আজঃ রবিবার ১৩ জুলাই, ২০২৫

ডিমলায় ভুল অস্ত্রোপচারে প্রসুতির মৃত্যু।ক্লিনিক সিলগালা

আনোয়ার হোসেন ডিমলা নিলফামারী:

নিলফামারী:

নীলফামারীর ডিমলায় অনুমতিবিহীন ডিমলা স্কয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রসবকালীন অস্ত্রোপচারের পর তাসলিমা আকতার তুলি (২২) নামে এক প্রসূতির মৃত্যর অভিযোগ উঠেছে। তবে নবজাতক সুস্থ আছে। পরে সোমবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় অনুমোদনহীন ক্লিনিকটি সিলগালা করেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবু হেনা মোস্তফা।

মৃত তাসলিমা আকতার তুলি উপজেলার শালহাটী এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদের স্ত্রী। গত ৩১ মে সকালে ওই হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়।

নিহতের পরিবার ও স্বজনরা জানান , তীব্র ব্যথা নিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ক্লিনিকে ভর্তি হয় তুলি। রাতে রোগীর‌ বাবা ও শশুর বাড়ীর লোকজনের সিদ্ধান্ত হীনতার কারণে তার সিজার করা হয়নি। পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টায় রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ডা. রাজু আহমেদ তাঁর অস্ত্রোপচার করেন। কিছুক্ষণ পর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তসলিমা। এরপর চিকিৎসক জানান, মা ও নবজাতক উভয়েই ভালো আছে। অপারেশন শেষে ৯টার দিকে তাকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে নেয়া হয়। তখনো চিকিৎসকরা জানান, তুলি ভালো আছে।
তবে অপারেশনের দু’ঘণ্টা পর তুলির প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকে। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

স্ত্রীর মৃত্যু প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমার স্ত্রী তুলির সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। চিকিৎসকের কাছে সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে তারা জানায় রোগী এবং নবজাতক উভয়েই ভালো আছে। ১১টার দিকে শুনি রোগী ভালো আছে, তবে কিছুটা ব্লিডিং হচ্ছে।

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তুলির মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করে ওই সিজারিয়ান অপারেশনের ডা. মো: রাজু আহমেদ জানান, ‘আমাকে ক্লিনিক থেকে জানায় একজন সিজারের রোগীর আছে। ক্লিনিকে গিয়ে দেখি রোগীর মাসিকের রাস্তা দিয়ে বাচ্চার হাত বের হয়ে গেছে। তাদের বলি এটা অপারেশন ছাড়া কোনো উপায়। পরে ৭টার দিকে সফলভাবে অপারেশন সম্পন্ন হয়। অপারেশন শেষে রোগীকে রক্ত লাগবে এটা জানানোর পরেও তারা রক্তের ব্যবস্থা করতে পারেনি। এক পর্যায়ে ১১টা থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হলে দুপুর ২টায় ক্লিনিকে গিয়ে দেখি তারা রক্তের ব্যবস্থা করতে পারেনি। রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে স্যালাইন দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলি।

এ বিষয়ে নীলফামারীর ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মো. আবু হেনা মোস্তাফা কামাল বলেন, লাইসেন্সবিহীন, অনুমোদন না থাকায় ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে। রোগী মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রির্পোট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যের এই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে কুপিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন করে স্ত্রীকে খুন, পালালো স্বামী

চট্টগ্রাম মহানগরীতে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে শরীর থেকে মাথা কেটে বিচ্ছিন্ন করে খুনের পর জানালার গ্রিল কেটে পালিয়ে গেছে স্বামী। নিহত ফাতেমা বেগম (৩২) পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটিতে আর কে টাওয়ার নামে একটি ভবনের দশম তলার এক বাসায় স্বামীসহ থাকতেন। তার স্বামী মো. সুমন পেশায় গাড়িচালক। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটিতে এ ঘটনা ঘটেছে।

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, রাত আনুমানিক ১২টার পরের ঘটনা। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এমনভাবে কুপিয়েছে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হত্যাকাণ্ডের পর পালানোর সময় ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা সুমনকে ধরে ফেলে। তাকে নিচতলায় একটা কক্ষে আটকে রাখা হয়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই সেখানে জানালার গ্রিল কেটে তিনি পালিয়ে যান।
কী কারণে হত্যাকাণ্ড জানতে চাইলে ওসি বলেন, ভবনের বাসিন্দারা বলছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গত (বুধবার) রাতেও ঝগড়ার মধ্যে এ খুনের ঘটনা ঘটে।নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি বলে ওসি জানান।

বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রয়োগ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করে: চুয়েট ভিসি

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া মহোদয় বলেছেন, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং চিকিৎসাবিদ্যা ও প্রকৌশলের মাঝে একটি সেতুর ন্যায় কাজ করে। এখানে চিকিৎসাবিদ্যা ও জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন সমস্যা প্রকৌশল বিদ্যা প্রয়োগ করে সমাধান করা হয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রকৌশলের প্রয়োগ ঘটিয়ে স্বাস্থ্যসেবা, রোগ নির্ণয় পদ্ধতি ও মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করার প্রচেষ্টা চালানো হয়।

রোগ নিয়ে গবেষণা, মেডিকেল ইকুয়েপমেন্টের উন্নয়ন, রোগ নির্ণয়ের নতুন ও কার্যকরী পদ্ধতি আবিষ্কার, আর্টিফিশিয়াল প্রস্থেটিকস ডিজাইনিং এবং চিকিৎসাক্ষেত্রের সামগ্রিক মান উন্নয়ন করার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হয় বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। দেশের স্বাস্থ্য খাতকে সুসংগঠিত করতে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো বিভাগের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। চুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আগামী দিনে শিক্ষা-গবেষণায় আরো অনেক অবদান রাখতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বৃহস্পতিবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত “বিএমই বিটস-২০২৫” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মানজারে খোরশেদ আলম, এপিক হেলথ কেয়ার এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এসএম লোকমান কবির। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের বিএমই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নিপু কুমার দাশ। আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী তানভীর আহমেদ ও বিএমই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ ফজলুল করিম খন্দকার। বিদায়ী ব্যাচের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন হাফসা খান ত্রিনা, আরিফা তানজিম ও জোবায়ের বিল্লাহ অর্নব। এতে সঞ্চালনা করেন বিএমই ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুসারাত হাবিব।

প্রসঙ্গত, বিএমই বিটস ২০২৫ অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি র‌্যালী বিএমই বিভাগ থেকে শুরু হয়ে অডিটোরিয়াম শেষ হয়। এরপর কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। দুপুরে “ফটোনিক্স ফর ইমার্জিং এপ্লিকেশন ইন বায়োমেডিক্যাল ইমেজিং এন্ড সেনসিং” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে কী-নোট স্পিকার ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী তানভীর আহমেদ। এছাড়া, উক্ত অনুষ্ঠানে ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় দেওয়া হয়। এতে স্পন্সর হিসেবে ছিল পার্টিক্যালস বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ডেসকো।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ