
বিচারপতি নাঈমা হায়দার বলেছেন, ‘আইনের ডিগ্রি অর্জন করলেই আমার পড়ালেখা শেষ হয়ে গেছে, আমার আর পড়ালেখা করতে হবে না, এ ধারণা একেবারেই ভুল। আইন পেশায় নিয়োজিত হওয়ার পরও প্রতিদিনই শিখতে হবে, নতুন কিছু জানতে হবে। কারণ সবকিছু পরিবর্তিত হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল’ স্টুডেন্টস (নিলস) বাংলাদেশ ও চিটাগং ইউনিভার্সিটি চ্যাপ্টারের নতুন পরিচালনা পরিষদের সংবর্ধনা উপলক্ষে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এর আগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিত কায়েস রাহাত ও এম মনিরুল ইসলামকে ‘নিলস বাংলাদেশ’-চবি চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এবং জেনারেল সেক্রেটারি ঘোষণা করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাঈমা হায়দার বলেন, আমি যখন নারী দিবসের কোনো অনুষ্ঠানে যাই, তখন শ্রোতারা বোধহয় মনে করেন আমি যাতে নারীদের নিয়ে কিছু কথা বলি। আমি একজন বিচারপতি, কিন্তু আমাকে নারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমি কিন্তু সেটা করি না। আমার কাছে নারী বলতে কোনো কিছুই নেই। নারীর অধিকার বলে কিছু আছে। কিন্তু নারী বলতে কোনো বিষয় নেই। আমি মনে করি, আমি একজন মানুষ, নারী নই।
আমি একজন জজ হিসেবেই এখানে আছি। আর এখানে আমি অনেক জজদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই টিকে আছি। সুতরাং এখানে নারী বলতে কোনো কিছু নেই। আমি সব মেয়েদের জন্যই একথা বলছি।
একই অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, অতীতে আইনের ছাত্ররাই রাজনীতি করতেন। আইনের ছাত্ররাই মানবাধিকার, মানুষের মুক্তির জন্য লড়াইয়ে অগ্রভাগে থাকতেন। কিন্তু এখন ধনকুবেররা রাজনীতি করে। রাজনীতি যদি এ পথে থাকে, মানুষের মুক্তি আসবে না। যেখানে আইন নেই, বিচার নেই, সেখানে মুক্তি আসবে না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুঁইয়া, চবি’র উপ-উপাচার্য সেকান্দার চৌধুরী।