শীত এলেই বাঙালির মনে পড়ে শীতের পিঠার কথা। পিঠা ছাড়া বাংলার শীত যেন পরিপূর্ণ হয় না। ঐতিহ্যবাহী শীতের বাহারি পিঠা খাওয়ার রীতি বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতির অংশ। তাই প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাঙালিদের এই রীতি ধরে রাখতে আরব আমিরাতের জমকালো আয়োজনে শারজাহ’য় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘প্রবাসী পিঠা উৎসব’।শীতকালীন পিঠা উৎসব ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেকোনো উৎসবে পিঠা খাওয়া বাঙালির হাজার বছরের পুরোনো সংস্কৃতি। আর এই সংস্কৃতি ঘিরে প্রতিবছর দেশে-বিদেশে বর্ণিল আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
শীতজুড়ে বাংলাদেশে সব ধরনের পিঠা খাওয়ার উন্মাদনা থাকে।
তেমনি ভাবে প্রবাসে দেশীয় সংস্কৃতি এবং নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার চিরন্তন ঐতিহ্য তুলে ধরতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আমিরাত সংবাদ পাঠক ফোরাম। রবিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আমিরাতের সারজায় বাংলাদেশ সমিতির হল রুমে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
শারজায় বর্ণাঢ্য আয়োজন আর উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব। বিকাল থেকে পিঠা উৎসবে নারী-পুরুষ ও শিশুদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।নানা পদের বিভিন্ন রঙের গরম ও শীতের রসালো পিঠাই ভরে ওঠে প্রতিটি টেবিল। বিভিন্ন রকমের নকশি পিঠা দিয়েও সাজানো হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জনপ্রিয় পিঠা স্থান পায় এই উৎসবে। ছিল দুধ চিতই, রস মঞ্জুরি পিঠা, ঝাল পাটিসাপটা পিঠা, খলা ঝালি পিঠা, নারকেল নাড়ু, পাটিসাপটা, বাশবোশা পিঠা, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, ডিম পোয়া পিঠা, পুলি পিঠা, নারকেল পিঠা, নোনাস পিঠাসহ বিভিন্ন বাহারী নামের ও রকমের