আজঃ শনিবার ১২ জুলাই, ২০২৫

১০ মাঘের গাউসুল আযম মাইজভান্ডার দরবার শরীফ দেশের সর্ববৃহৎ স্বতঃস্ফূর্ত জনসমাবেশ

লেখক ঃ নাজমুল হাসান চৌধুরী হেলাল আওলাদে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারি (ক.)

১০ মাঘের গাউসুল আযম মাইজভান্ডার দরবার শরীফ
দেশের সর্ববৃহৎ স্বতঃস্ফূর্ত জনসমাবেশ

১০ মাঘ ১৪৩০ বাংলা ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ বুধবার বাংলাদেশে প্রবর্তিত একমাত্র ত্বরিকা,বিশ্বসমাদৃত ‘ত্বরিকা-ই-মাইজভা-ারীয়া’র প্রবর্তক গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভা-ারী (ক.) কেবলা কাবার ১১৮তম মহান ১০ মাঘ উরস শরিফ ১০ মাঘ। বাংলা সনের এ তারিখ চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের বর্ষপঞ্জির এক উল্লেখযোগ্য তাৎপর্যময় দিন।এ তারিখটি সারা বাংলাদেশের জন্যই সাংবাৎসরিক গুরুত্বপূর্ণ তারিখ হিসেবে প্রতিষ্টিত।১০ মাঘ,হযরত গাউসুল আযম মাইজভান্ডারি শাহসূফি হযরত মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহর (ক.)ওফাত দিবস।বাংলা ১৩১৩ সনের ১০ মাঘ মোতাবেক ইংরেজী ১৯০৬ সনের ২৩ জানুয়ারী তিনি ওফাত প্রাপ্ত হন। (সুত্র মাসিক আলোকধারা) এ তারিখে প্রতি বছর মাইজভান্ডার দরবার শরীফে মহাসমারোহে উরস শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর মাঘ মাস শুরু হবার আগে থেকেই চট্টগ্রাম তথা সমগ্র বাংলাদেশের নিভৃত পল্লী জনপদগুলো ঢোলক, খরতাল প্রভৃতি রখমারী বাদ্যের তালে তালে জেগে উঠে অকস্মাৎ। মুখরিত হয়ে ওঠে গ্রাম বাংলার কৃষকের শান্ত উঠোন,প্রশান্ত আঙিনা। বাদ্যের তালে তালে অনুরণিত হতে থাকে মাইজভা-ারী গানের সুর। ‘মানুষ ধরা কল বসাইছে আমার বাবা ভান্ডারী, সেই কলেতে পড়লে ধরা আর থাকেনা ঘর-বাড়ী’ নানান ধরনের তকরীর দিতে দিতে সারিবদ্ধভাবে চলে মানুষ। পাড়ায় পাড়ায় ঘরে ঘরে গিয়ে সংগ্রহ করে উরস উপলক্ষে চাউল টাকা। ঢোলকের তাল, সানাইয়ের সুর শুনেই বৌ-ঝিরা বুঝতে পারে ওরশের নজরানা যোগাড়ে বেরিয়েছেন ভক্তরা। এসব দলে থাকেন এক কিম্বা একাধিক মাস্তান।শুধু চট্টগ্রামে নয়,বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামেই,এমনকি প্রতিটি মহল্লাতেই পাওয়া যাবে কয়েকজন করে ভান্ডারী-পাগল এমন মাস্তান। তাদের কারো মাথায় লম্বা বাবড়ী কাটা ঝাকড়া চুল। কারো হাতে লোহার কিম্বা গাছের বড় লাঠি,কারো হাতে লোহা বা তামা পিতলের বালা। পোশাকে-আশাকে নিতান্তই সাধারণ। কিন্তু প্রথম দর্শনেই এদের স্বকীয় একটা বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে। এদের দেখলে যে কেউই সহজে বুঝতে পারে। এরা ভান্ডারীর পাগল-মাস্তান। হক ভান্ডারীই এদের মুখের বুলি, জপমন। সারা দুনিয়াই যেন এদের ঘর। কেউ এদের পর নয়। উরস শরীফের নজরানা সংগ্রহের মিছিলে এদের উপস্থিতি পরিবেশকে করে তোলে আরো বৈচিত্র্যময়। যেখানে সেখানে এরা হালকায়ে জিকির শুরু করে দেয়। ঢোলক বাঁশীর আওয়াজ পেলে তো কথাই নেই এদের ভাবের সাগরে যেন তুফান উটে। বাল্যকালে এমন মিছিলে দু একজন মাস্তান কে ঢোলকের তালে তালে গাইতে শুনেছি “ফকিরী সহজ কথা না,লম্বা চুলে তেল মাখিলে ফকিরী পাবা না” কিম্বা ভান্ডারী! কি যাদুতে আমায় ভুলাইলি, গোস্ত দিবার আশা দিয়া কত্তি কিনালি (কত্তি অর্থ মাটির বদনা) “দেখে যারে মাইজভান্ডারে হইতাছে নুরের খেলা, নুরের মাওলা বসাইছে প্রেমের মেলা” আরো দেখেছি গান শুনে শ্রদ্ধা ও বিস্ময়ের অশ্রুসিক্ত অভিব্যক্তি।
১০ মাঘের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয় মাইজভান্ডার শরীফ অভিমুখে জনগ্রোত। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায় দুর দুরান্ত থেকে শত শত বাস ভাড়া করে আসেন লাখ লাখ মানুষ। সে এক অপরূপ দৃশ্য। ট্রেনে বাসে পায়দলে কেবল মানুষের মিছিল।কিসের টানে কোন সে মোহিনী আকর্ষণে কাতারে কাতারে লক্ষ লক্ষ মানুষ এদিকে ছুটে আসেন।তা আল্লাহপাকই ভাল জানেন। সুফি কবি আবদুল হাদীর ভাষায় চল গো প্রেম সাধুগণ প্রমেরী বাজার,প্রেম হাট বসিয়াছে মাইজভান্ডার মাঝার। নারী পুরুষ, শিশু যুবক সকল বয়সের সকল স্তরের মানুষের সে এক মিলনমেলা মহাসম্মিলন। সমগ্র বাংলাদেশ যেন ভেঙে পড়ে মাইজভান্ডার শরীফ গ্রামে। মাইজভান্ডার শরীফ হয়ে ওঠে সমগ্র বাংলাদেশের মহামিলন তীর্থ। গোটা দেশের সাংস্কৃতিক আর্থিক ঐক্যের প্রতীক- প্রতিভু। লাখো লাখো মানুষ শুধু যায় আর আসে, পিঁপড়ের ঝাকের মত। সে দৃশ্য চোখে না দেখলে বলে বুঝানো যাবেনা।১০ মাঘ এভাবে পরিনত হয় বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম স্বতঃস্ফূর্ত জনসমাগম স্থলে। শুধু জনসমাগম নয়,এই গোটা বিশাল গ্রামটিই তখন পরিনত হয় এক সুবিশাল এবাদতগাহে।সর্বক্ষণ চলে হালকায়ে জিকির,মিলাদ মাহফিল।দরবারের স্থানে স্থানে অজিফা পাঠ। আল্লাহর হামদ, মহনবীর নাত, আওলিয়া কেরামদের শানে গজল কাওয়ালী। ধর্মীয় পবিত্রতা, নিবেদিত প্রানের আকুতি যেন জড়িয়ে রাখে সমগ্র মাইজভান্ডার শরীফ কে। মানুষ নিজের অজান্তেই এতে হারিয়ে যায়, বিলীন হয়ে যায় মিশে যায় সেই অনাদি অনন্ত মহাশক্তির দরদী বুকে, মরমী সত্তায়। ১০ মাঘ উপলক্ষে মাইজভান্ডার শরীফে বসে এক বিরাট মেলা।বর্তমানে ঐ তারিখে দরবার শরীফের আশে পাশে বাজারগুলো যথা নাজিরহাট, নানুপুর লেলাং ফরহাদাবাদ প্রভৃতি জমে উঠে। হস্তশিল্পজাত বহু সামগ্রী এখানে বেচা কেনা হয়। চালুনি কুলা বেলুনি দা চুরি কোদাল বাঁশ বেতের অন্যান্য সামগ্রী। মাটির তৈরি তৈজস খেলনাপাতি মৌসুমি ফসল মূলা খীরা বরই হরেক রকম জিনিস পত্রের পসরা বসে। হালদা নদীর ভেতর চরে জম্মানো সাত/আট থেকে বার/চৌদ্দ কেজি ওজনের বিশাল বিশাল মুলা কাঁধে ঝুলিয়ে ঘরে ফেরেন ওরশার্থীরা। ১০ মাঘের কয়েকদিন আগে পিছে চলে চলে বেচাকেনা। ১০ মাঘ হয়ে ওঠে বাংলাদেশের হরেক রকম কুটির শিল্পের এক প্রদর্শনী ও বিপণন কেন্দ্র। আবহমান বাংলাকে পরিপূর্ণ রূপে খুঁজে পাওয়া যায় এখানে।
মাইজভান্ডার দরবার শরীফে সকল ঘরে চলে এ উপলক্ষে জেয়াফত। দরবারে আগত লক্ষ লক্ষ মানুষ এখান থেকে খালি মুখে ফিরে যেতে পারেন না ফিরে যান না। তারা কেউ খালি হাতে আসেন না। প্রত্যেক দল সাথে করে নিয়ে আসেন মহিষ গরু ছাগল মোরগ চাউল রান্নার মসল্লা সামগ্রী। জমা দেন দরবারে। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে চলে রান্না বান্না ও পরিবেশনের কাজ।যে যার নিয়ত ও মানত করে খায়। এ দরবারের তবররুক খেয়ে জটিল রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন এমন লোকের সংখ্যাও অগণিত। রান্না বান্নার খানা পিনার এ বিশাল আয়োজন প্রকৃত অর্থে এক বিষ্ময়কর ব্যাপার লক্ষ লক্ষ মানুষেরা সারিবদ্ধভাবে শৃঙ্খলার সহিত খেয়ে এখান থেকে যান।এর বৈশিষ্ট্য হলো এ খানা পিনায় ধনী গরীব সকলের জন্য একই ব্যবস্থা।খানা পিনা সরবরাহ করা হয় মাটির সানকিতে (বছি) বর্তমানে মেলামাইনের বাসনে (প্লেট)।হাজার হাজার মাটির সানকির প্রয়োজন হয় মাইজভান্ডার উরশ এ। এই মাইজভান্ডার শরীফই বলতে গেলে চট্টগ্রামের শত শত কুমোর পরিবারকে টিকিয়ে রেখেছে দীর্ঘদিন।অনেকেরই জানতে ইচ্ছে হয়, এখানে ১০ মাঘ কত মহিষ গরু ছাগল জবাই হয়? হিসেব করে এর জবাব দেওয়া সম্ভব নয়।বলতে গেলে হাজারো হাজার। সে এক এলাহি কান্ড। কেবল মাইজভান্ডার দরবার শরীফে নয় ১০ মাঘ সারা বাংলাদেশে এমন কি দেশের বাইরে যেখানে ভক্ত অনুসারীরা আছেন কিন্তু কোনো না কোনো কারণে দরবারে হাজির হতে পারেন নাই। তারা নিজ নিজ অবস্থানে সমবেতভাবে উরশ শরীফের আয়োজন করেন।এই উরশ শরীফ বাঙালির জাতীয় অনুষ্টানের দাবীদার। বিশেষ করে জাতি ধর্ম দল মত বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের নিঃসংকোচ ও অবাধ অংশগ্রহন এ উরশ শরীফকে সার্বজনীনভাবে গৌরবের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।

লেখক ঃ নাজমুল হাসান চৌধুরী হেলাল
আওলাদে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারি (ক.)

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহঃ) ওরশ ও শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে মিলাদ মাহফিল

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় পরিষদের ব্যবস্থাপনায় জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ অসংখ্য খানকাহ্ মাদ্রাসা সহ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আওলাদে রাসূল, মুর্শিদে বরহক আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহঃ) এর ৩৩ তম সালানা ওরশ মোবারক ও পবিত্র শোহদায়ে কারবালা স্মরণে আজিমুশশান মিলাদ মাহফিল গত ৬ জুলাই রবিবার দুবাই রাশেদীয়াস্থ মুহাম্মদ আতাউর রহমান গ্যারেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের কেন্দ্রীয়কমিটি সহ সভাপতি মুহাম্মদ আজম খান এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয়কমিটি সহ সভাপতি, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা মুহাম্মদ ফজলুল কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ ওমর গণি এর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ ফারুক বাহাদুর। এতে প্রধান ওয়ায়েজিন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ধর্ম সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল গফুর নোমানী, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দীয় পরিষদের উপদেষ্ঠা মুহাম্মদ ইয়াসিন,সহ সভাপতি মুহাম্মদ মনসুর আলম,মুহাম্মদ আবু তৈয়্যব,যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মোবারক আলী,মুহাম্মদ ইফতেখার উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক হাজী মুহাম্মদ ইয়াকুব,মুহাম্মদ আবদুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আতাউর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন,সহ অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ মুসা,

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন আহলে বায়েতে রাসূল ইমাম হোসাইন রাঃ এর সর্বোচ্চ ত্যাগ তথা শোহাদায়ে কারবালার মাধ্যমেই ইসলাম নতুন জীবন লাভ করেছে এবং সেই ইসলামের খেদমত মসৃনভাবে সারা বিশ্বে এখনো ছালিয়ে যাচ্ছেন আহলে বায়েতের অন্যতম দিকপাল শাহেন শাহ সিরিকোট, আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রহঃ এবং তাঁর বংশধররা,এরকম একটি সিলসিলার ধামান ধরতে পেরে আমরা গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা বড়ই সৌভাগ্যবান।

মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সেলিম উদ্দিন তৈয়্যবী,মাওলানা আবদুল করিম,এ এম এম মারুপ উল হক, মুহাম্মদ নুরুল আবছার,মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, মুহাম্মদ হাসান মুরাদ, মুহাম্মদ শাহাজাহান শিকদার, মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন, মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল রোমান প্রমূখ। পরে মিলাদ ক্বিয়াম এবং আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি হয়।

মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ধানতলিয়া দক্ষিণ শাখা’র কবরস্থান পরিষ্কার কর্মসূচী (১ম পর্ব) সম্পন্নঃ

পবিত্র শোহাদায়ে কারবালার স্বরণ ও কবরবাসীদের মাগফিরাত কামনায় মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ধানতলিয়া দক্ষিণ শাখা’র ব্যবস্থাপনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার, নাসিরনগর উপজেলার, চাতলপাড় ইউনিয়নের, ধানতলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন “ধানতলিয়া মজমদারী কবরস্থান” এ উক্ত শাখার সভাপতি জনাব শিবলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জনাব শিপন মিয়ার যৌথ পরিচালনায় আজ ১১ মহররকে

৭ জুলাই ২০২৫ ইংরেজি সোমবার সকাল ৮ ঘটিকা হইতে দুপুর ১২.৩০ মিনিট পর্যন্ত কবরস্থান পরিষ্কার কর্মসূচি ও করব জিয়ারত (১ম পর্ব) সমাপ্ত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধানতলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৈয়দ আল মাহিয়ান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাংগঠনিক সমন্বয়কারী মাওলানা মোহাম্মদ তামজিদ মিয়া।

সেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ধানতলিয়া দক্ষিণ শাখা’র বিভিন্ন সম্পাদক ও সদস্য এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে মোঃ মুনতাসির ভূইয়া মোঃ খন্দকার রবিউল হাসান মারুফ মোঃ জুনাইদ ভূইয়া মোঃ মোজাহিদ ভূইয়া
মোঃ তামিম মিয়ামোঃ আসরাফোল মিয়ামোঃ মিখাইল ভূইয়া মোঃ সুখন মিয়ামোঃ রবিন মিয়ামোঃ তোফায়েল মিয়া প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ