বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা।
রমজানে নিত্যপণ্যের কোনো ঘাটতি নেই জানিয়ে অস্থিরতা এড়াতে ভোক্তাদের কেনাকাটায় সংযত হতে বলেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। আজ বুধবার কারওয়ান বাজারে সংস্থাটির কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘তেল, ডাল, ছোলার পর্যাপ্ত আমদানি করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারিভাবে টিসিবিও খোলা বাজারে এসব পণ্য বিক্রি করবে। ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। একবারে অনেক পণ্য না কিনে প্রয়োজন অনুযায়ী কেনাকাটা করলে সমস্যা থাকবে না। একই সঙ্গে বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের আন্তরিক হতে হবে। অতি মুনাফার প্রবণতা থেকে বের হতে হবে। ক্রেতা পণ্য কিনলে তার রশিদ দিতে হবে।’
সভায় পণ্যের দাম নিয়ে গুজব না ছড়াতেও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, ‘রমজান মাসে তেল, চিনি, ছোলা, খেজুরসহ কতিপয় পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। সে প্রেক্ষিতে এ সব পণ্যের মজুদ ও সরবরাহ ঠিক রাখা চ্যালেঞ্জের বিষয়। আমাদের ত্রুটিপূর্ণ বিপণন ব্যবস্থার কারণে একই পণ্য বিভিন্ন হাতবদলের মাধ্যমে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়।’
আলোচনায় ভোক্তার মহাপরিচালক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহণ ব্যয় বৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ডলার সমস্যা, লোহিত সাগর দিয়ে পরিবহন সংক্রান্ত সমস্যা ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
সভায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারের সরবরাহ ব্যবস্থা মন্থর করার জন্য দায়ী অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।’
আলোচনায় কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কোষাধ্যক্ষ ড. মঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের নীতি-নৈতিকতা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করা উচিত।