পবিত্র মাহে রমজানে রোজাদারদের ইফতারে অন্যতম আইটেম হিসেবে পানীয় শরবত রাখা হয়। প্রচন্ড গরমে সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় ইফতারের সময়ে তৃষ্ণার্থরা ঠান্ডা পানীয় জাতীয় খাবার প্রথম পছন্দ। অন্যান্য বছরের ন্যায় পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে এবারও চট্টগ্রাম নগরীর লাভ লেইনের আবেদন কলোনীর মুখে লাল মিয়া নামক ব্যক্তি বসিয়েছে শরবতের ভাসমান দোকান। নাম দেয়া হয়েছে ‘শরবতে মহব্বত, লাল মিয়া ভাইয়ের শরবত’। আজ ৬ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় লাভ লেইনে আবেদন কলোনীর মুখে মসজিদেও সামনে গিয়ে দেখা গেছে, লাল মিয়ার দোকানে ঠান্ডা শরবত ক্রয় করতে রোজাদারদের উপছে পড়া ভীড়। লাল মিয়া, তার ছেলে ও কয়েকজন কর্মচারী মিলে ভিন্ন ভিন্ন ড্রামে বাদাম ও তরমুজের শরবত তৈরী করে সেখানে বরফ দিয়ে ১ লিটার, হাফ লিটার পরিমাপের পেট বোতলে ও গ্লাসে করে বিক্রয় করছে। শরবত তৈরীর সাথে সাথে রোজাদারেরা ক্রয় করেও নিয়ে যাচ্ছে। এখানে বাদামের শরবত ১ লিটার ২০০ টাকা, হাফ লিটার ১০০ টাকা ও প্রতি গ্লাস ৪০ টাকা এবং তরমুজের শরবত ১ লিটার ১৪০ টাকা, হাফ লিটার ৭০ টাকা ও প্রতি গ্লাস ৩০ টাকা মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে। শরবত বিক্রেতা লাল মিয়া জানান, এই রমজানে প্রতিদিন গড়ে বাদাম ও তরমুজের শরবত মিলে প্রায় ৫’শ লিটার শরবত বিক্রয় হয়। চট্টগ্রাম নগরীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরি·া ও মোটর সাইকেলে করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোক এখানে শরবত নিতে আসে। ইতোপূর্বে ‘শরবতে মহব্বত, লাল মিয়া ভাইয়ের শরবত’ ক্রয়ে রোজাদার ও ক্রেতাদের আগ্রহের বিষয়ে কয়েকটি বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সচিত্র সংবাদ প্রচারিত হয়।
লালমিয়া আরও জানান, বিগত ১৬ বছর ৪ মাস ধরে সে চট্টগ্রাম নগরীর লাভ লেইনের আবেদন কলোনীর মুখে শরবত ক্রিয় করে আসছে। পবিত্র রমজান ছাড়া ও এখানে শরবত বিক্রয় করা হয়। অনেকে শরবতের অগ্রিম অর্ডার দিয়ে থাকে বলে জানান লাল মিয়া।