বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ট্রাফিক সার্জেন্ট ও কন্সটেবলদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় গাড়ীর কাগজপত্র তল্লাশীর নামে চাঁদাবাজি ও হয়রানির মতো অভিযোগ উঠে আসলেও এবার খোদ পাঠাও মোটর সাইকেলের চালককে গাড়ীর কাগজপত্র তল্লাশীর নামে চাঁদাবাজি ও হয়রানির করাকালীন সময়ে পাঠাও গাড়ীতে অবস্থানরত যাত্রী ঘটনার প্রতিবাদ জানালে এ সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা পাঠাও গাড়ীতে যাত্রীরত অবস্থায় চট্টগ্রামের অলংকার থেকে ইপিজেডগামী গার্মেন্টস্ সুপারভাইজার সাখাওয়াত হোসেন রবিন উক্ত দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফাকে কি কারণে গাড়ী তল্লাশী করা হলো পরবতীর্তে কেনইবা গাড়ীতে যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিনের কাছে ১ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হলো।
বিষয়টি নিয়ে ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা ও গার্মেন্টস্ সুপারভাইজার রবিনের সাথে কথাকাটাকাটির এক পযার্য়ে বন্দর ডিসি ট্রাফিক বিভাগের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা আজ ৪ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে বিকাল আনুমানিক ৪.৩০ মিনিটের সময় পাঠও মোটর সাইকেলে আরোহিত যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিনের উপর চড়াও হয়ে তাকে কিলঘুষি তাপ্পড় মেরে মুখে রক্তাক্ত করে তাকে মারাত্œক ভাবে জখম করে দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা।
এ বিষয়ে আহত যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিন দৈনিক আজকালের দর্পণ ও জে বাংলা নিউজ ২৪.ডটকমকে বলেন; দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা অযৌক্তিকভাবে আমার কাছে ১ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আমাকে বলে আমি নাকি তার সাথে বেয়াদবী করেছি। আমি কিসের বেয়াদবী করলাম, রাস্তায় যানজট দেখে আমাদের গাড়ী ধীরগতিতে আসছিল তখন দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা গাড়ী সিগনাল দিলে আমি গাড়ী বসা পাঠাও চালক গাড়ীটি তখন ঘটনাস্থলে দাঁড় করিয়ে ফেলে।
এক পযার্য়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা গাড়ীটিকে কাগজপত্র ঠিক নেই বলে মিথ্যা অযৌক্তিক দাবী করে তল্লাশী করলে এ সময় গাড়ীর যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিন বলেন; ভাই আমার তাড়া আছে মেডিকেলে যেতে হবে দ্রুত— আমার তাড়া আছে, রাস্তায় প্রচুর জ্যাম পড়েছে আমাদের ছেড়ে দিন। এ কথা বলার পর দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা তখন বলেন বেশী তাড়া যখন আছে তখন ১ হাজর টাকা দে; ছেড়ে দিব।
তখন যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন কেন আপনাকে ১ হাজার টাকা দেব জানতে চাইলে, চোখ রাঙিয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা গাড়ীতে বসা ইপিজেডের গার্মেন্টস্ সুপারভাইজার সাখাওয়াত হোসেন রবিনের মুখের উপর কিলঘুষি তাপ্পড় মেরে তাকে মারাত্নক ভাবে রক্তাক্ত করে জখম করে। পরবতীর্তে আহত গার্মেন্টস্ যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন রবিন ঘটনাস্থল থেকে চলে এসে মায়ের চিকিৎসা না করে নিজের চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।
এ বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন রবিন অভিযোগ করে আরো বলেন; আমি বিষয়টি ডিসি ট্রাফিক সিএমপি পুলিশ কমিশনারসহ ট্রাফিক বিভাগে উচ্চ পদস্থ কর্মকতার্দের কাছে এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে অভিযুক্ত দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফা আইনানুগ শাস্তি কামনা করছি।
এদিকে, অভিজ্ঞ মহলের ধারণা প্রায় সময় প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত দায়িত্বরত ট্রাফিক কন্সটেবল মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশের কাগজপত্র তল্লাশীর নামে যাত্রী হয়রানির গুরুত্বর অভিযোগ উঠে আসলেও এর কোন সুরাহা ভুক্তভোগী জনগণ পাচ্ছে না।
ট্রাফিক পুলিশের এহেন হয়রানির কারণে সড়কে যানজট ও মারাত্নক সড়ক দূর্ঘটনা প্রধান কারণ বলে দাবী করেছেন অভিজ্ঞ মহল। অতি দ্রুত ট্রাফিক পুলিশের যাত্রী হয়রানি ও তল্লাশির নামে চাঁদাবাজির বন্ধের জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সচেতন মহল।