চট্টগ্রাম মহানগরে ডাস্টবিন থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মেয়েশিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম ওই যুবককে গ্রেফতার করে।পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার যুবক ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী জানান, শিশুটির মা পরিত্যক্ত বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করেন। বাসা বাকলিয়ার বৌবাজার এলাকায়। বোতল কুড়াতে বের হওয়ার সময় শিশুটিকে আন্দরকিল্লা এলাকায় ফুটপাতে পরিচিত লোকজনের নজরে রাখতেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, আমরা যুবক বয়সী একজনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার স্টেশন রোডে ফলমণ্ডির সামনে ডাস্টবিনে লাশটি পাওয়া যায়। পরে পুলিশ তার পরিচয় শনাক্ত করে। আনুমানিক সাত বছর বয়সী মেয়েটির নাম নুসরাত ওরফে সুখী। মেয়েটির যোনি এবং পায়ুপথে রক্তক্ষরণের আলামত পাওয়ায় তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ সন্দেহ করছিল। পরে ভোরে পুলিশ ওই যুবকে গ্রেফতার করে।
মায়ের ভাষ্য অনুযায়ী, রোববার রাতে মেয়েটি আন্দরকিল্লা থেকে নিখোঁজ হয়। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মা গিয়ে তার মেয়েকে শনাক্ত করেন। এর আগে রোববার রাতে নগরীর বিআরটিসি মোড়ের ফলমণ্ডি ডাস্টবিন থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতনু চক্রবর্ত্তী আরো জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে শিশু নুসরাত ওরফে সুখীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শিশুটির পায়ু ও যোনিপথে রক্তক্ষরণের চিহ্ন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সুখী তার মায়ের সঙ্গে বাকলিয়া বৌবাজার এলাকায় থাকত। তার মা রাস্তা, ডাস্টবিনে বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। এ কাজের সময় সুখীকে আন্দরকিল্লা এলাকায় পরিচিত ভ্রাম্যমাণ লোকজনের কাছে রেখে আসতেন মা।
তার মা জানিয়েছে, রোববার রাতে তিনি বোতল কুড়াতে আসার সময় মেয়েকে আন্দরকিল্লা রেখে এসেছিলেন। পরে গিয়ে মেয়ের খোঁজ করে কোথাও পাননি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা অতনু।