আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘রোড ক্র্যাশের অন্যতম ঝুঁকি গতি’ বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মাঠপর্যায়ে সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের। সেজন্য সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণের আগে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করা হলে সেটি আরো কার্যকর হবে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মাননীয় কমিশনার (অ্যাডিশনাল আইজিপি) জনাব কৃষ্ণ পদ রায়, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয় আজ ‘রোড ক্র্যাশের কারণ হিসেবে গতি’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন।

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে, গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি) ৪ ও ৫ জুন দুই ব্যাচে ৭০ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৪ জন প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্যবর সিএমপি কমিশনার (অ্যাডিশনাল আইজিপি) জনাব কৃষ্ণ পদ রায়, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এসময় তিনি চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলোকে নিরাপদ করতে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, পুলিশের একার পক্ষে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। নিরাপদ সড়ক অবকাঠামোর নির্মাণের দায়িত্ব চসিক ও সিডিএ’র এবং যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিআরটিএর মতো অংশীদার সংস্থা রয়েছে। পুলিশ শুধু আইন প্রয়োগ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। সেজন্য নগরীতে যথাযথ সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবগুলো সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব মাসুদ আহাম্মদ, বিপিএম, পিপিএম এবং জনাব নাসির উদ্দিন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ)। জিআরএসপি’র সিনিয়র রোড পুলিশিং উপদেষ্টা জনাব রাসেল নাইম্যান ও জনাব পল সিমকক্স প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন। এই প্রশিক্ষণে তারা রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের ভূমিকা, ক্র্যাশের ক্ষেত্রে যানবাহনের উচ্চ গতির ভূমিকা, গতি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব, গতি নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ও কৌশল এবং রাস্তার পাশের চেকপয়েন্টগুলোর নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির উপর আলোচনা করেন। এসময় অংশগ্রহণকারীদের হাতেকলমে স্পিড ক্যামেরার ব্যবহারও শেখানো হয়।

প্রসঙ্গত, দেশে রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও হতাহত কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের যানবাহনভেদে সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি হবে ৪০ কিমি/ঘণ্টা, যদিও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে তা ৩০ কিমি/ঘণ্টা।
কর্মশালায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার, পুলিশ পরিদর্শক, ট্রাফিক সার্জেন্ট ও উপ-পরিদর্শক পদবির কর্মমর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা শেষে মান্যবর সিএমপি কমিশনার অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর জনাব লাবিব তাজওয়ান উৎসব, এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর কাজী হেলাল উদ্দিন, ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেটর সুতপা তাসনিম ও কমিউনিকেশন অফিসার মাহামুদুল হাসান।
এর আগে এবছরের মার্চে জিআরএসপি সিএমপির ৭৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে রোড ক্র্যাশ তদন্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছিল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে থানায় অস্ত্র লুটে জড়িত ‘ব্লেড মাসুম’ গ্রেফতার।

চট্টগ্রাম মহানগরের পাহাড়তলী থানায় সংঘটিত অস্ত্র লুটের ঘটনার সঙ্গে ‘জড়িত’ সাইদুর রহমান মাসুম ওরফে ‘ব্লেড মাসুম’ (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নগর পুলিশ ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিএমপি’র পশ্চিম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ৭ দশমিক ৬২ এমএম পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন।

‘ব্লেড মাসুম’ দীর্ঘদিন ধরে নগরজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল জানিয়ে জানিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, পাহাড়তলী থানার ওসি মো. বাবুল আজাদের নেতৃত্বে এসআই জসীম উদ্দীন ও সঙ্গীয় ফোর্স বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে জেলেপাড়া রানী রাসমণিঘাট ওভারব্রিজের নিচে চেকপোস্ট পরিচালনা করে। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে মাসুম পায়ে হেঁটে সাগরিকা রোড চৌরাস্তার দিকে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে থামতে বলে। এসময় সে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া দিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, তল্লাশিতে মাসুমের কোমরে বেল্টে ঝোলানো অবস্থায় একটি কালো রঙের পিস্তলের খোলস, একটি ৭.৬২ এমএম পিস্তল, লোড করা ম্যাগাজিনে চার রাউন্ড গুলি এবং একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম জানায়, গত ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে

জড়িত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে। এরপর তা নিজের হেফাজতে রেখে বিভিন্ন ছিনতাই ও ডাকাতির কাজে ব্যবহার করে আসছিল। মাসুম ও তার অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা পাহাড়তলী, টোল রোড, পতেঙ্গা সৈকত এবং বন্দর এলাকায় পথচারী, সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক, যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িচালকদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মালামাল লুটে নিত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির একটি পুরনো মামলাও রয়েছে।

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি-জেলা জজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১ জুলাই।

ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ১ জুলাই সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।

এদিন মামলার ধার্য তারিখে অন্তবর্তী জামিনে থাকা পাঁচ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। এরা হলেন- কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, ওই আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তাদের অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন আদালত।

মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় জানা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি এলাকায় কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।এতে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন।

কিন্তু তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলার এক নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে নথিপত্র পাঠান দুদকের প্রধান কার্যালয়ে।জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে একই আদালতে বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করেন।

ওই মামলার তদন্ত শেষে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন ২০২৪ সালের ১ জুলাই আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।তদন্তে নথি জালিয়াতির ঘটনায় সহযোগিতা করায় সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ ছাড়াও আসামি করা হয় বাদীপক্ষের

আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদকে।দুদকের কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম ও কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শাহ হাবিবুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি কক্সবাজারের বিশেষ জজ আদালতে জালিয়াতির বিষয়ে দুদকের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়। ২৩ জানুয়ারি আদালত ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তারা আদালতে হাজির হয়ে অন্তর্র্বতী জামিন পান। সম্প্রতি মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ