আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ডিগ্রি অর্জন করলেই আইনের পড়ালেখা শেষ হয় না- বিচারপতি নাঈমা হায়দার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিচারপতি নাঈমা হায়দার বলেছেন, ‘আইনের ডিগ্রি অর্জন করলেই আমার পড়ালেখা শেষ হয়ে গেছে, আমার আর পড়ালেখা করতে হবে না, এ ধারণা একেবারেই ভুল। আইন পেশায় নিয়োজিত হওয়ার পরও প্রতিদিনই শিখতে হবে, নতুন কিছু জানতে হবে। কারণ সবকিছু পরিবর্তিত হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল’ স্টুডেন্টস (নিলস) বাংলাদেশ ও চিটাগং ইউনিভার্সিটি চ্যাপ্টারের নতুন পরিচালনা পরিষদের সংবর্ধনা উপলক্ষে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এর আগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিত কায়েস রাহাত ও এম মনিরুল ইসলামকে ‘নিলস বাংলাদেশ’-চবি চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এবং জেনারেল সেক্রেটারি ঘোষণা করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাঈমা হায়দার বলেন, আমি যখন নারী দিবসের কোনো অনুষ্ঠানে যাই, তখন শ্রোতারা বোধহয় মনে করেন আমি যাতে নারীদের নিয়ে কিছু কথা বলি। আমি একজন বিচারপতি, কিন্তু আমাকে নারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমি কিন্তু সেটা করি না। আমার কাছে নারী বলতে কোনো কিছুই নেই। নারীর অধিকার বলে কিছু আছে। কিন্তু নারী বলতে কোনো বিষয় নেই। আমি মনে করি, আমি একজন মানুষ, নারী নই।
আমি একজন জজ হিসেবেই এখানে আছি। আর এখানে আমি অনেক জজদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই টিকে আছি। সুতরাং এখানে নারী বলতে কোনো কিছু নেই। আমি সব মেয়েদের জন্যই একথা বলছি।
একই অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, অতীতে আইনের ছাত্ররাই রাজনীতি করতেন। আইনের ছাত্ররাই মানবাধিকার, মানুষের মুক্তির জন্য লড়াইয়ে অগ্রভাগে থাকতেন। কিন্তু এখন ধনকুবেররা রাজনীতি করে। রাজনীতি যদি এ পথে থাকে, মানুষের মুক্তি আসবে না। যেখানে আইন নেই, বিচার নেই, সেখানে মুক্তি আসবে না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুঁইয়া, চবি’র উপ-উপাচার্য সেকান্দার চৌধুরী।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ওসমান হাদিকে দেখতে এসে তোপের মুখে মির্জা আব্বাস।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ