
চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে ৬ মার্চ বিকেল ৪ ঘটিকায় আদালতের সম্মেলন কক্ষে একনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ রবিউল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের মাননীয় মহানগর দায়রা জজ জনাব ড. বেগম জেবু্ননেছা। আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মনীষা মহাজনসহ চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে কর্মরত বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিজ্ঞ অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর জনাব দুলাল চন্দ্র দেবনাথ। কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন, পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, কারা প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক মেডিসিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিটিসিএল,সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ।
কনফারেন্সের শুরুতে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ রবিউল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, মেডিকেল সনদ, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট এর জন্য ৯৬৫টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আটকে আছে। তিনি ৯৬৫টি মামলার তালিকা উপস্থাপন করে দ্রুততম সময়ে মেডিকেল সনদ, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।পাশাপাশি, তিনি চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরকেও পরিবেশ আইন প্রয়োগে তৎপর হওয়ার আহবান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা মামলার তদন্তে শুধুমাত্র আসামীর দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির উপর নির্ভর না করে তদন্তে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। কনফারেন্সে সকল অংশীজন আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন, সাক্ষীদের নিরাপত্তা, তদন্ত ও বিচারকাজে বিদ্যমান নানান প্রতিবন্ধকতা এবং এর কার্যকর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।