আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

হোসেনপুরে তীব্র গরমে ক্লাসেই অসুস্থ শিক্ষার্থী

তৌহিদুল ইসলাম সরকার স্টাফ রিপোর্টার :

কিশোরগঞ্জ:

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে তীব্র গরমে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অসুস্থ ১ শিক্ষার্থীকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার হোসেনপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষা অফিসার সালমা আক্তার।

জানা যায়,তীব্র গরম থাকায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ১ম শ্রেণির একটি কক্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী হঠাৎই অসুস্থতা অনুভব করতে থাকেন। পরে অন্য শ্রেণিগুলোতে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়। অসুস্থ এসব শিক্ষার্থীদের স্কুলের অফিস রুমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়৷

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা জানান, হঠাৎই তীব্র গরমে একটি ক্লাসের কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে যায়। পরে অন্যান্য শ্রেণিতে গিয়ে একই অবস্থা দেখা যায়। কয়েকজন অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে যায়। পরে, আমরা প্রতিষ্ঠানটি ছুটি দিয়ে দেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল জানান, গরম কিছুটা বেশি। ঘটনাস্থলে এসে দেখেছি কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। স্কুল ছুটি দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান,বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অনিয়ম ও অবহেলার লালমোহন হাসপাতাল : নিজেই একটা আস্ত রোগী।

 

ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা বর্তমানে ন্যায়সঙ্গত নয়। নিয়মিত ডাক্তার উপস্থিতি না থাকা, বিশেষজ্ঞদের উপর অতিরিক্ত চাপ এবং বহি বিভাগের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কারণে লালমোহন উপজেলার প্রায় ৩ লক্ষ সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছে। অনিয়ম ও অবহেলার লালমোহন হাসপাতাল নিজেই একটা আস্ত রোগীতে পরিণত হয়েছে !!

পাঁচটি মৌলিক চাহিদার অন্যতম হলো চিকিৎসা। কিন্তু লালমোহনের জনগণ এই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম, উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে চিকিৎসা সেবা এখন প্রায় ‘তামাশা’র পর্যায়ে পৌঁছেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে হাসপাতালটিতে কর্মরত আছেন মাত্র ৯ জন চিকিৎসক। এর মধ্যে রয়েছেন দুইজন কনসালটেন্ট, একজন ডেন্টাল সার্জন, একজন হারবাল চিকিৎসক, চারজন মেডিকেল অফিসার এবং একজন আরএমও। কিন্তু বাস্তবে বহি বিভাগে নিয়মিত চিকিৎসা প্রদান করছেন মাত্র চারজন চিকিৎসক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ডেন্টাল সার্জন এবং হারবাল চিকিৎসককেও সাধারণ রোগীর প্রেসক্রিপশন দেওয়ার জন্য বসানো হয়েছে। চারজন মেডিকেল অফিসারের মধ্যে অনেকে মাসে মাত্র দুই-তিনবার এসে ৪৮ ঘণ্টা ডিউটি শেষ করে চলে যান। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্টে উপস্থিতি না দেওয়াই তাদের নীতি। ফলশ্রুতিতে হাসপাতালের৷বহি:বিভাগের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে একজন মেডিকেল অফিসার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, “আমরা নিয়মিত ডিউটি করি, তবে কখনও কখনও কর্মী সংকট ও পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে উপস্থিত থাকা কঠিন হয়। বর্তমানে আমাদের টিএস স্যার নেই। বাকিটা আরএমও স্যারের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন।”

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, “ডাক্তার পেতে অনেক অপেক্ষা করতে হয়। টিকেট নিয়ে দাঁড়ালেও হারবার ও ডেন্টিস দিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। আমি জ্বর ও ঠান্ডা নিয়ে এসেছি, বুকে হালকা ব্যথা অনুভব করছি, কিন্তু সঠিক চিকিৎসা পাইনি।” বহু মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ফিরেও চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে গেছেন।

এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. মোহাসিন বলেন, “২৭ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে ৯ জন কর্মরত। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। অভিযোগগুলো যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহে ৮/৯ জন ডাক্তার যোগদান করলে সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে।”
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. মনিরুজ্জামান জানান “আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ডাক্তার কেন আসবে না, তা দেখা হচ্ছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু লালমোহনের জনগণ স্বাস্থ্য সেক্টরের অবহেলা,উদাসীনতা ও অনিয়মের কারণে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় দ্রুত শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবি জানিয়েছেৎলালমোহনের ভুক্তভোগী আপামর জনসাধারণ।

আমিরাতে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সংবর্ধনা আলোচনা সভা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বিডিওস) দুবাই ও উত্তর আমিরাতের উদ্যোগে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিবি) এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মানকে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শারজাহের হুদাইবিয়া রেস্তোরায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ সভাপতি প্রকৌশলী কাউছার শফি। সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ূমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইডিবির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেকুল ভূইয়া, সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী খন্দকার মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম খান ও সদস্য প্রকৌশলী মাহে আলম।

অনুষ্ঠানে ভিডিও কলে ভার্চুয়াল সংযুক্ত ছিলেন আইডিইবি কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী কবির উদ্দিন ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যুগ্ন সম্পাদক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ও পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, প্রকৌশলী আব্দুল বাকের, প্রকৌশলী এস এম করিম উদ্দিন, প্রকৌশলী মাইনুর রহমান, প্রকৌশলী সাজ্জাদুর রহমান, প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম সোহেল, প্রকৌশলী শাহিনুর আলম, প্রকৌশলী সুমন ও প্রকৌশলী সাকিলা চৌধুরী লুনা সহ আরো অনেকে। বক্তারা বলেন, বর্তমানে আমিরাতে বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশী প্রকৌশলী আমিরাতের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছেন।

সংবর্ধনা শেষে আলোচনা সভায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির দুবাইয়ের নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের জন্য সংবর্ধিত অতিথিকে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এছাড়া আমিরাতের সকল প্রকৌশলীদের একসাথে মিলেমিশে বাংলাদেশের সুনাম কুড়াতে ভূমিকা পালন করার আহবান জানানো হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ