
দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৩নং রায়পুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের অবহেলিত জনগণের কথা, ছবি তুলেই লাভ কি? আরার তো হন উন্নতি নো অয়। চাইরো মিক্কে এত ব্রিজ ওর বলি হর। আরার ইবেতো আজো বাঁশর ওৌ লই গেয়ি। তোয়ারা ছবি তুলি পত্রিকাত নিউজ গর সরকারে দেহক। আরারে অগ্গো ব্রিজ গরি দখ।
এভাবেই এলাকার লোকজন স্থানীয় সাংবাদিক গেলেই নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন। আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর-জুঁইদন্ডি সাপ মারা খালের এই বাশেঁর সাঁকোটি দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে দেখে আসছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। এখনো এর কোন বিহিত করতে পারেনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন। তবে প্রত্যেকে আমাদের কে নির্বাচনের সময় আশ্বাস দেন। কিন্তু নির্বাচন চলে যাওয়ার পর আর কারো কোন খবর থাকে না।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মনির উদ্দিন বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে এই সাঁকো পারাপার করি। ছোট ও বয় বৃদ্ধদের অনেক কষ্ট হয়ে যায় পারাপারে। শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় যেতে প্রচুর দুর্ভোগে পড়তে হয়। অনেক জোড়াতালির মধ্য দিয়ে এই সাঁকোটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে। এই গ্রীষ্মের মৌসুমে প্রখর রোদের মধ্যে দিয়ে বাশঁ ধরে ধরে সাঁকো পার হতে হয়। আমরা জানি না এর শেষ কোথায়। তবে আমরা আশায় আছি আমাদের এই সাপমারা খালের উপর একটি ব্রিজ হবে।
সূত্রে জানা যায়, ৩নং রায়পুর ইউনিয়নের ৫ নং সরেঙ্গা ওয়ার্ড এবং ১১ নং জুঁইদন্ডি ইউনিয়নের ৭ নং খুরুস্কুল ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী এই সাঁকোটি অবস্থিত। সাঁকোটি পার হতে যেকোনো ব্যক্তির শরীর ভয়ে শিউর উঠে। পারাপারের সামান্য বেখেয়াল হলে পা পিছলে পড়তে হবে গভীর নদীতে। এলাকাবাসী প্রত্যেকের দাবি অতি দ্রুত তাদের এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটির স্থলে একটা ব্রিজ নির্মাণ হোক। ব্রিজটি নির্মাণ হলে দুঃখ ঘুচাবে উভয় গ্রামের অন্তত বিশ হাজার মানুষের।

এবার পারে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ইশতিয়াক ইমন বলেন, উপজেলার সাপমারা খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন আসলেই দ্রুত ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
তাং: ২৩/০৪/২৪ইং