আজঃ শুক্রবার ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইনোভেশন শোকেসিংয়ের উদ্বোধন ইনোভেশন শুধু বাংলাদেশে নয়, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলেও স্বীকৃত ঃ অতিরিক্ত সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিদুল ইসলাম বলেছেন, সুশাসনকে সুসংহত করতে কিছু টুল’স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন সেবার মান উন্নয়ন, নাগরিক সেবাকে সহজ ও জনবান্ধব করা, সেবাগুলোকে জনগণের প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করা। টুল’সগুলোর মূল উপজীব্য হচ্ছে ইনোভেশন। এছাড়াও এসডিজি’র কথা আমরা সবাই শুনেছি। এসডিজি ১৬.৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে-সরকারের সেবায় জনগণের সন্তুষ্টি বিধান করতে হবে। এর অর্থ ইনোভেশন শুধু বাংলাদেশে নয় বৈশি^ক পরিমণ্ডলেও স্বীকৃত । সুতরাং ইনোভেশন ছাড়া এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। ২৩ মার্চ শনিবার নগরীর জামালখানস্থ শাহ ওয়ালীউল্লাহ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী বিভাগীয় পর্যায়ের “ইনোভেশন শোকেসিং” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও সিটি কর্পোরেশনসহ চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা, উপজেলা, সরকারি ও বেসরকারীসহ মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠান ইনোভেশন শোকেসিং-এ অংশ নিয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব আরো বলেন, সরকার ইনোভেশনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ইনোভেশনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের ফলে সেবা সহজীকরণে অনেক কিছু উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে, এর সুফল পাচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ। কৃষকের জানালা, জমির ই-নামজারি, জমির খাজনা প্রদান, অনলাইন জিডি, ই-পাসর্পোট, ই-টিকেটিং, স্থায়ী বাসিন্দা সনদ অনলাইন ভেরিফিকেশন, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও হট লাইন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিং সিস্টেম ও ই-লার্নি সেন্টার স্থাপন সহ অসংখ্য মাধ্যমে দেশের জনগণ কম সময়ে, কম টাকায়, ঘরে বসে সেবা নিতে পারছে।
ইনোভেশন শোকেসিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেউ দেখাচ্ছে ই-রেভিনিউ সিস্টেম, কেউ জানাচ্ছেন কৃষকের আঙ্গিনা সম্পর্কে, আর কেউ নিয়ে এসেছে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা, ভ‚মি ক্রয়/বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও ওয়ারিশ সনদ প্রদান, কেউ বা জানাচ্ছেন অনলাইন বিলিং সিস্টেম সম্পর্কে, আবার কেউ স্মার্ট পোল্ট্রি ফার্ম সম্পর্কে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলামের সাভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইনোভেশন শোকেসিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিপিটি অনুঃবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক ও সিপি অধিশাখার যুগ্মসচিব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে নিয়োগে অনিয়ম, জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দুদকের হানা।

চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নকল-নবিশ নিয়োগে অনিয়ম, বিভিন্ন কাজে ঘুষ দাবি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পরিচালিত অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তারা অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন’ বলে জানিয়েছেন। বুধবার দুদক জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক সাইয়েদ আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান শেষে সাইয়েদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, এখানে জেলা রেজিস্ট্রার আগে যিনি ছিলেন মিশন চাকমা ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এবং জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ ছিল ওখানে অফিস সহকারী এবং প্রধান সহকারী তারা হোতা ছিল এখানে টাকা-পয়সা তারা কালেকশন করে। এছাড়া চাকরির পদোন্নতি নিয়ে অভিযোগ ছিল। সন্দ্বীপে কিছু নকল-নবিশের নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ছিল। সবগুলো আমরা রেকর্ডপত্র চেয়েছি এবং পেয়েছি।

নকল-নবিশ নিয়োগে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে অনেক আগে থেকেই নকল-নবিশ নিয়োগ বন্ধ ছিল। তারপরও আইজিআরের পারমিশন ছাড়া এখানে নকল-নবিশের নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আইজিআর একটি শোকজ করা হয় এবং সাময়িকভাবে নিয়োগটি বাতিলও করা হয়। আমরা জিনিসটা দেখবো এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কিনা। আর্থিক অনিয়ম ঘটেছে

অবশ্যই। এখানকার কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তাদের আমরা ব্যক্তিগত নথি তলব করেছি। তাদের নামে কোনো ধরনের সম্পদ আছে কি-না, সেটাও দুদক খতিয়ে দেখবে। আমরা বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর জমা দেব। আর আরও কিছু রেকর্ডপত্র আমরা সংগ্রহ করবো। স্বন্দ্বীপে ১৯ জন নকল-নবিশ নিয়োগ দেওয়া হয়। সেটা নিয়ম অনুযায়ী হয়নি যতটুকু আমরা চিঠিতে দেখেছি। বাকি অভিযোগগুলোর বিষয়ে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দেব।

নামজারির জন্য ঘুষ দাবি করা হয় বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আছে, আমরাও শুনেছি। আমরা যখন সরেজমিনে আসি তখন সবাই অ্যালার্ট হয়ে যায়। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মানুষের ভেতরে সচেওতনতা তোইরির চেষ্টা করছি। যেন ঘুষ চাইলেই না দেয়। আমরা ক্যাশ ড্রয়ার তল্লাশি করেছি। সেরকম টাকা-পয়সা পাওয়া যায়নি। কিছু ডকুমেন্টস পাওয়া গেছে। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করবো।

জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে দালালদের আধিপত্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আজকে এসে এ পর্যন্ত দালালদের দেখিনি। আমরা নিজেরাই দেখলাম সবকিছু। তারপরও দালাল পাওয়া গেলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন।

সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরে এরা। চলে যায় একেবারে গ্রামের ভিতর। পুরাতন কাগজ, বই, কার্টুন, পুরাতন টিন, নষ্ট বোতল, নষ্ট প্লাস্টিকের কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাল সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে আসে তাদের মহাজনের কাছে। মহাজন সেগুলো একটা দাম ধরে কিনে নেয়।

কথা হলো শহিদুল নামের একজনের সাথে। মোটামুটি যা হয় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার । তারপর মহাজন সেগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কাগজ আলাদা, টিন আলাদা, লোহা আলাদা। মহাজনের রয়েছে ৩ জন লোক। তাদের কাজ এগুলো বাছাই করা বস্তায় ভর্তি করে ওজন দেয়া। তারপর সেগুলো যাবে রাজশাহী বিসিক এলাকায়, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো কিনে নিয়ে। তারা আবার এগুলো নিয়ে, মেশিনের সাহায্যে কুচি, কুচি করে ঢাকাতে পা ঠায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। ঢাকা যাবে আবার এগুলো বিভিন্ন জায়গায়। এসব দিয়ে আবার নতুন করে জিনিস তৈরি করা হবে। এই ভাবে চলে কিছু মানুষের জীবন জিবিকা।এই পুরাতন জিনিস গুলো আবার নতুন রুপে বাজারে আসবে, এই রিসাইকেল হয়ে ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ