
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ঐতিহাসিক নেকমরদ পশুর হাটে অবাধে চলছে অতিরিক্ত টোল আদায়। এনিয়ে ওই হাটের ক্রেতাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা।
রোববার (২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্যচিত্র পাওয়া গেছে। হাটে গরু প্রতি ২৩০ টাকা ও ছাগল প্রতি ৯০ টাকা টোল আদায়ের সরকারি নিয়ম থাকলেও হাট ইজারাদার প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নিজ ক্ষমতার দাপটে, হাটে জড়িত সংশ্লিষ্ট লোকদের দিয়ে গরু প্রতি ৫০০ টাকা ও ছাগল প্রতি ১৮০ টাকা টোল আদায় করেই চলেছে ওই ইজারাদার। এদিকে হাটে টোল আদায়ের মূল্য তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক হলেও কোনো তালিকা টাঙানো হয়নি।

জগদল থেকে এ হাটে গরু কিনতে আসা জামির হোসেন এপ্রতিনিধিকে অভিযোগ করে বলেন, এটা তো অন্যায়, এটা দুর্নীতি করতেছে, এখন উপর লেবেলে ঘুষ খাচ্ছে, না কে খাচ্ছে এটা আমার জানা নেই। লেখাই আবার ৫’শ টাকাই নেয়।
গরু ক্রেতা নাম বলতে অনিচ্ছুক এপ্রতিনিধিকে বলেন, আমি একটা গরু কিনেছি, আমার কাছে লেখায় বাবদ ৫০০ টাকা নিয়েছে, মেমুতে আবার ৫০০ টাকার কথা উল্লেখ করা নাই। আমি প্রশাসনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে নায্য মূল্য নেওয়া হয়।

ছাগল ক্রেতা বলেন, নেকমরদ হাটে আজ একটা ছাগল কিনেছি ৫২’শ টাকা দিয়ে, লেখাই করতে গিয়ে আমার কাছে ১৮০ টাকা নিয়েছে। কিন্তু লেখাই কাগজে টাকার পরিমান উল্লেখ নেই।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক প্রধান শিক্ষক এপ্রতিনিকে বলেন, হাটে টোল আদায়ের মূল্যতালিকা থাকলে ইজারদাররা অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবে না। তাই ইজারদাররা মূল্যতালিকা
লাগান না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসানকে মুঠোফোন একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।