আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

বহিবিশ্ব:

রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত শহরে তীব্র লড়াই চলছে।

বহিবিশ্ব নিউজ ডেস্ক:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কিয়াকতাউয়ে সেনাবাহিনীর নবম মিলিটারি অপারেশন্স কমান্ডে (এমওসি-৯) হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। রাখাইনের কালাদান উপত্যকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান কিয়াকতাউয়ে সেনাদের অবস্থানে হামলার পর সেখানে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। কিয়াকতাউ একটি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত শহর।

সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শুক্রবার সারাদিন সেখানে লড়াই হয়। যা মধ্যরাত থেকেই বেশ তীব্র ছিল।

সূত্রটি বলেছে, ‘এমওসি-৯-এ আরাকান আর্মির সদস্যরা গত তিন থেকে চারদিন ধরে হামলা চালাচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। আমরা জানতে পেরেছি আরাকান আর্মি সেখানে এগিয়ে আছে এবং এমওসি-৯ এ প্রবেশ করেছে।’

উত্তপ্ত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন, পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ

আরাকান আর্মিসহ তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠী গত অক্টোবরে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামের একটি জোট তৈরি করে। ওই জোট নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত হামলা চালাচ্ছে।

গত ২৪ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে ব্রাদারহুড অ্যালায়ন্স জানায়, জান্তাবাহিনীর প্রত্যেকটি ডিভিশন এবং ঘাঁটি একটি একটি করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।

স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, কিয়াকতাউয়ের এমওসি-৯ জান্তাবাহিনীর একটি ডিভিশন। বিবৃতিতে এই ডিভিশন দখলের চেষ্টার কথা উল্লেখ করেছিল ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।

রাখাইন রাজ্যের পাউয়াকতো শহরের ওপর নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে আরাকান আর্মি। এখন তারা কিয়াকতাউ, মারুক-উ, মিনবায়া এবং রথডংয়ে জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে। এসব অঞ্চলে অবস্থানরত সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখনো আত্মসমর্পণ করেনি।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য গত কয়েকদিন ধরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাখাইনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্যাপক লড়াই হচ্ছে। এ লড়াই পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরের বুচিডংয়ে।

সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে রাখাইনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি।

দ্য আরকান এক্সপ্রেস নিউজ নামের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে সেখানে প্রচণ্ড হামলা ও পাল্টা হামলা হচ্ছে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বুচিডংয়ের একটি রোহিঙ্গা গ্রামে ভারী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় জান্তা বাহিনী। তাদের ছোড়া দুটি বোমা সাধারণ মানুষের বাড়িতে আঘাত হানে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে বুচিডং এবং আশপাশের অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে জান্তা বাহিনী।

ইয়ুথ এশিয়া ফর মায়ানমার নামের একটি ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, বুচিডংয়ের ফো নো লেক গ্রামের ১০০ বাসিন্দা বোমা হামলার ভয়ে অন্যান্য গ্রামে চলে গেছেন। সেখানে আরাকান আর্মির সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।

সূত্র: নিরানজারা নিউজ

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ইরান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ