অবৈধভাবে চাল মজুদ রাখার অভিযােগে আবারো ঠাকুরগাঁওয়ের দুই মিল মালিককে জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা খাদ্য বিভাগের উদ্যোগে ধান ও চালের দাম বৃদ্ধি রোধকল্পে বেশ কয়েকটি আড়ৎ ও মিলে অবৈধ মজুত বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এসময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জনাব মাহমুদুল হাছানের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলি রানী দেবসহ কর্মকর্তাগন সদর উপজেলার খোচাবাড়ি এলাকার দুইভাই অটো রাইস মিলে অভিযান চালায়।
এসময় মিলটির গুদামে অবৈধভাবে ধান মজুদ রাখায় মিলটির প্রোপাইটর মোতাহার হোসেনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে সদর উপজেলার শিবগঞ্জ বাজার এলাকার কাসেম হাস্কিং মিলে অভিযান চালিয়ে ১২০ মে.টন ধান বেশি পাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইসাথে মজুতকৃত ধান আগামি ১৩ দিনের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে নি:শ্বেষ করার নির্দেশনা দেন প্রশাসন। এছাড়া ঠাকুরগাঁও সদরের লাইসেন্স বিহীন ধানের পাইকারি ব্যবসায়ী জৈনিক আনোয়ার হোসেনের গুদামে ৪০ মে.টন ধানের অবৈধ মজুত পাওয়ায় তাকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাতিল করা হয় লাইসেন্স।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহমুদুল হাছান জানান, বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য অধিদফতর যৌথভাবে কাজ করছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
রানীশংকৈলে প্রাথমিক শিক্ষকদের বই পরার সভা অনুষ্ঠিত
বিজয় রায়, রানীশংকৈলে (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল নেকমরদ ও রাতোর ইউনিয়নের ক্লাস্টারের আয়োজনে ৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং রোজ মঙ্গলবার সকালে নেকমরদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে,বই পরে নিজেকে সমৃদ্ধ করি,শিশুর উন্নত জীবন গড়ি,পাঠ্যবই সম্পর্কে সভা অনুষ্ঠিত হয়| সভায় সীমান্ত কুমার বসাক, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, রাণীশংকৈল,ঠাকুরগাঁও এর সভাপতিত্বে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করার লক্ষ্যে নেকমরদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২নং নেকমরদ ও ৭নংরাতোর ইউনিয়নের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে বইপড়া কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান,কুশমত আলী,আব্দুল হাকিম, আব্দুর রউফ,মেরিনা আক্তার,নারগিস আক্তার,ফজলার রহমান,মজিবর রহমান,সোহমান আলী সহ উক্ত দুই ইউনিয়নের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।উক্ত আলোচনায় প্রধান শিক্ষকদের সামনে সীমান্ত কুমার বসাক এটাও তুলে ধরেন যে, প্রতিটি শ্রেণীর পাঠদানের পূর্বে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে অর্থাৎ পাঠ্যবই সম্পর্কে ধারণা নিয়ে শ্রেণী পাঠদান করালে শিশুর শিখনফল সহজে অর্জিত হয় এবং পাঠদান আনন্দঘন পরিবেশে পরিচালনা করা যায়।
এছাড়াও বইপড়া কর্মসূচি শেষে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি যথাযথভাবে পালন করার লক্ষ্যে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শহীদ মিনার নির্মাণসহ যে সকল বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার রয়েছে সেগুলো রংকরন করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়|অপরদিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়