
মৌসুমি বায়ু ও লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে রাতভর বর্ষণের পর বুধবার সারাদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে গন্তব্যে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কর্মজীবী এবং শিক্ষার্থীদের।

বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়ে পাহাড় ধসের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ভোর থেকে কখনো অঝোর ধারায়, আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায়। এতে নগরীর কয়েকটি এলাকায় পানি জমে সড়ক ডুবে গেছে। বেলা ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে। এরমধ্যে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৭০ দশমিক ৬ মিলিমিটার।এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই মূলত চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রাতে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছিল। বুধবার সারাদিনও অব্যহত রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর জিইসি মোড়, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ এলাকায় কোথাও কোথাও সড়ক ও অলিগলির রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। তবে কোথাও আগের মতো হাঁটু কিংবা কোমরসমান পানি জমে থাকার অবস্থা সৃষ্টি হয়নি। এরপরও বৃষ্টির মধ্যে সকালে কর্মস্থল ও স্কুল-কলেজে যাবার জন্য বের হয়ে অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
বিশেষ করে বৃষ্টির কারণে সকালে গণপরিবহন কম থাকায় ভোগান্তি বেশি হয়েছে।পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এটা অন্ত:ত আরও এক-দুইদিন অব্যাহত থাকবে। এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে চট্টগ্রামসহ দেশের সমদ্র্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা আছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, ঢাকা ও খুলনা মহানগরের জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুরাদপুরের এক দোকানি বলেন, প্রতি বর্ষায় মার্কেটের নিচতলায় পানি উঠে। আজকেও সকাল থেকে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। এখন পানি উঠে গেছে।
এদিকে নগরীর তিন পোলের মাথা এলাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। প্রায় হাঁটু সমান পানি ডিঙিয়ে সেখানে চলাচল করছিল রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন। নগরীর তিন পোলের মাথা এলাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। প্রায় হাঁটু সমান পানি ডিঙিয়ে সেখানে চলাচল করছিল রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন।
চকবাজার কে বি আমান আলী সড়কের বাসিন্দা মোহাম্মদ রফিক বলেন, সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে দেখি রাস্তায় পানি জমে আছে। ভিজে ভিজে পানির ভিতর হেঁটে কাজে এসেছি। সকালের দিকে ভারি বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহনের পরিমাণ ছিল কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে যানবাহন বাড়তে শুরু করে।