আজঃ রবিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৫

সিটি স্ক্যাপের এমডি কারাগারে

আমেরিকা প্রবাসীর নাম ব্যবহার করে প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বয়োবৃদ্ধ আমেরিকা প্রবাসীর নাম ব্যবহার করে কোম্পানী গঠন, ব্যাংক হতে কোটি কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ, ফ্ল্যাট বিক্রয় করে বিভিন্ন লোকদের নিকট হতে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সিটি স্ক্যাপ প্ল্যানার্স কোম্পানির এমডি মোঃ মোমেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ২০২৪ আসামী মোঃ মোমেন (৪৭) আদালতে আত্মসমর্পণ করলে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মোঃ মোমেন চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার মুসাপুর চাদেঁরগো বাড়ির মৃত আবদুল বাতেনের ছেলে।
এডভোকেট ফয়সাল নূর জানান, সন্দ্বীপ উপজেলার ইয়াছিন সুকানির বাড়ির মৃত মোহাম্মদ ইয়াছিন মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ বাবুল মিয়ার (৬৭ বছর) দায়ের করা প্রতারণা মামলায় পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এই আসামীসহ ১৪ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলার অপর আসামীরা হলেন: সন্দ্বীপ উপজেলার মুসাপুর গ্রামের আবুল খায়েরের পুত্র মোঃ আরাফাত (৪০), বর্তমানে হালিশহরের আনন্দধারা আবাসিকে বসবাস করছেন। মাষ্টার শফিক উদ্দিনের পুত্র শিহাব উদ্দিন (৪৩), মোহাম্মদ ইসার পুত্র মোহাম্মদ নাজমুস সাকিব (৪০), মৃত ইয়াছিনের পুত্র মাহবুবুর রহমান (৪৫), এ এস এম সুফিয়ানের পুত্র এএসএম রফিকুল ইসলাম (৪১), এসএম সাইফুল ইসলাম (৩৯), ইকরামুল কবিরের পুত্র মোহাররামুল কবির (৪৯), গোপাল চন্দ্র রায়ের পুত্র পিযুষ চন্দ্র রায় (৪০), জাহিদুল ইসলামের কণ্যা সুরাইয়া বেগম (৬১), মৃত মোঃ ইমরান সওদাগরের পুত্র মোহাম্মদ শাহজাহান (৮০), আবুল খায়েরের কণ্যা জেসমিন মান্নান (৫১), মোহাম্মদ শামসুল আলমের পুত্র শাহরিয়ার মাহমুদ (৩৯) ও রবিউল আলমের পুত্র রাশেদ হোছাইন (৩৫)।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদী মোহাম্মদ বাবুল মিয়া দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাস করছেন। তার অনুপস্থিতিতে আসামীরা তার নাম ব্যবহার করে এই ভুয়া কোম্পানী ও বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট সৃজন করে বেশ কয়েকটি অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান হতে কোটি কোটি টাকা ঋন গ্রহন করে। আসামীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে জমি ক্রয়-বিক্রয় এবং জমিতে সুউচ্চ ইমারত নির্মাণের পরিকল্পনা করে ফ্ল্যাট বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বিক্রয়ের লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারন মানুষকে আকৃষ্ট করে। তারা প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রতারক চক্র বাদীকে এই ভুয়া কোম্পানীর কখনো চেয়ারম্যান, কখনো ব্যবস্থাপনা পরিচালক বানিয়েছেন। আসামীরা ফ্ল্যাট ক্রয়কারীদের নিকট ফ্ল্যাটের দখল বুঝিয়ে না দেয়ায় এবং গৃহীত ঋণ পরিশোধ না করায় বাদী সহ আসামীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইনে মামলা দায়ের করে।
আরো জানা যায়, বাদী দেশে বেড়াতে আসলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বিষয় জানতে পেরে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পিবিআই (মেট্রো), চট্টগ্রাম মামলার তদন্ত করে বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করে ৭০৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দেয়। জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফারমস এর বিভাগীয় অফিস এবং জুবিলি রোডের যমুনা ব্যাংকের কাগজপত্রসহ বাদীর টিপ ও সাক্ষর পরীক্ষা করে চট্টগ্রাম সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটরির হস্তলিপি বিশারদের মতামতের প্রেক্ষিতে বাদীর ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামীরা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বাদীর সাক্ষর নিজেরা দিয়ে সিটি স্ক্যাপ প্ল্যানার্স লিমিটেড ডেভেলপার কোম্পানী গঠন, ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ, ফ্ল্যাট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন লোকদের নিকট হতে অর্থ আত্মসাত করেছে। এসব ঘটনায় বাদীর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভোলায় জলসিঁড়ির জমজমাট ষষ্ঠ আসর অনুষ্ঠিত ।। 💚❤️💚❤️💚❤️💚❤️💚❤️💚❤️💚❤️💚

দ্বীপজেলা ভোলার সর্বস্তরের লেখকদের প্রাণের সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের জমজমাট ষঠ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে । ভোলা প্রেসক্লাবে, ৮ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত সাহিত্য আড্ডায় জলসিঁড়ির আহবায়ক বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক শাহাবুদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে, আবৃত্তিশিল্পী এস এম বাহাউদ্দিন বাহারের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আসরে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট গবেষক ও ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) মোঃ ফিরোজ মাহমুদ, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান কবি রিপন শান, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সহ-সভাপতি ও নাজিউর রহমান কলেজের সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) কবি কামাল হোসেন শাহীন, সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর ভোলা জেলা প্রতিনিধি জুন্নু রায়হান , ব-দ্বীপ ফোরাম এর সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশাররফ অমি প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সদস্য সচিব ও ভোলা ইউনানী মেডিক্যাল কলেজের প্রভাষক ডা. মহিউদ্দিন মহিন ।

আসরে চমৎকার ছোটগল্প পাঠ করেন- দৈনিক প্রথম আলোর ভোলা জেলা প্রতিনিধি ও ভোলা আবৃত্তি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নেয়ামত উল্যাহ । কবিতা পাঠ করেন – জলসিঁড়ির নির্বাহী সদস্য ও ভোলা গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের শিক্ষক কবি আল মনির, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবি জুলফিকার আলী, জলসিঁড়ির সদস্য কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, কবি কামরুন্নাহার, কবি শাহনাজ পারুল, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম, কবি জিএম ফিরোজ প্রমুখ। আসরে একগুচ্ছ কবিতা নিবেদনের পাশাপাশি কবিতার গান পরিবেশন করেন কবি রিপন শান । মূল্যবান প্রবন্ধ পাঠ করেন- শিশুসাহিত্যিক শাহাবুদ্দিন শামীম । অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সাংবাদিক এম এ বারিক ও আল-আমিন শাহরিয়ার ।

নিয়মিত ধারাবাহিক আসরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের বক্তারা বলেন- জাতীয় মঙ্গলের কবি মোজাম্মেল হক, দ্বীপান্তরের বন্দী নলিনী দাস এবং বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের জীবনস্মৃতি ধন্য ভোলা জেলার আর্থ-সাংস্কৃতিক গৌরবকে যুগের ধারায় প্রবাহিত করার জন্য হলেও ভোলার লেখকদের দলমত নির্বিশেষে এক প্লাটফর্মে মিলিত হতে হবে । জল-জলাঙ্গীর জনপদ নদীবিধৌত ভোলার চিরসংগ্রামী মানুষের জরুরি সকল দাবি বাস্তবায়নে সাহিত্যের নিয়মিত অনুশীলন ব্যাপক ভূমিকা রাখবে । সময়ের চাহিদাকে সামনে রেখে জলসিঁড়ি সাহিত্য আসর ভবিষ্যতে নিত্যনতুন সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহন করবে ।

ঐক্যমতের বাইরে কথা বললে বিভেদ বাড়বে: আমীর খসরু


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন- দীর্ঘ আলোচনার পর যে ঐক্যমতে পৌঁছানো হয়েছে, সেটি আমাদের মেনে নিতে হবে। ঐক্যমতের বাইরে গিয়ে কথা বললে রাজনীতি ও সমাজে বিভেদ বাড়বে, যা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।


শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নবনির্মিত ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


আমীর খসরু বলেন, আজ একটি ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে। এটি গণতন্ত্রকে যেমন এগিয়ে নেয়, তেমনি সমাজকেও সামনে নিয়ে যায়। আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি, বিশেষ করে গত ১৫ বছরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। সংলাপের মাধ্যমে সেই ভাঙন কাটিয়ে উঠতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সংলাপ করবো, ঐক্যমতে পৌঁছব, যতটুকু সম্ভব। যেটুকু ঐক্যমতে পৌঁছানো যাবে না, সেটি সহনশীলতার সঙ্গে মেনে নিতে হবে। নতুন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, কোনো সরকার একা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারে না। এজন্য সবার অংশগ্রহণ ও দায়বদ্ধতা জরুরি। প্রত্যেকে নিজের অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখলেই দেশ এগিয়ে যাবে।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক ছিলেন এমন একজন দূরদর্শী মানুষ, যিনি দৈনিক আজাদীর মাধ্যমে বিশ্বাস করতেন, একদিন এই দেশ স্বাধীন হবে। আজ আমরা সেই স্বাধীন দেশের নাগরিক হতে পেরে গর্বিত।


তিনি আরও বলেন, মানবিক মর্যাদা, আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা এই আদর্শের ভিত্তিতেই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। এখন গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সেই আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, আমাদের দেশে একটি অদ্ভুত বিভাজন আছে, ঢাকা থেকে পত্রিকা বের হলে সেটি ‘জাতীয় পত্রিকা’, আর ঢাকার বাইরে থেকে প্রকাশিত হলে ‘মফস্বল পত্রিকা’। আমার কাছে এটি একটি বৈষম্যমূলক ধারণা।

তিনি আরও বলেন, অনেকে বলেন, আজাদী যদি ঢাকায় গিয়ে প্রকাশ হয়, তাহলে জাতীয় পত্রিকা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। কিন্তু আমার বাবা দৈনিক আজাদী বের করেছিলেন চট্টগ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং সমস্যার কথা সরকারের সামনে তুলে ধরার জন্য, ঢাকায় বসে জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নয়। কারণ আমরা চট্টগ্রামের মানুষকে ভালোবাসি। এই
ভালোবাসার বন্ধন থেকেই আমরা চট্টগ্রামবাসীর পাশে থাকতে চাই।


দৈনিক আজাদীর অর্থায়নে ও পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে মিলনায়তনটি সংস্কার ও ডিজাইন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি। সঞ্চালনা করেন অন্তর্র্বতী কমিটির সদস্য গোলাম মওলা মুরাদ। অনুষ্ঠানে আরও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদী পত্রিকার পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিজেএ) বাংলাদেশ চাপ্টারের চেয়ারম্যান ওসমান গণি মনসুর।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, দৈনিক আজাদীর নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেক, প্রেসক্লাব অন্তর্র্বতী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, এ্যাবের সভাপতি জানে আলম সেলিম, বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ।


অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মোহাম্মদ হোসাইন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, রাজনীতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ