আজঃ শুক্রবার ১১ জুলাই, ২০২৫

এ মেয়াদে দেশকে অতিদারিদ্র্য মুক্ত করব: প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকা অফিস:

জাতীয়:

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে এ মেয়াদের মধ্যে দেশে অতিদারিদ্র্যের হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। দেশকে অতিদারিদ্র্য মুক্ত করব।

বৃহস্পতিবার (ফেব্রুয়ারি ১) সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ১২টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতগণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একেবারে তৃণমূল থেকে উন্নয়ন নিশ্চিত করছে। যদি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সারা দেশ উন্নত হবে এবং জনগণ তার সুফল পাবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অতিদারিদ্রের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। আগে দেশে দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশের বেশি ছিল।

দুস্থ নারী, বিশেষ করে স্বামী পরিত্যক্ততা, বিধবা নারীসহ সমাজে অসহায় মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় সহায়তাসহ দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি সরাসরি অংশগ্রহণ করছে।

সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিকের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রান্তিক জনগণ স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছে। কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পূর্ণ তার সরকারের ব্রেইন চাইল্ড এবং এই প্রচেষ্টার ফলে দেশে মা ও শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

সারা দেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান করেন।

বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও যোগাযোগ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

সাক্ষাতের শুরুতে, বতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, মেসিডোনিয়া, মঙ্গোলিয়া, লুক্সেমবার্গ, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, স্লোভেনিয়া, পেরু এবং ভেনিজুয়েলার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনাররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থ মেয়াদ এবং পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রদূতরা জানান, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে অভিভূত ও অনুপ্রাণিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বন্দর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বন্দর নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করা দরকার। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। জনগণকে সঠিক তথ্য জানিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে দেশের প্রশ্নে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেবার সম্ভাবনা কমে আসবে। জনগণের অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে জাতীয় সংহতি আরও শক্তিশালী হবে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে একটি সমন্বিত ও কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করা যেতে পারে, যা বন্দরের উন্নয়ন ও সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বন্দর ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার আগে আগে সকল অংশীজন যেমন- বন্দর কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক ইউনিয়ন, ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনগণ সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে আলোচনা করা উচিত। এতে করে, প্রস্তাবিত পদক্ষেপের সম্ভাব্য প্রভাব এবং সুবিধা-অসুবিধাগুলো সবার সামনে উন্মোচিত হবে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় রাজনীতিক জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, বন্দরের সমস্ত বিনিয়োগ বাংলাদেশের জনগণের টাকায় হয়েছে। ফলে জনগণের জানার অধিকার আছে কেন, কার স্বার্থে, কি স্বার্থে বন্দরকে বিদেশী কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় দেয়া হবে। বন্দরকে আরও আধুনিকায়ন ও প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে এটা সত্য। কিন্তু জনগণের মতামত ছাড়া চাপিয়ে দেয়া পূর্বের সংস্কৃতিকে লালন করে কারও মতামতকে তোয়াক্কা না করে বিদেশী অপারেটর নিয়োগ কোনভাবেই জনগণ মেনে নেবে না।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বৈশাখী টিভির ব্যুরো চীফ গোলাম মওলা মুরাদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, দৈনিক আজাদীর সাবেক বার্তা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, নিউজগার্ডেনের সম্পাদক কামরুল হুদা, চট্টগ্রাম টেলিভিশন রির্পোটার্স নেটওয়ার্কের আহবায়ক কমিটির সদস্য আরিচ আহমেদ শাহ, বিজনেস বাংলাদেশের ব্যুরো চীফ জাহাঙ্গীর আলম, সি-প্লাস টিভির সরোজ আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি সহ প্রমুখ।

নতুন বাংলাদেশে মিডিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে জোনায়েদ সাকি বলেন, সাংবাদিকতা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সাংবাদিকদের মুখ্য ও পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে চলমান ঘটনা ও বাস্তবতাকে তুলে ধরা। সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে নেশা সম্পৃক্ত না হলে সে সংবাদ গভীরতা পায় না, সত্যনিষ্ঠ সংবাদের গতি হারিয়ে সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হয়। ৫ আগষ্ট পরবর্তীতে মিডিয়ার সংস্কার কার্যক্রমে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর মিডিয়ার উপর একক নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে আনতে প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষ, সন্মানজনক বেতনভাতা প্রদান সহ মিডিয়া গ্রুপে একাধিক প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্ব আনা গেলে মিডিয়া স্বাধীন ভাবে কাজ করে দেশ ও জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানেই একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো তৈরির উপাদান রয়েছে। ফলে এটিকে পরিবর্তন, বিচার বিভাগকে স্বাধীন না মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে গণতন্ত্রের মোড়কে একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো গড়ে উঠে। জুলাই অভ্যাুত্থান পরবর্তীতে এসব মৌলিক সংস্কার না করে নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকাঠামোর পরিবর্তন হলে আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এজন্য একজন ব্যক্তির জীবৎদশায় প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় নির্ধারণ সহ বেশ কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে দেশের প্রায় সকল দল ঐক্যমত পোষণ করেছে। এটা আগামীর বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসবে।

ইউরোপ-বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্বোধন।

বারিধারা কূটনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত অ্যাসকট দ্য রেসিডেন্স ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইউরোপ-বাংলাদেশ ফেডারেশন অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইবিএফসিআই) তার বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে গর্বের সাথে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক চিহ্নিত করেছে। উচ্চ-স্তরের এই অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা এবং উন্নয়ন অংশীদারদের একত্রিত করা হয়েছিল।

(ইবিএফসিআই) যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ এবং ইউরোপের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব জোরদার করার জন্য একটি কৌশলগত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ব্যবসায়ী নেতা, নীতিনির্ধারক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে গভীর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে, (ইবিএফসিআই) সীমান্ত জুড়ে সহযোগিতামূলক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কাজ করে।

(ইবিএফসিআই) বাংলাদেশের পরিচালক এবং কান্ট্রি হেড জনাব মুহাম্মদ আলী বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সহায়তা বাস্তুতন্ত্রকে পুনর্গঠন করার জন্য (ইবিএফসিআই)-এর লক্ষ্যের উপর জোর দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত,” তিনি বলেন, “যেহেতু আমরা স্থানীয় প্রতিভা এবং খাতগুলিকে বিশ্বব্যাপী দক্ষতার প্রয়োজনীয়তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রচেষ্টা বাংলাদেশের মূল শিল্পগুলিকে তৈরি পোশাক এবং তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা এবং পর্যটন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক এবং টেকসই করে তুলবে।”

(ইবিএফসিআই) সভাপতি ড. ওয়ালি তাসার উদ্দিন এমবিই, ডিবিএ জেপি, একটি দূরদর্শী মূল বক্তব্য প্রদান করে, বিডা এবং আরজেএসসিতে সংগঠনের আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন ঘোষণা করেন, যা বাংলাদেশে পূর্ণ কার্যকরী বৈধতা প্রদান করে। এটি কেবল একটি অধ্যায়ের সূচনা নয়, এটি ইউরোপ এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী, ফলাফল-ভিত্তিক অংশীদারিত্বের সূচনা, তিনি নবনিযুক্ত (ইবিএফসিআই) বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানান।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনজিল মুরশিদ, (ইবিএফসিআই) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্বোধনকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তার ভাষণে বলেন, তিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য (ইবিএফসিআই) এর দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য (এইচআরপিবি) এর প্রস্তুতি ব্যক্ত করেন।

শক্তিশালী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের বার্তায়, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং রাষ্ট্রদূত মি. মাইকেল মিলার বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করার জন্য ইইউর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি ইউরোপ ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সেতু নির্মাণের জন্য (ইবিএফসিআই)-এর প্রশংসা করেন এবং উদ্ভাবন, সবুজ অর্থনীতি এবং মানব পুঁজি উন্নয়নে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রতি উৎসাহ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব আসাদ সিয়াম, বাণিজ্য কূটনীতিকে এগিয়ে নিতে, সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এবং নতুন বিশ্ব বাজারে নেভিগেট করতে বাংলাদেশী ব্যবসাগুলিকে সহায়তা করার জন্য কীভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ইবিএফসিআই)-এর সাথে সহযোগিতা করতে পারে সে সম্পর্কে মন্তব্য করেন। তিনি রপ্তানি-বৈচিত্র্যকরণ, এনআরবি সম্পৃক্ততা এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিংয়ের মতো ক্ষেত্রগুলিকে সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরেন।

(ইবিএফসিআই) এর পরিচালক সামি সানাউল্লাহ, উদীয়মান বৈশ্বিক বাজারগুলির রূপরেখা তুলে ধরে একটি বিস্তৃত উপস্থাপনা প্রদান করেন যেখানে বাংলাদেশের অব্যবহৃত সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, কৃষি-প্রক্রিয়াজাত পণ্য, শিক্ষা এবং প্রযুক্তির পাশাপাশি সবুজ প্রযুক্তি, হালাল অর্থনীতি, জৈবপ্রযুক্তি এবং ডিজিটাল পরিষেবা সহ বিভিন্ন উচ্চ-প্রবৃদ্ধির খাতে কৌশলগত প্রবেশের উপর জোর দেন।

তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের রপ্তানি ভিত্তি বৈচিত্র্যময়করণ এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করার জন্য এই ক্ষেত্রগুলি অপরিহার্য। দর্শকদের সামনে একটি ভিডিও উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়, যেখানে (ইবিএফসিআই) এর এখন পর্যন্ত সম্পৃক্ততা এবং আন্তঃসীমান্ত অংশীদারিত্ব সহজতর করার ক্ষেত্রে এর ক্রমবর্ধমান ভূমিকা তুলে ধরা হয়। উদ্বোধনটি সুযোগের একটি নতুন যুগের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে (ইবিএফসিআই) টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈশ্বিক একীকরণ এবং সাংস্কৃতিক সংযোগের জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে অবস্থান করে।

উক্ত অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে (ইবিএফসিআই) বাংলাদেশের নব-নিযুক্ত পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস নিপা, মাকসুদা খান মিশা, এমডি সালাউদ্দিন চৌধুরী, সৈয়দ জামিল উর রব, সুকান্ত কাশারী, আরিফ আর হুসেন, গাজী মামুনুর রশিদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় চ্যানেল আই-এর উপস্থাপক, দীপ্তি চৌধুরী। তিনি (ইবিএফসিআই) বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ