আজঃ শনিবার ১৭ মে, ২০২৫

ডিজিটাল ব্যংক লাইসেন্স পাবে সর্বোচ্চ ২০ প্রতিষ্ঠান

১৫ দিনেও আবেদন করেনি কেউ

বর্তমানে দেশে প্রচলিত ধারার ব্যাংক আছে ৬১টি।  পাশাপাশি ব্যাংকভিত্তিক মডেলে যাত্রা শুরু করা এ খাতে রয়েছে ১৩টি এমএফএস কোম্পানি। এমন বাস্তবতায় সর্বোচ্চ ২০টি নতুন ধারার ডিজিটাল ব্যাংক গড়তে লাইসেন্স দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এই ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভূক্তির পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে উদ্ভাবনে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলে বলেই মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

সে লক্ষ্যে ‘অনলাইনে আবেদন’ জমা দেওয়ার জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল থেকে গত ২১ জুন অনলাইন আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটি নিয়ে এমএফএস ও আইটি খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেলেও লাইসেন্স আবেদনের ক্ষেত্রে ‘ক্ষীপ্রতা’ নেই এখনও। আগামী ১ অগাস্টের মধ্যে লাইসেন্স জমা দেয়ার সুযোগ থাকায় কর্মদিবসের প্রথম সপ্তাহে লাইসেন্স পেতে জমা পড়েনি একটি আবেদনও। ৪২ দিনের মধ্যে ১৫ দিন অতিক্রান্তের পরও আবেদন করেননি একজন উদ্যোক্তাও।

তবে আবেদন করার আগাম আভাস দিয়েছে দেশের আলোচিত দুই এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও নগদ। প্রবল আগ্রহ থাকলেও প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের সংগঠন বেসিস বিষয়টি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ না করায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছে।

ডিজটাল ব্যাংক নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (দায়িত্ব প্রাপ্ত) জাকির হোসেন জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ ২০ জনকে এই লাইসেন্স দেয়া হবে। ঈদের ছুটির আগ পর্যন্ত ডিজিচাল বাংক এর জন্য কেউ আবেদন না করলেও জুলাই মাস নাগাদ আবেদন পাওয়া যাবে। প্রাপ্ত আবেদন যাচাই বাছাই করে এলওয়াই দেয়া হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্যাংকের বাইরে থাকা মানুষকে এর মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে আনা হবে।

এমন পরিস্থিতিতে আবেদনের সময় বেধে না দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। তার মতে, প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের যোগ্যতা ও সক্ষমতা অনুযায়ী আবেদন করবে এমন সুযোগ থাকার পাশাপাশি এখানে প্রতিযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে গোটা কয়েক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া উচিত।

সূত্রমেতে, ব্যয় সাশ্রয়ী ও উদ্ভাবনীমূলক ডিজিটাল আর্থিক পণ্য ও সেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিকট সহজলভ্য করার জন্য ডিজিটাল ব্যাংক অনলাইন প্রযুক্তিনির্ভর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ব্লকচেইন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যান্য অগ্রসরমান প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে নতুন ধারার ‘ডিজিটাল ব্যাংক’- কে।  শর্ত অনুযায়ী, ন্যূনতম ৫০ শতাংশ আইটি দক্ষদের নিয়ে গড়ে উঠবে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, এই ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম মূলধন লাগবে ১৫০ কোটি টাকা। কোনা শাখা ছাড়াই এই ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ, ঋণ আবেদন ও ঋণ অনুমোদন সবই হবে অ্যাপভিত্তিক। লেনদেনের সুবিধার্থে ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড পাবেন গ্রাহকরা। তবে ডিজিটাল ব্যাংক কোনো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারবে না। বড় এবং মাঝারি শিল্পেও কোনো ঋণ দেওয়া যাবে না। শুধু ছোট ঋণ দিতে পারবে। কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তার পরিবারের কোনো সদস্য প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ কতজন পরিচালক হতে পারবেন, তা ঠিক করা হবে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী। ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) ব্যাংকিং পেশায় কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, যার মধ্যে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং, রেগুলেশন, গাইডলাইন, সার্কুলার ইত্যাদি ক্ষেত্রে কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত, ডিজিটাল ব্যাংকটি মূলত চলবে ভার্চুয়ালি। এনআইডি দিয়েই এই ব্যাংকে হিসাব খুলতে পারবেন যে কোনো বাংলাদেশী। ব্যাংকের লেনদেন থেকে শুরু করে ঋণ পুরো প্রক্রিয়াই চলবে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে। ধারণা করা হচ্ছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সীমাবদ্ধতা দূর করবে ডিজিটাল ব্যাংক। এফএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো পাবে স্বতন্ত্র ও স্বম্ভূ নিজস্ব ঠিকানা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা।

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার কাজ দ্রুত করার তাগিদ দিয়েছেন অন্তবতঅী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি-৫) পরিদর্শনের পর বন্দর ও নৌপরিবহন খাতের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেছেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরা যারা তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ রাজি না থাকলে রাজি করাতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবর্তনের শ্লথগতি দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দুনিয়ার সব জিনিস এত দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে, আমাদের এখানে এটা (চট্টগ্রাম বন্দর) পাল্টায় না কেন? এটা আজকের প্রশ্ন না। একজন চট্টগ্রামবাসী হিসেবে এ পথে আসা-যাবার ক্ষেত্রে দেখা হয়, বিশেষ করে যখন গাড়ি চলে না, আটকে যায়, কী হল- ট্রাকে ভর্তি রাস্তা, মাল খালাস করতে পারছে না। এদিকে প্লেন মিস করে ফেলব কি না, এই দুর্ভাবনা। কাজেই এটা সম্পর্কে চিন্তা না করে উপায় নেই। কথাবার্তা বলেছি, মাঝে মাঝে লেখালেখি করেছি। তো এবার যখন সুযোগ পেয়েছি, প্রথমদিন থেকেই চেষ্টা করছি এটার দিকে নজর দেওয়ার, কীভাবে এটাকে পরিবর্তন করা যায়।
লুৎফে সিদ্দিকীকে (বিশেষ সহকারী) দায়িত্ব দিলাম, এটা তোমার দায়িত্ব, যেমনে পার মেরে-ধরে এটাকে সোজা করতে হবে, এটাকে সত্যিকার বন্দর হিসেবে তৈরি করতে হবে। আমরা খুবই ইমপ্রেসড, যেগুলো ছবি এখানে দেখাল, ভালো লাগে, গর্ব লাগে। কিন্তু দুনিয়া তো

এখানে আটকে নেই, দুনিয়া এর থেকে বহুদূর চলে গেছে। স্ক্রিনে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর এবং বর্তমানে বিশ্বের বন্দর পাশাপাশি দেখালে তাহলে বোঝা যেত আমরা কোথায় পড়ে আছি। আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
তিনি বলেন, এই পিছিয়ে থাকা নিয়ে কারও মধ্যে কোনো দুঃখও দেখি না। ছোটখাট বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে, এখানে গোলমাল, ওখানে গোলমাল, কিন্তু সার্বিকভাবে যে বিরাট পরিবর্তন দরকার, এটার গরজ কারও খুব আছে বলে মনে হয় না। তো, সেজন্যই ঠেলাঠেলি করছিলাম, বারবার লুৎফেকে পাঠাচ্ছিলাম। বন্দর চেয়ারম্যানের কথা শুনে একটু আশ্বস্ত হলাম যে, একটা লোক অন্তঃত পেছনে লেগে আছে। আমাদের দরকার তাকে একটু সাহায্য করা।

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় দ্রুত বিদেশি সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সাখাওয়াতকে (নৌপরিবহন উপদেষ্টা) বললাম, আর কিছু শুনতে চাই না, এটার পেছনে থাক, অমুক তারিখের মধ্যে এগুলো সব দিয়ে দিতে হবে, বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরা যারা তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ রাজি না থাকলে তাদের রাজি করাতে হবে। মানুষকে গররাজি করিয়ে করার দরকার নেই, রাজি করিয়েই করতে হবে। এটা এমন একটা বিষয়, পুরো বিষয়টা শুনলে গররাজি হওয়ার

কোনো কারণ নেই। সবাই চায় তার ভালো হোক। না বোঝার কারণে বলে যে, এটা ভালো হবে না, এটা আমাদের ক্ষতি হবে, ওটা-তো আমাদের ছিল, ওটা কেন দিয়ে দিচ্ছেন ? কিন্তু যখন দেখবে এটা সবার জন্য ভালো হবে, তাহলে আপত্তি থাকবে না।
তো, আমি এখানে আসার আগে আবার পাঠালাম আশিককে (বিডা চেয়ারম্যান), যাও, ব্যাখা কর সবার কাছে আমরা কী করতে চাচ্ছি, কেন চাচ্ছি। সে-ও চেষ্টা করল। আমার এ চিন্তাটার কারণটা হল, বাংলাদেশের অর্থনীতি যদি পাল্টাতে হয় এবং আমাদের পাল্টাতে হবে, তাহলে চট্টগ্রাম বন্দর হলো ভরসা। এটাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি নতুন কোনো পাতায়, নতুন কোনো অধ্যায়ে প্রবেশের সুযোগ নেই। এর পথ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির পথ খোলা। এর পথ না খুললে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে যতই লাফালাফি, যতই চাপাচাপি করি, কোনো লাভ হবে না।

চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু এ হৃদপিণ্ডকে বিশ্বসাইজের হৃদপিণ্ড হতে হবে। এ হৃদপিণ্ড শুধু বাংলাদেশের জন্য না, আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গেও সংযুক্ত, যে কারণে নেপালের কথা বললাম, ভূটানের কথা বললাম, সেভেন সিস্টার্সের কথা বললাম, সবাই হৃদপিণ্ড একটাই। নেপালের তো হৃদপিণ্ডই নেই। তাই নেপাল, ভূটান, সেভেন সিস্টার্স যদি এটার সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে তারাও লাভবান হবে, আমরাও লাভবান হবো। যারা এটাকে বাদ দেবে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা তাদেরও কাম্য নয়, আমাদেরও কাম্য নয়। আমরা চাই, সবাই মিলে আমরা যেন এ বন্দর থেকে অর্থনীতির শক্তিটা পাই।

বন্দরকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,মাঝে মাঝে প্রশ্ন শুনি যে, বিদেশিকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনারা ইন্ডিয়াতে স্বাস্থ্যের জন্য যান না ? দলে দলে যান, যখন বন্ধ করে দিয়েছে তখন বলছেন কেন যেতে দিচ্ছে না ? কাগজ উলটাইলেই দেখা যায়, নেতারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাচ্ছে, ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। কিন্তু বন্দরের কথা যখন আসে, না না এখানে কেউ আসতে পারবে না। ভাই, আমাদের চিকিৎসা দরকার তো। এ হৃদপিণ্ডের চিকিৎসা দরকার। এটার পেছনে আমাদের বিশ্বের সেরা চিকিৎসক দিতে হবে, যেন এটাকে বিশ্বসাইজের হৃদপিণ্ড বানিয়ে দেওয়া হয়, কোনো সমস্যা যাতে না হয়। এ হৃদপিণ্ড ক্রমাগত মজবুত হবে, ক্রমাগত শক্তিশালী হবে, ক্রমাগত বৃহত্তর হবে।

পৃথিবীতে অনেকে আমাদের পেছনে থেকে অনেক খারাপ অবস্থা থেকে এখন আমাদের ডিঙ্গিয়ে শত, শত মাইল চলে গেছে। তাহলে আমরা কেন হতভাগা জাতি হলাম? এটার পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের অনেক বড় ডাক্তার দিয়ে কাজ করতে হবে।
বন্দর পরিচালনায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করলে দেশের লাভ হবে মন্তব্য করে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের লাভ, কারণ এর পেছনে আমাদের কোনো টাকাপয়সা খরচ লাগবে না। বিল্ড, অপারেট এন্ড ট্রান্সফার। তোমরা বানাও, তোমরা কাজ কর, রোজগার কর, এই মেয়াদের মধ্যে আমাদের দিয়ে দিতে হবে।

আমরা এক পয়সাও খরচ করবো না। তখন আমাদের পয়সা বেঁচে গেল, কাজটা হয়ে গেল। তারা যখন কাজে নামবে, তারা দুনিয়াতে শত, শত পোর্ট পরিচালনা করে, ওরা হল দুনিয়ার সেরা, যাদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি, তারা হল দুনিয়ার সেরা, পৃথিবীর যে কোনো বন্দরে যান, তাদের মার্কা দেখবেন।

সুতরাং তারা যখন দায়িত্ব নেবে, তারা আমাদের মতো করে পরিচালনা করবে না। তারা বিশ্বের বন্দর যেভাবে চালায়, কারণ এটা তাদের বন্দর, কারণ আমরা যখন লীজ দেব, তখন সেটা তাদের বন্দর, এটা থেকে তাদের টাকাটা ওঠাতে হবে, তারা তাদের সেই প্রযুক্তি দিয়ে বানাবে। তারা আগে যত বন্দর বানিয়েছে, টার্মিনাল বানিয়েছে, এরপর তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি, সর্বশেষ অভিজ্ঞতা এখানে আনবে। তাদের লক্ষ্য থাকবে, এই বন্দর আমরা এমনভাবে করবো, যাতে টাকাটা ওঠাতে পারি, আরও বেশি টাকা ওঠাতে পারি।

সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে বেশ কয়েকটি টার্মিনাল নির্মাণের ফলে কনটেইনার জট কমবে। আমি আশা করি ছয় মাসের মধ্যে আপনারা পরিবর্তনটি লক্ষ্য করবেন।চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানও সভায় বক্তব্য দেন।

চট্টগ্রামে আরও দুটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা হচ্ছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।


চট্টগ্রামে সরকারি উদ্যোগে আরও দুটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, এর মধ্যে একটি হবে হাটহাজারী ও আরেকটি কর্ণফুলী উপজেলায়। এছাড়া কালুরঘাটে একটি ডেন্টাল কলেজ-হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনাও আছে। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী মহাসড়কের উন্নয়ন’ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় একথা জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর অস্বাভাবিক চাপের প্রসঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমি হাসপাতালটি (চমেক) পরিদর্শন করেছি। আমি দেখেছি ধারণক্ষমতা ২২০০, কিন্তু প্রায় ৫ হাজার রোগী। ব্রেইন সার্জারির রোগীকে ফ্লোরে শুইয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়, টয়লেটের পাশেও রোগী ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নেয়।স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাটহাজারী ও কর্ণফুলী এলাকায় দুটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। এতে করে রাঙামাটি-কাপ্তাই ওদিকের অঞ্চলের রোগীরা হাটহাজারী হাসপাতালে সেবা নিতে পারবেন এবং পটিয়া-সাতকানিয়া-চন্দনাইশ অঞ্চলের রোগীরা কর্ণফুলী হাসপাতালে সেবা নিতে পারবেন। এছাড়া চট্টগ্রামে কোনো ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল হাসপাতাল নেই। একটি ডেন্টাল কলেজ-হাসপাতাল নির্মাণের জন্যও পরিকল্পনা চলছে।

সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীকও ছিলেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ