আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

নগরকান্দায় দিন ব্যাপী পাট উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ

মিজানুর রহমান নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

পাট শিল্পের অবদান স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ”এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে নগরকান্দা উপজেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনয়াতনের হল রুমে দুই দিন ব্যাপী পাট উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পাট অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ (১ম সংশোধিত)” প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তিলক কুমার ঘোষ, উপজেলা বস্ত ও পাট কর্মকর্তা আব্দুস সালাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ চুন্নু শেখ সহ অন্যান্য প্রমুখ।
উল্লেখ্য বিগত দিনে ফরিদপুরে পাট উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকায় রেখে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায় চাষীদের উদ্দেশ্যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে আমাদের পাট উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে এবং দেশে অর্থনীতিতে পাটের গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রশিক্ষণার্থীদের পাট চাষে আগ্রহ বাড়াতে হবে। আপনারা যেসব কৃষকবৃন্দ রয়েছেন আজকের প্রশিক্ষণ কে কাজে লাগিয়ে পাট চাষ করেন, উৎপাদন বাড়ান তবেই সোনালী আঁশের সোনালী দিন ফিরে আসবে এমন মত প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে দশ লক্ষ গাছ রোপন করা হবে।

১৯৯১ সালের ভয়াল ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় ‘ মেরি এন’ স্মরণে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে যে ভয়াবহ তান্ডব ঘটিয়েছে তা এখনো স্বজনহারা মানুষ ভুলতে পারেনি। ওই সময়ের ঘূর্ণিঝড় ছিলো ভয়াল এক ট্রাজেডি।

মেয়র বলেন, ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেতে আমাদের টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। একই সাথে আমাদেরকে প্রচুর বৃক্ষ রোপন করে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এ লক্ষ্যে মেয়র শহরের ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ লাখ চারা রোপন করা হবে বলে জানান। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহ তান্ডবের চিত্র প্রদশনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসবকথা বলেন।

তিনি বলেন, ওই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কাজ করেছি। ঘূর্ণিঝড়ে স্বজনহারানো মানুষগুলো ঘরবাড়ির পাশাপাশি খাদ্য সংকটে ভুগছিল। আমরা উপকূল অঞ্চলের বাঁশখালী, আনোয়ারা, শহরের মধ্যে গতেঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে সেই করুণ দৃশ্য খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই আগামীতে উপকূল রক্ষায় অবশ্যই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চিত্র প্রদর্শনীতে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, আলোকচিত্র প্রদর্শনী উপকমিটির আহবায়ক গোলাম মাওলা মুরাদ, আলোকচিত্রী সাংবাদিক শিশির বড়ুয়া ও রূপম চক্রবর্তী, দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল বিজনেস বাংলাদেশ ব্যুরো চীফ জাহাঙ্গীর আলম, শাহাদাত চৌধুরী, এম এ হোসাইন, সাইফি আনোয়ার আজিম প্রমুখ।


প্রদর্শনীতে ৫০টি ছবি প্রদর্শিত হয়। এসব ছবিতে ৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা ফুটে উঠে।কাকঁডার ভোজ শিরোনামে প্রদর্শিত একটি ছবির বর্ণনা দিতে গিয়ে আলোকচিত্রী শিশির বডুয়া বলেন, একটি লাশকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে লাল কাকঁডার দল পুরোপুরি নিঃশেষ করতে দেখেছি।

সেই বীভৎস চিত্র ধারণ করেছি আমার ক্যামেরায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৯১ এর ভয়াবহতার চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করেছিলাম। সেই স্মৃতিগুলো চোখে ভাসলে এখনো কষ্ট পাই। তিনি দুর্লভ এই ছবিগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন ১৪ মে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রধান বক্তা ছিলেন, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সমাবর্তন নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিচ্ছে সমাবর্তনের জোর প্রস্তুতি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্মাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা সাড়ে ২২ হাজার শিক্ষার্থীর পাশাপাশি

এমবিবিএস সম্পন্ন করা এক হাজার ৪২৭, ডেন্টাল ও নার্সিং কলেজের ৪২০, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ৩৩৪ শিক্ষার্থী সনদ নেবেন। এ ছাড়া পিএইচডি সম্পন্ন করা ৩৯ জন এবং এমফিল করা ৪২ জন শিক্ষার্থী তাদের সনদ নেবেন।

সমাবর্তনের প্রধান বক্তা অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট) ডিগ্রি প্রদান করা হবে। সমাবর্তনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক উপাচার্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এ বিষয়ে চবি’র উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, এবার ইতিহাসের সেরা সমাবর্তন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবারের সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস। আমরা কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গিয়ে দাওয়াতপত্র দিয়ে এসেছি।

সমাবর্তন উপলক্ষে সমাবর্তনের লোগো উন্মোচন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উন্মোচিত লোগোতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, গৌরবময় ইতিহাস ও শিক্ষার আলোকে আগামীর পথচলার প্রতীকী চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সমাবর্তনের এ লোগো আগামী দিনের সব আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম, স্মারক ও প্রচারণায় ব্যবহৃত হবে।এ ছাড়াও সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সনদ প্রস্তুতের কাজ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার নিজ হাতে ১৮ হাজার সনদে সই করছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবর্তন। সমাবর্তী ২৩ হাজার। মাত্র ১৮ হাজার সনদে সই করতে হবে। সিল বানিয়ে দেওয়া যেতো। সেটা করিনি।

সমাবর্তীরা এখানে ৫-৬ বছর পড়েছেন। তারা আমাদের একাডেমিক সন্তান। আমরা চাই, কষ্ট হলেও তাদের সনদে আমাদের হাতের ছোঁয়া থাক। সে জন্য স্বল্প সময়ে সই করার জন্য এ পদ্ধতিতে কাজ করছি। আল্লাহ সহায় হবেন। অন্যান্য প্রস্তুতির পাশাপাশি নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ জন্য নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়কে নজরের আওতায় রাখছেন প্রক্টরিয়াল বডিসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তাছাড়া এবারের সমাবর্তনে আইনশৃঙ্খলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভলান্টিয়ারের দায়িত্বে থাকবে। সেই সঙ্গে পুলিশ এবং স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা থাকবেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ