আজঃ বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

চট্টগ্রামের পটিয়ার সেই কেন্দ্রের বাইরে সড়ক অবরোধ, কেন্দ্র ভোটার শূন্য

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে স্থগিত হওয়া পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুনর্ভোটের মধ্যে সড়ক অবরোধ করেছে একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর অনুসারীরা।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রের কাছে পিঙ্গলার টেক এলাকায় গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় অবরোধকারীরা কেন্দ্রের পথে থাকা এক প্রবাসী ভোটারের মাথা ফাটিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। আহত ব্যক্তি একজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন৷ আবার আরেক প্রার্থীর লোকজন দাবি করেছেন, তাদের গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সড়ক থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, এখন কোনো বাধা নেই। কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হচ্ছে। স্থানীয় ভোটারদের অভিযোগ, পুলিশের ধাওয়ায় প্রথমে অবরোধকারীরা রাস্তা ছাড়লেও পরে তারা ফিরে আসে এবং বড় বড় কাটা গাছ রাস্তায় ফেলে রাখে। তখন ছবি তোলার চেষ্টা করলে অবরোধকারীরা সাংবাদিকদের হুমকি দেয় । পরে পরিচয় পেয়ে তারা কয়েকজন সাংবাদিকদের ছেড়েও দেয়। আহত ভোটার সিদ্দিক আহমদ ফারুক বলেন, আমি ভোট দিতে যাচ্ছিলাম। লাঠি হাতে উড়োজাহাজ মার্কার ব্যাজ পরা কয়েকজন ছেলে আমার মাথায় মেরেছে। চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট চলছে ৬০ উপজেলায়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে বিরতিহীনভাবে ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকালে এই কেন্দ্রে শতশত মানুষ লাইনে দাঁড়ান ভোট দেওয়ার জন্য। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়। ওই সময়ে পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০টি বুথের সামনেই ভোটারের লাইন দেখা যায়। কিন্তু সড়ক অবরোধের পর সাড়ে ১০টার দিকে আটটি বুথই ফাঁকা হয়ে যায় বলে জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস। তিনি বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত ৯২৩ ভোট পড়েছে। যা মোট ভোটের ২৫ শতাংশ। কেন্দ্রে কোনো সমস্যা নেই। গত ২৯ মে তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়। সেদিন সকালে কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে দুই শতাধিক বহিরাগত। তারা ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, সিল ও কালিসহ ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে চলে যায়। ওই দিন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন। ওই রাতে স্থগিত কেন্দ্রটি বাদে পটিয়া উপজেলা পরিষদের ১২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৭টির ফল ঘোষণা করা হয়। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবু ছালেহ মোহাম্মদ শাহরিয়ার (উড়োজাহাজ) ২৩ হাজার ৮৫০ ভোট এবং নিকটতম এমদাদুল হাসান (বই) ২৩ হাজার ৭৩ ভোট পান।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাজেদা বেগম শিরু (কলস) ২৪ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে থাকেন। তার নিকটতম সাজেদা বেগম (প্রজাপতি) ২৪ হাজার ৭৩১ ভোট পান। পূর্ব পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৬১৫ জন। ফলে সেদিন দুই ভাইস চেয়ারম্যান পদেই জয়-পরাজয় ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। তািই এখানে পুনর্ভোটের আয়োজন করা হয়েছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাজেদা বেগম শিরু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে দুস্কৃতকারীরা সড়ক অবরোধ করেছে। সকাল থেকে মানুষ ভোট দিতে দেখে তারা ভয় পেয়েছে। প্রশাসন সড়কের বাধা দূর না করলে ভোটাররা ভয়ে কেন্দ্রে আসবে না। এই কেন্দ্রে ভোটারদের চলাচলের নিরাপত্তা চেয়ে ৩ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন মাজেদা বেগম শিরু। তখন রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ কর্তারা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন সহ সার্বিক নিরাপত্তা গ্রহণের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন। সকাল থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক ও পটিয়া থানার ওসি জসিম উদ্দিন কেন্দ্রটিতে দায়িত্ব পালন করছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

শেখ ফয়সালের স্বপ্ন ছোঁয়ার শুরু গোল্ডেন দিয়ে

নিয়মিত অধ্যয়ন, একাগ্রতা আর স্বপ্ন দেখার সাহস—এই তিনটি বিষয়কে পাথেয় করে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র শেখ ফয়সাল ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৪৬ পেয়ে ব্যতিক্রমী কৃতিত্ব অর্জন করেছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ সব বিষয়ে ফয়সাল A+ (অর্থাৎ ৮০-এর বেশি নম্বর) পেয়েছে। গণিতে তার নম্বর ৯৮, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৯, রসায়ন ও উচ্চতর গণিতে ১০০ করে—প্রতিটি বিষয়ের ফলাফলে নিখুঁত স্থিরতা দেখা গেছে।

ফয়সালের বাবা শেখ ফারিদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে কর্মরত। মা তোহমিনা আক্তার একজন গৃহিণী।পিতা শেখ ফারিদ বলেন, আমরা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছি। ফয়সালের সাফল্য আমাদের জন্য বিরাট আনন্দ।

মা তোহমিনা আক্তার বলেন, “ফয়সাল ছোটবেলা থেকেই বইপাগল। পড়াশোনার বাইরে সময় কাটে জ্ঞানের খোঁজে। ওর এই আগ্রহ আমাদের আশীর্বাদ মনে হয়।ফয়সালের স্বপ্ন একজন গবেষক বিজ্ঞানী হওয়া।আমি এমন কিছু উদ্ভাবন করতে চাই যা মানুষের জীবনকে সহজ করবে—বিশেষ করে পরিবেশ, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে,”—বলেছে ফয়সাল।

তার প্রিয় বিষয় পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত। সে বিজ্ঞানভিত্তিক ডকুমেন্টারি দেখে, অনলাইন কোর্স করে এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।অধ্যয়ন অভ্যাস ও সময় ব্যবস্থাপনা

ফয়সালের প্রতিদিনের রুটিন সময়মাফিক ও নিয়মানুবর্তী। দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা লেখাপড়ায় সময় দেয়, আর প্রতি সপ্তাহে একটি দিন শুধুই নিজের মানসিক চর্চা ও জ্ঞানভিত্তিক বইপড়ায় ব্যয় করে।

সে বলে, সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে বইয়ের ঘ্রাণ বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি বিষয়ে বুঝে পড়ি—মুখস্থের উপর নির্ভর করি না।কলেজিয়েট স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “ফয়সাল পরিশ্রমী ও শৃঙ্খলাপরায়ণ। ওর মতো ছাত্র একটা প্রতিষ্ঠানের গর্ব। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে সে দেশের সম্পদে পরিণত হবে।

ফয়সালের ইচ্ছা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ বা নটর ডেম কলেজে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু করা। এরপর তার লক্ষ্য বুয়েট বা আন্তর্জাতিক কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ও গবেষণা নিয়ে পড়াশোনা করা।আমি শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য কিছু করতে চাই,”—জানায় শেখ ফয়সাল।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পরিবার পরিকল্পনা সেবা বেগবান করতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শারমিন জাহান বলেছেন, পরিকল্পিত জনসংখ্যা উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম হাতিয়ার। সীমিত সম্পদের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বত্র সচেতনতা তৈরী জরুরী। সুস্থ-সবল জীবন গড়তে হলে কৈশোরে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে সরকার পরিবার-পরিকল্পনা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছেন।

প্রাপ্ত বয়সে অনেকে সন্তান নিতে অনীহা প্রকাশ করে, আবার কেউ কেউ দু’য়ের অধিক সন্তান নেয়-এ বিষয়টি নজরে আনা প্রয়োজন। ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, দু’টি সন্তানের বেশী নয়, একটি হলে ভালো হয়। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সাম্যের ভিত্তিতে পরিবার পরিকল্পনা সেবা আরও বেগবান করতে হবে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ১১ জুলাই উপলক্ষে সোমবার সকাল ১১টায় নগরীর আগ্রাবাদস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় কর্তৃক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’।

সভার শুরুতে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা সেবায় বিভাগীয় পর্যায়ে বান্দরবানে রুমা উপজেলা পরিষদ ও জেলা পর্যায়ে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা পরিষদ শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার গ্রহণ করেন।আলোচনা সভায় অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর বিকল্প নেই। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বাড়াতে বর্তমান সরকার নানাবিধ প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির ব্যবহারে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারী-বেসরকারী চাকুরিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে।

পাশাপাশি সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনায় সচেতনতা বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করার কারণে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে।

বক্তারা বলেন, নারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে আন্তরিক হতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা সেবা আরও বেগবান করতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নসহ লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি করতে হবে। নিরাপদ প্রসবসেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা সমূহ আরও গতিশীল করতে হবে।
নিরাপদ প্রসবসেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা সমূহ আরও গতিশীল করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে জনবল ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ বলেন, যন্ত্রপাতি সংকট সত্ত্বেও সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতসহ প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর হার বৃদ্ধি করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে নিরাপদ সেবা দেয়ার জন্য কিভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি সে ব্যাপারে পলিসি নিতে হবে। মানসম্মত পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করা গেলে সফলতা অবশ্যই আসবে।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী ও অন্যান্য সেবার বিশেষ অবদানের জন্য বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে ১০ ক্যাটাগরিতে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মোট ২০ জন কর্মী ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক-ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আবু সালেহ মোঃ ফোরকান উদ্দীনের সভাপতিত্বে, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক লিকসন চৌধুরী ও ডা. সোমা চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেগম সাহান ওয়াজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ, পিডিবি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কে এম এম মামুনুর বাশরী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী, ডা. উ খ্যে উইন, এম এম এরশাদ।

বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সিসি) ডা. শামীমা হাসনাত, সহকারী পরিচালক (পোর্ট ক্লিয়ারেন্স) লোকমান হোসাইন ও অসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মমতা’র সিনিয়র পরিচালক স্বপ্না তালুকদার।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, অসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মমতা, এফপিএবি, মেরীস্টোপস, বিএভিএস, ঘাসফুল, ইমেজ, ছায়াপথ, আর.এইচ.স্টেপ, বোয়ালখালী মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

 

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ