মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মার্টার শেল গুলাগুলি করার পর বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রচণ্ড সংঘর্ষ চলছে, সংঘর্ষ টানা ১৪ ঘন্টা একটানা যুদ্ধ করে সহ্য করতে না পেরে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রানের ভয়ে পালিয়ে এসেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ৫৬ জনের অধিক সীমান্ত রক্ষীবাহিনী সদস্যে। অনেকের সাথে দেখাগেছে অস্ত্র সহ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যান্তরে তুমব্রু সীমান্ত বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় দিয়েছে এক স্কুলে।
রাতভর সীমান্ত এলাকায় গুলাগুলি মার্টারশেল এর শব্দ টেকনাফ ও উখিয়া সীমানা এলাকায়। মিয়ানমার অভ্যান্তরে চলেছে এরকান আর্মি ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ। যুদ্ধের একপর্যায়ে
সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পালাতে থাকেন, পালাতে গিয়ে ভয়ে চলে আসে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে তারা
সকালে তুমব্রুর কোনারপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথমে ১৪ জন আসলে পরপ দাফে দাফে ৬৩জন পালিয়ে আশে। স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিও চিত্রে দেখা যায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ- বিজিপি সদস্যরা প্রানের ভয়ে আশ্রয় চাচ্ছিলেন। এসময় তাদের স্থানীয়রা নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির ঘুনদুম তুমব্রু ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
তুমব্রু সীমান্ত এলাকার স্থানীয়দের ধারণ করা আরেকটি ভিডিও চিত্রে আরাকান আর্মির কয়েকজন সদস্যকেও বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকতে দেখা গেছে।
এদিকে রোববার টানা ১৪ ঘন্টা যুদ্ধ করে ভোররাত থেকে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলা তুমুল সংঘর্ষে সেখান থেকে ছোঁড়া গুলিতে এক বাংলাদেশী আহত হয়েছে। আহত বাংলাদেশী হলো তুমব্রু হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা প্রবীন্দ্র ধর প্রকাশ (আম্বু) এক অসহায় বাংলাদেশী নাগরিক
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সীমান্ত এলাকায় বসবাস করা স্থানীয়রা এলাকা ছেড়ে চলে আসছেন নিরাপদ স্থানে। তারা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। গতরাতে তুমুল গুলিবর্ষণ ও মর্টারশেল এর শব্দে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয় সীমান্ত এলাকায়।
জানা যায় বাংলাদেশের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমায় অভ্যান্তরে ৬৩ জনের অধিক জান্তা বাহিনীর আহত অবস্থায় বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, তন্মধ্যে ২জন গুরুতর আহত তারা দুইজনকে বুজিবি পাহারায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন বাকিরা পার্শভর্তি হাসপাতালে চিকিৎসকধীন আছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন এক বিবৃতিতে বলেন ৬টি স্কুল বন্ধ ঘোষনা করা হয়, সীমান্ত বসবাসকারী কে অন্যত্রে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
বর্তমান আতঙ্কিত হয়ে মর্টারশেল এর শব্দে ভীতিকর পরিবেশ এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকে।