আজঃ শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়ে ২ জনের ফাঁসির আদেশ

ভাই-বোনসহ ‘শিবির ক্যাডার’ সাইফুলকে খুন

চট্টগ্রামে তিন জনকে খুনের মামলায় দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন একটি আদালত। অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে ‘শিবির ক্যাডার’ সাইফুল ও তার ভাই-বোনসহ তিনজনকে খুনের এই মামলার একই রায়ে আদালত আসামিদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। তবে মামলার আসামি দুই শিবির ক্যাডার র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ায় তাদের আগেই বিচার কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

 

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার এ রায় দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারী মো. আল আমিন জানিয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন আবুল কাশেম (৭০) ও মো. ইউসুফ প্রকাশ খাইট্ট্যা ইউসুফ (৭০)। তাদের বাড়ি নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার বালুচরা এলাকায়। রায় ঘোষণার সময় উভয়ে আদালতে হাজির ছিলেন। খুনের শিকার তিনজন হলেন— সাইফুল ইসলাম, তার ভাই মো. আলমগীর ও বোন মনোয়ারা বেগম। তাদের বাড়িও বালুচরা এলাকায়।
জানা গেছে, দণ্ডিত আসামদের সঙ্গে সাইফুলের জায়গা-সম্পত্তির বিরোধ ছিল। সেই বিরোধকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষ শিবির ক্যাডাররা সাইফুল এবং তার ভাই ও বোনকে খুন করেছিল। দুই দশক আগে ট্রিপল মার্ডারের এ ঘটনা চট্টগ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। এর মধ্য দিয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডে শিবির ক্যাডারদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফয়েজ বলেন, আসামি কাশেম ও ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দণ্ডবিধির ৩০২, ১১৪ ও ৩৪ ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি কাশেম ও ইউসুফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় জানা যায়, বায়েজিদ বোস্তামি থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় ৩৬ শতক জমি নিয়ে আসামি ইউসুফ ও কাশেমের সঙ্গে সাইফুলের বিরোধ চলছিল। একইসঙ্গে সাইফুলের সঙ্গে বিরোধ চলছিল ওই এলাকার তৎকালীন দুর্র্ধষ শিবির ক্যাডার মো. নছির ওরফে গিট্টু নাছিরের সঙ্গেও। গিট্টু নাছির ও সাইফুল শিবির ক্যাডার হিসেবে সেসময় চট্টগ্রাম শহরের ত্রাস ছিল। দেশজুড়ে তোলপাড় তৈরি করা অধ্যক্ষ গোপালকৃষ্ণ মুহুরী খুনের মামলায় তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়েছিল। উভয়ে আরেক দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী শিবির নাছির ওরফে বড় নাছিরের অনুসারী ছিল। নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রাবাস থেকে বড় নাছির গ্রেফতার হওয়ার কয়েকবছর পর গিট্টু নাছির ও সাইফুলের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এসময় দু’জন আলাদাভাবে দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তোলে এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঙ্গা-খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ে।এ অবস্থায় গিট্টু নাছির ও তার অনুসারীরা সাইফুলকে খুনের পরিকল্পনা করে। বালুচরার বাসিন্দা ইউসুফ ও কাশেমও সাইফুলকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ইউসুফ-কাশেমের সঙ্গে গিট্টু নাছিরের দল এক হয়ে সাইফুলকে খুনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে। ২০০৪ সালের ২৯ জুন বালুচরা এলাকায় সাইফুলের বাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে গিট্টু নাছির, তার সহযোগী ফয়েজ মুন্না ও আজরাইল দেলোয়ার। সঙ্গে ছিল কাশেম ও ইউসুফ।
গিট্টু নাছিরদের দেখে সাইফুল ও তার ভাই আলমগীর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। হামলাকারীদের ঠেকাতে মনোয়ারা তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে ফয়েজ তাকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পালানোর সময় পেছন থেকে আলমগীরকে ফয়েজ মুন্না গুলি করে। আলমগীর পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর কাশেম সাইফুলকে দেখিয়ে নাছিরকে নির্দেশ দিয়ে বলে, ‘এ শালাকে জীবনে শেষ করে দে।’ সঙ্গে সঙ্গে গিট্টু নাছির গুলি ছুড়লে সাইফুল কপালে, বুকে, পেটে, পিঠে ও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীরও মারা যায়।
এ ঘটনায় সাইফুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বায়েজিদ বোস্তামি থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে ইউসুফ, কাশেম, গিট্টু নাছির ও ফয়েজ মুন্নাকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে আজরাইল দেলোয়ারের নাম এজাহার ও অভিযোগপত্রে আসেনি, যদিও তদন্ত প্রতিবেদনে তার নাম ছিল। কিন্তু র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা যাওয়ায় তার নাম বাদ পড়ে।২০১৭ সালের ৫ জুলাই ইউসুফ ও কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। র‌্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে মারা যাওয়ায় গিট্টু নাছির ও ফয়েজ মুন্নাকে বিচার কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত রায় দেন।

এদিকে বাবাকে নির্দোষ দাবি করে আসামি ইউসুফের ছেলে মো. পারভেজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবা সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমার বাবাকে এখানে ফাঁসানো হয়েছে। এ মামলা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে করা হয়েছিল। জামায়াত-শিবিরের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে ওই খুনগুলো হয়েছিল। আমার বাবা আওয়ামী লীগের অনুসারী। ২০১০ সালে রাষ্ট্রপক্ষের কাছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল মামলা বাতিল করার জন্য। ২০১৩ সালে মামলা বাতিলের জন্য এ আদালতে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছিল। এটা কার্যকর না করে একতরফাভাবে ওনাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা হাইকোর্টে যাব বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বড় ব্যবসায়ীরা নিজেদের ফায়দা নিতে গিয়ে অন্যদের ধ্বংস করেছে:চসিক মেয়র

বড় ব্যবসায়ীরা নিজেদের ফায়দা নিতে গিয়ে অন্য ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আজ বিভিন্ন কারণে ছোট মাঝারি ব্যবসায়িরা সমস্যায় পড়েছে। বড় বড় ব্যবসায়িরা তাদের ফায়দা নেওয়ার জন্য রাজনীতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ট্যাক্স মওকুফ করিয়েছে। তারা কমপ্রোমাইজ করেছে তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য। কিন্তু ছোট মাঝারি ব্যবসায়ীদের তারা ধ্বংস করে দিয়েছে গত ১৬ বছরে।

শনিবার দুপুরে কাজীর দেউড়ী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বাংলাদেশ ২০২৫ এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য মেলার আয়োজক ও মিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসহাক মিয়ার সভাপতিত্বে ও স্বপ্না জিমি ও শিশির চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
মেলায় ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপাল, ইরান ও চায়না সহ দেশি বিদেশি দুই শতাধিক দোকান রয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয়ে ১ মার্চ পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলার প্রবেশ টিকেট ২০ টাকা। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।

চসিক মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম অনেক পুরানো নগরী। এটা বাণিজ্যের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। এক সময় মায়ানমারের সঙ্গে চট্টগ্রামের একটা সংযোগ ছিল ব্যবসার। সেই ব্যবসাটা বাড়তে বাড়তে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চট্টগ্রামের সুনাম ব্যবসায়িকভাবে ছড়িয়েছে।
জিয়াউর রহমানের মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ফিরতে হবে জানিয়ে মেয়র শাহাদাত বলেন, এ ধারা থেকে বেরিয়ে এসে মুক্তবাজার যে অর্থনীতি, যেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের পরে তিনি উন্মুক্ত করেছেন। এবং যার ধারাবাহিকতায় অর্থনীতির জিডিপিতে, মানবসম্পদ, কৃষি এবং গার্মেন্টস সেকশনে যে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছিল, সেই ধারায় আমাদের ফিরে যেতে হবে। আজ চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক নগরের পাশাপাশি পর্যটন নগরীও। কিন্তু সেটাকে আমরা সেভাবে ফোকাস করতে পারি নাই। এটাকে ফোকাস করতে হবে বলে জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই মেলা চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে। এখানে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভাতৃত্বের বন্ধন ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। দেশে কঠিন এক সময় অতিক্রম করে আজকে আমরা এই পরিবেশে এসেছি। বর্তমান গণতান্ত্রিক পরিবেশে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই। এতে বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ী আফসা মনসুর, ভারতের ব্যবসায়ী মিরাজ কাশ্মীর, মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য ফেরদৌস আহমেদ লিটন, এনায়েত হোসেন ফোরকান, জুনায়েদ আহমেদ, কোরআন তেলওয়াত করেন মো. কাউসার প্রমূখ।

চট্টগ্রাম মহানগরে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার-৪০

চট্টগ্রাম মহানগরে ২৪ ঘণ্টায় অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার অভিযানে নগরীর ১৬ থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে বলে নগর পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এদের অধিকাংশই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলাকারী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা আছে।

গ্রেফতার ৪০ জনের মধ্যে নগরীর কোতোয়ালী থানায় সাতজন, পাঁচলাইশ থানায় দুইজন, চকবাজার থানায় একজন, বায়েজিদ বোস্তামি থানায় চারজন, আকবরশাহ থানায় চারজন, সদরঘাট থানায় একজন, হালিশহর থানায় তিনজন, খুলশী থানায় দুইজন, ইপিজেড থানায় দুইজন, ডবলমুরিং থানায় এক শিশুসহ চারজন, পতেঙ্গা থানায় একজন আছেন।এ ছাড়া নগরীর বন্দর থানায় একজন, পাহাড়তলী থানায় দুইজন, চান্দগাঁও থানায় একজন, বাকলিয়া থানায় তিনজনজন এবং কর্ণফুলী থানায় একজন আছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ