আজঃ সোমবার ১০ নভেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের আসন্ন চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের আসন্ন চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, পিপিএম-সেবা।

আগামী ৩ মে ২০২৪ থেকে  ৭ মে ২০২৪  চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল আজ রাতে এবং জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দল আগামী ২৮ এপ্রিল ২০২৪  শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।

সভায় বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের আসন্ন চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।

এছাড়াও সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) জনাব আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব মাসুদ আহাম্মদ, বিপিএম-সেবা, পিপিএম-সেবা; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) জনাব মো. আব্দুল ওয়ারীশ, পিপিএম-সেবা (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মহোদয়সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিসিবি, জেলা প্রশাসন, ওয়াসা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএ, এপিবিএন, ফায়ার সার্ভিস, র‍্যাব, এনএসআই, ডিজিএফআই, বিআরটিএ, সিএমসিএইচ, বিপিডিবি, রেডিসন ব্লু হোটেলের সিকিউরিটি অফিসারসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ আসন্ন সিরিজটি সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রস্তাব পেশ করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাউজানে সরকারি রাস্তার ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি স্থানীয়দের

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম গুজরা এলাকায় সরকারি রাস্তার ওপর অনুমোদনবিহীন নকশায় বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, জাল কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি রাস্তার ওপর ভবন নির্মাণ করে স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় জনসাধারণ ভবনটি ভেঙে রাস্তা উন্মুক্ত করার জোর দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাফর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাউজানের নোয়াপাড়া পশ্চিম গুজরার আহমদুর রহমানের বাড়ির আলাউদ্দিনের পুত্র নুরুল ইসলাম ও তার পুত্ররা— মো. জাহেদুল ইসলাম, মো. শাহেদুল ইসলাম, নিজামুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম— যৌথভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি রাস্তা বন্দোবস্তে নিয়ে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করে আসছেন।

তবে সরকারি নথি অনুযায়ী, উক্ত জায়গাটি পশ্চিম গুজরা এলাকার মৃত আছদ আলীর পুত্র হাজী আকাম উদ্দিন বন্দোবস্ত মামলা মূলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বৈধভাবে বন্দোবস্তে নিয়েছিলেন। এটি মূলত সরকার ঘোষিত জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা হওয়ায় তিনি জীবদ্দশায় রাস্তা দখল না করে সাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রেখেছিলেন।

১৯৯৭ সালের ২ মার্চ আকাম উদ্দিন নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে জায়গাটির কোনো ওয়ারিশ না থাকায় তা স্থানীয় জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত সরকারি রাস্তা হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

অভিযোগ রয়েছে, দুই বছর আগে নুরুল ইসলাম নিজেকে মৃত আকাম উদ্দিনের পালকপুত্র দাবি করে উক্ত জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। স্থানীয়রা রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নির্মাণ বন্ধের অনুরোধ করলেও তিনি তা অগ্রাহ্য করে জোরপূর্বক দুই তলা ভবন নির্মাণ করেন এবং এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় মো. জাফর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (উত্তর), চট্টগ্রামে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৭ ধারায় মামলা (নং-৭২/২০২৫, রাউজান) দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী এস.এম. ছানাউল করিম তদন্ত পরিচালনা করে ২৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উক্ত তফসীলোক্ত জায়গাটি সত্যিই আকাম উদ্দিন বন্দোবস্তে নিয়েছিলেন, তবে নুরুল ইসলাম তার কোনো ওয়ারিশ নন। আর.এস. ও পি.এস. রেকর্ড অনুযায়ী জায়গাটি “রাস্তা” শ্রেণিভুক্ত সরকারি সম্পত্তি। সুতরাং ব্যক্তিগত মালিকানা দাবি করে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ আইনত অপরাধ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “তফসীলোক্ত জায়গাটি আর.এস. ও পি.এস. জরিপ অনুযায়ী সরকারিকৃত রাস্তা হিসেবে চিহ্নিত। উক্ত জায়গায় নির্মাণাধীন ভবন আইনগতভাবে অননুমোদিত, যা চলাচল ব্যাহত করছে। অতএব, বন্দোবস্ত বাতিল করে ভবন উচ্ছেদপূর্বক জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভবন নির্মাণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী, মসজিদ ও মাদরাসামুখী মুসল্লি এবং সাধারণ পথচারীরা বাধ্য হচ্ছেন বিকল্প পথে চলাচল করতে।

এ প্রসঙ্গে এলাকার সচেতন মহল বলছেন, “রাস্তাঘাটের ওপর ব্যক্তিগত দখল বন্ধ করতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। রাস্তা জনগণের সম্পদ— একে কেউ ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না।”

তারা আরও বলেন, “প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপে উক্ত রাস্তা দখলমুক্ত করে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সকলের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাস্তা যেন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে না থাকে, সে বিষয়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।”

সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, সরকারি রাস্তার ওপর কোনো স্থাপনা নির্মাণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন— দ্রুত তদন্ত সমাপ্ত করে ভবনটি উচ্ছেদ, রাস্তা দখলমুক্ত করা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

চলাচলের জন্য উন্মুক্ত সরকারি রাস্তা সকলের মৌলিক অধিকার— এই অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এখন প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করছে রাউজানবাসী।

মফস্বল মাঠে আন্তর্জাতিক টেপবল বিপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

মফস্বল এলাকায় প্রথমবারের মতো দেশি-বিদেশি তারকা খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে জমজমাট ক্রিকেট উৎসবের আয়োজন করেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা স্পোর্টিং ক্লাব। ‘আন্তর্জাতিক টেপবল বিপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার পূর্ব চান্দরা স্পোর্টিং ক্লাব মাঠে।

প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, আর প্রতিটি খেলাতেই থাকছে দেশি ও বিদেশি তারকা খেলোয়াড়দের উপস্থিতি। টুর্নামেন্টকে ঘিরে এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।


আজ (রবিবার) সকাল বেলা শরীয়তপুর বনাম চট্টগ্রাম দলের খেলা অনুষ্ঠিত হয় । ৩২ রানে জয়ী হয় শরীয়তপুর। শরীয়তপুর দলে ছিলেন পাকিস্তানের জহির কালিয়া এবং সৌদি আরবের আব্দুল মান্নান। চট্টগ্রাম দলের কোনো বিদেশি খেলোয়াড় ছিল না। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সিলেট বনাম ঢাকা ম্যাচ, ৫ উইকেটে বিজয়ী হয় সিলেট ফাইটার যেখানে সিলেট ফাইটারস দলে অংশ নেন পাকিস্তানের আলী চুহা ও সৌদি আরবের ওয়াজিউল হাসান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন পূর্ব চান্দরা স্পোর্টিং ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা সাইজুদ্দীন আহমেদ এবং মাঠের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক সারোয়ার হোসেন আকুল।

প্রধান অতিথি মুজিবুর রহমান বলেন, মফস্বল এলাকায় এমন আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বিদেশি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ স্থানীয় তরুণদের অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং ক্রীড়া চর্চায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, এবারের টুর্নামেন্টে মোট আটটি দল অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী দিনে শরীয়তপুর বনাম চট্টগ্রাম ও সিলেট বনাম ঢাকা দলের মধ্যে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলাগুলো উপভোগ করতে মাঠে হাজারো দর্শকের সমাগম ঘটে।

বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে অংশগ্রহণ করেছেন পাকিস্তান ও সৌদি আরবের নামিদামি ক্রিকেটাররা। সিলেট ফাইটারসের পক্ষে খেলছেন সৌদি আরব জাতীয় দলের অধিনায়ক ওয়াজিউল হাসান (ওজিল হাসান) এবং পাকিস্তানের আলী চুহা। অপরদিকে শরীয়তপুর টিমে রয়েছেন পাকিস্তানের জহির কালিয়া ও সৌদি আরবের আব্দুল মান্নান।দেশি তারকাদের মধ্যে খেলছেন জনপ্রিয় টেপবল খেলোয়াড় হেলিকপ্টার বাবলু, রকেট সুমন, সকালসহ আরও অনেকে।

সিলেট ফাইটারস দলের খেলোয়াড় খালেদ আকরাম বলেন, এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। টুর্নামেন্টের পরিবেশ, মাঠের প্রস্তুতি এবং দর্শকদের আগ্রহ সত্যিই প্রশংসনীয়।

আয়োজক কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক সারোয়ার হোসেন আকুল জানান, মাঠ খেলার উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে। দর্শকদের জন্য গ্যালারি, আলোকসজ্জা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। খেলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করা হচ্ছে, যাতে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ টুর্নামেন্টটি উপভোগ করছে।

ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা সাইজুদ্দিন আহমেদ বলেন,
আমরা চাই তরুণরা মাঠমুখী হোক, খেলাধুলার মাধ্যমে মাদক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকুক। এমন আন্তর্জাতিক মানের আয়োজনের মাধ্যমে মফস্বল এলাকায় খেলাধুলার নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ