আজঃ শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

প্রধানমন্ত্রী ৮ লক্ষাধিক পরিবারকে বিনামূল্যে ঘর তৈরী করে দিয়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে এককালীন চিকিৎসা সহায়তার চেক বিতরণ করছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানসহ প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন-এদেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবেনা। তিনি ওয়াদা ভঙ্গ করেননি। এ পর্যন্ত ৮ লক্ষাধিক গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে বিনামূল্যে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। এদেশে নারীর ক্ষমতায়নেও তিনি বিশ্বের মধ্যে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় আয়োজিত ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ৩৫০ জন রোগীর প্রত্যেককে এককালীন ৫০ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা জঠিল রোগে আক্রান্ত তাদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা কিছুই না। সীমিত সম্পদের মধ্যেও বর্তমান সরকার আপনাদের পাশে দাড়িঁয়েছে। বিধাব ভাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও মাতৃকালীন ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সরকার সামজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী দিন দিন বৃদ্ধি করছেন। চট্টগ্রাম জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৩৫০ জন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১ হাজার ৪০০ জন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে ১ হাজার ১৯২ জন এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ১ হাজার ২৪০ জন জঠিল রোগীকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তার চেক দেয়া হয়েছে। সরকারের ভ্যাট-ট্যাক্স থেকে এসব আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। সমাজে বিত্তবান ও অর্থশালী যারা রয়েছেন তারা যদি নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স দেন তাহলে সরকার আরও বেশী মানবিক সহায়তা নিয়ে জনগণের পাশে থাকতে পারবে। কেনাকাটা করার সময় রশিদপত্র নিলে ব্যবসায়ীরা আর ভ্যাট-ট্যাক্স ফাকিঁ দিতে পারবেনা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করেছেন। এসব ক্লিনিক থেকে তৃণমূলের মানুষ বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। এটি সরকারের আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে ও সমাজসেবা অফিসার (রেজি.) মোঃ সোহানুর মোস্তফা শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত রোগীদের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহর সমাজসেবা কার্যালয়-১ এর কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, শহর সমাজসেবা কার্যালয়-২ এর কর্মকর্তা সুজিত কুমার নাথ ও শহর সমাজসেবা কার্যালয়-৩ এর কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

টেলিপ্যাবের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন নন্দিত নির্মাতা মীর ফখরুদ্দিন ছোটন ।

টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- টেলিপ্যাব’র আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সংগঠনটি বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট নির্মাতা শিল্পোদ্যোক্তা ও পর্যটক মীর ফখরুদ্দিন ছোটন । দেশের শিল্প সংস্কৃতির নিবেদিতপ্রাণ ব্যতিক্রমী এই নির্মাতা বিগত দিনের সাংগঠনিক অবদানকে যথোপযুক্ত মূল্যায়ন করবার জন্য টেলিপ্যাবের সকল ভোটারের দোয়া ও অকুণ্ঠ সমর্থন কামনা করেছেন । সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে নির্বাচিত আর্কাইভ সম্পাদক হিসেবেও টেলিপ্যাবের উন্নয়নে সুনামের সাথে কাজ করেছেন প্রযোজক মীর ফখরুদ্দিন ছোটন ।

পলিমাটির জনপদ দ্বীপজেলা ভোলার গুণীসন্তান মীর ফখরুদ্দিন ছোটন ভোলা জেলা জাসাসের সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন ।নতুনত্বের আলোকসন্ধানী সৃষ্টি সুখের উল্লাসে উজ্জীবিত পরিশীলিত নির্মাতা ফখরুদ্দিন ছোটন জানান-‘আমি বরাবরই দেশের বাইরে নাটকের শুটিং করতে পছন্দ করি। এ জন্য অনেকেই আমাকে বিদেশি প্রযোজক বলে থাকেন। লোকেশনের ভিন্নতা আনতেই মূলত এই কাজটি আমি করে থাকি। কারণ এই উত্তরা আর পূবাইলের কিছু লোকেশন দেখতে দেখতে দর্শকরা বিরক্ত হন। সেই জায়গা থেকে আমার এই ভিন্নধর্মী পরিকল্পনা শুরু থেকেই চলমান রয়েছে। তাছাড়া আমি চাই আমার নাটকে অনেক জনপ্রিয় স্টার থাকবে, গ্লামার থাকবে। যদিও আমি নতুনদের সুযোগ দিয়ে থাকি।’

দেশের বাইরে নিজের প্রযোজিত নাটকের শুটিং করার কারণ প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন প্রযোজক ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মীর ফখরুদ্দীন ছোটন। নিজের প্রযোজিত নাটক প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রতিটি নাটকেই কোনো না কোনো বার্তা দিয়ে থাকি। পাশাপাশি চেষ্টা করি নতুন নাট্যকার, অভিনেতা-অভিনেত্রীর সুযোগ দেওয়ার। কারণ নতুনদের সুযোগ না দিলে দর্শকরা একই মুখ দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে পড়েন। তবে অনেক চ্যানেল ঈদের সময়গুলোতে বলে দেয় গুটিকতক শিল্পীকে নিয়ে কাজ করতে। কিন্তু আমি এই চর্চার পক্ষে নই| নতুন, পুরনো সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। চরিত্রের প্রয়োজনে যাকে দরকার তাকে নিতে হবে। এতে কাজেও ভিন্নতা আসবে, নতুন শিল্পী তৈরি হবে।’

নিয়মিত কাজের পাশাপাশি ঈদের সময়গুলোতে প্রযোজক-নির্মাতা-শিল্পীদের কাজের পরিধি বাড়ে কয়েকগুণ। সেই জায়গা থেকে নিজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, ‘আমার প্রযোজিত গুটিবাজি ধারাবাহিকটি প্রচারিত হচ্ছে। পাশাপাশি উগান্ড ফোর, টাকা কোনো সমস্যা না ধারাবাহিক দুটির কাজ চলছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে সম্প্রতি একটি একক নাটকের কাজ দেশের বাইরে শেষ করলাম। এতে আমি একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছি। এর বাইরে আরও বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং সামনে শুরু করব।’

নিয়মিত প্রযোজনার বাইরে টেলিপ্যাবের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ববান নেতা মীর ফখরুদ্দিন ছোটন, সংগঠনটির কার্যক্রম নিয়ে আরও বলেন, ‘টেলিপ্যাবের সদস্য হওয়া ছাড়া যেন কেউ নাটক নির্মাণ করতে না পারেন এবং সংগঠনের সব প্রযোজক যাতে কাজ পান সেই চেষ্টা করব । টিভি চ্যানেলগুলোর কাছে আমাদের বকেয়া পাওনা নিয়েও কাজ করছি। এছাড়াও সংগঠনের স্বার্থে সামনে আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছি । ইনশাআল্লাহ সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হতে পারলে পরিকল্পনাগুলোকে ঢেলে সাজাবো ।

সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন।

সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরে এরা। চলে যায় একেবারে গ্রামের ভিতর। পুরাতন কাগজ, বই, কার্টুন, পুরাতন টিন, নষ্ট বোতল, নষ্ট প্লাস্টিকের কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাল সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে আসে তাদের মহাজনের কাছে। মহাজন সেগুলো একটা দাম ধরে কিনে নেয়।

কথা হলো শহিদুল নামের একজনের সাথে। মোটামুটি যা হয় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার । তারপর মহাজন সেগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কাগজ আলাদা, টিন আলাদা, লোহা আলাদা। মহাজনের রয়েছে ৩ জন লোক। তাদের কাজ এগুলো বাছাই করা বস্তায় ভর্তি করে ওজন দেয়া। তারপর সেগুলো যাবে রাজশাহী বিসিক এলাকায়, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো কিনে নিয়ে। তারা আবার এগুলো নিয়ে, মেশিনের সাহায্যে কুচি, কুচি করে ঢাকাতে পা ঠায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। ঢাকা যাবে আবার এগুলো বিভিন্ন জায়গায়। এসব দিয়ে আবার নতুন করে জিনিস তৈরি করা হবে। এই ভাবে চলে কিছু মানুষের জীবন জিবিকা।এই পুরাতন জিনিস গুলো আবার নতুন রুপে বাজারে আসবে, এই রিসাইকেল হয়ে ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ