
কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর অপহৃত এক ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব এর সদস্যরা। একই সাথে অপহরণকারী মো. শাহিন আলমকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার রাতে খুলশী থানাধীন লালখান বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. শাহিন কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার পূর্ব লম্বরীপাড়ার ইউসুপ আলীর পুত্র।
র্যাব জানায়, অপহৃত ভিকটিম (১৬) কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। একই গ্রামের বখাটে মো. শাহিন আলম ভিকটিমকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্রী প্রস্তাবে রাজি না হলে বখাটে শাহিন আলম তার পরিবারের লোকজন দিয়ে ভিকটিমের পরিবারের নিকট বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়। বখাটের শাহিন আলমের স্বভাব-চরিত্র ভাল না হওয়ায় এবং ভিকটিম অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বিবাহের প্রস্তাব ভিকটিমের পরিবার প্রত্যাখান করে। প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় বখাটে শাহিন আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করার হুমকি প্রদান করে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ী ফেরার পথে উখিয়া থানাধীন রুমখাঁ পালং ত্রিরত্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে চৌরাস্তার মোড়ে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বখাটে শাহিন ও তার ৩/৪ জন সহযোগী ওই ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়া যায়। অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারকে খবর দেন। পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে না পেয়ে তার ভাই বাদী হয়ে গত ১ মার্চ কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানায় একটি মামলা(নং- নং-০৪) দায়ের করে। এরপর কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানা পুলিশ জানতে পারে মামলার আসামি বখাটে শাহিন আলম ভিকটিমকে নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওই ছাত্রীর পরিবার তাকে দ্রুত উদ্ধার এবং অপহরণকারী’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে র্যাব সদস্যরা গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যহত রাখে।
পরে গোপন খবরের ভিত্তিতে জানতে পারে , আসামি শাহিন আলম খুলশী থানাধীন লালখান বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। এ সময় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণ করার কথা নিজে অকপটে স্বীকার করে। আরো জানায়, মামলার পর আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।