৬৯-এর ১৭ই জানুয়ারি ছাত্রনেতারা দেশব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনেম খান ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে।
সরকারি নিপীড়নের প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসভা ও প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ মিছিলে পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (আসাদ) নিহত হলে আন্দোলন আরও তীব্র হয়। শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়।

পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে এদিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউর রহমান ও রুস্তম শহীদ হন। প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সেদিন সচিবালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনগণ আইয়ুব-মোনেম চক্রের দালাল, মন্ত্রী, এমপিদের বাড়িতে এবং তাদের মুখপত্র হিসাবে পরিচিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও পাকিস্তান অবজারভার অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঢাকার পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত সার্জেন্ট জহুরুল হক বন্দি অবস্থায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নিহত হলে প্রতিবাদমুখর হয়ে বাংলার জনগণ। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা নিহত হলে সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে ছাত্র-জনতা। গণঅভ্যুত্থানের প্রবল চাপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্তগণ এবং নিরাপত্তা আইনে আটক ৩৪ জন নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খান। ২৩ ফেব্রুয়ারি লাখো জনতার উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটে। সেই থেকে ২৪ শে জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বকশীবাজারস্থ নবকুমার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সকলকে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বিদায়ী জুন মাসে ৬৭১ সড়ক দুর্ঘটনায় ৭১১ জন নিহত আহত ১৯০২।

বিদায়ী জুন মাসে দেশের গণমাধ্যমে ৬৭১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭১১ জন নিহত, ১৯০২ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই মাসে রেলপথে ৫৪ টি দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত, ১৪ জন আহতের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তথ্যমতে, নৌ পথে ১৮ টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৭৪৩ টি দুর্ঘটনায় ৭৮০ জন নিহত এবং ১৯১৬ জন আহত হয়েছে।

এই সময়ে ২২৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৪৪ জন নিহত, ২১২ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩.৩৮ শতাংশ, নিহতের ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহতের ১১.১৪ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১৬০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭২ জন নিহত ও ৫৮৮ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২৫ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বুহস্পতিবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১১ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৯ জন চালক, ১১০ জন পথচারী, ৪৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬০ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন শিক্ষক, ১০৫ জন নারী, ৬০ জন শিশু, ০২ জন চিকিৎসক , ০২ জন প্রকোশলী, এবং ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০৫ জন পুলিশ সদস্য, ০৫ জন সেনাবাহিনী সদস্য, ০২ জন চিকিৎসক , ০২ জন প্রকোশলী, ১১৫ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৪ জন পথচারী, ৮৪ জন নারী, ৪৫ জন শিশু, ৫৬ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন পরিবহন শ্রমিক, ০৮ জন শিক্ষক ও ১১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯৭৪ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৬.৩৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৪৮ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬.৯৪ শতাংশ বাস, ১২.৭৩ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৬.৭৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৭.৭০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.৯৮ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪১.২৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৯.৬৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১.৩১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৬.৭০ শতাংশ বিবিধ কারনে, চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.২৯ শতাংশ, এবং ০.৭৪ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

বন্দর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বন্দর নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করা দরকার। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। জনগণকে সঠিক তথ্য জানিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে দেশের প্রশ্নে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেবার সম্ভাবনা কমে আসবে। জনগণের অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে জাতীয় সংহতি আরও শক্তিশালী হবে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে একটি সমন্বিত ও কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করা যেতে পারে, যা বন্দরের উন্নয়ন ও সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বন্দর ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার আগে আগে সকল অংশীজন যেমন- বন্দর কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক ইউনিয়ন, ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনগণ সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে আলোচনা করা উচিত। এতে করে, প্রস্তাবিত পদক্ষেপের সম্ভাব্য প্রভাব এবং সুবিধা-অসুবিধাগুলো সবার সামনে উন্মোচিত হবে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় রাজনীতিক জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, বন্দরের সমস্ত বিনিয়োগ বাংলাদেশের জনগণের টাকায় হয়েছে। ফলে জনগণের জানার অধিকার আছে কেন, কার স্বার্থে, কি স্বার্থে বন্দরকে বিদেশী কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় দেয়া হবে। বন্দরকে আরও আধুনিকায়ন ও প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে এটা সত্য। কিন্তু জনগণের মতামত ছাড়া চাপিয়ে দেয়া পূর্বের সংস্কৃতিকে লালন করে কারও মতামতকে তোয়াক্কা না করে বিদেশী অপারেটর নিয়োগ কোনভাবেই জনগণ মেনে নেবে না।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বৈশাখী টিভির ব্যুরো চীফ গোলাম মওলা মুরাদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, দৈনিক আজাদীর সাবেক বার্তা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, নিউজগার্ডেনের সম্পাদক কামরুল হুদা, চট্টগ্রাম টেলিভিশন রির্পোটার্স নেটওয়ার্কের আহবায়ক কমিটির সদস্য আরিচ আহমেদ শাহ, বিজনেস বাংলাদেশের ব্যুরো চীফ জাহাঙ্গীর আলম, সি-প্লাস টিভির সরোজ আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি সহ প্রমুখ।

নতুন বাংলাদেশে মিডিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে জোনায়েদ সাকি বলেন, সাংবাদিকতা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সাংবাদিকদের মুখ্য ও পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে চলমান ঘটনা ও বাস্তবতাকে তুলে ধরা। সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে নেশা সম্পৃক্ত না হলে সে সংবাদ গভীরতা পায় না, সত্যনিষ্ঠ সংবাদের গতি হারিয়ে সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হয়। ৫ আগষ্ট পরবর্তীতে মিডিয়ার সংস্কার কার্যক্রমে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর মিডিয়ার উপর একক নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে আনতে প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষ, সন্মানজনক বেতনভাতা প্রদান সহ মিডিয়া গ্রুপে একাধিক প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্ব আনা গেলে মিডিয়া স্বাধীন ভাবে কাজ করে দেশ ও জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানেই একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো তৈরির উপাদান রয়েছে। ফলে এটিকে পরিবর্তন, বিচার বিভাগকে স্বাধীন না মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে গণতন্ত্রের মোড়কে একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো গড়ে উঠে। জুলাই অভ্যাুত্থান পরবর্তীতে এসব মৌলিক সংস্কার না করে নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকাঠামোর পরিবর্তন হলে আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এজন্য একজন ব্যক্তির জীবৎদশায় প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় নির্ধারণ সহ বেশ কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে দেশের প্রায় সকল দল ঐক্যমত পোষণ করেছে। এটা আগামীর বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ