আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন, ২০২৫

ময়মনসিংহ:

হোসেনপুরে ভ্রাম্যমান দোকানে বিনা পয়সার বাজারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

তৌহিদুল ইসলাম সরকার স্টাফ রিপোর্টার :

কোন বিপণনী বা বাজার নয়, ভ্রাম্যমাণ একটি দোকানে থরে থরে সাজানো ঈদের খাদ্যসামগ্রী। পোলাও চাল, সেমাই, চিনি, দুধ, পেয়াঁজ ও তেল সামগ্রী দিয়ে সাজানো ১টি স্টল। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা খাদ্য সামগ্রী নিতে, দিতে হচ্ছে না কোনো টাকা।

রবিবার (১৬ জুন) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলাধীন হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে প্রাঙ্গণে এই ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। ইভেন্টের আয়োজন করে শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন নামে স্থানীয় একটি সংগঠন।

স্কুল শিক্ষার্থীদের টিফিনের জমানো টাকায় প্রতিষ্ঠিত সংগঠন শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফরিদ আল সোহানের  সভাপতিত্বে:  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন ।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল , উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম নুরু মিয়া, শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা এ.বি.এম ছিদ্দিক চঞ্চল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের  ভাইস চেয়ারম্যান আল আমিন অপু, হোসেনপুর সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম জহির রায়হান,উপজেলা প্রেসক্লাবের  সাধারণ সম্পাদক  মোহাম্মদ  জাকির হোসেন, সাংবাদিক উজ্জ্বল কুমার সরকার, সিদলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজজুর রহমান মোখলেছ প্রমুখ।

এরপর শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের ফিতা কেটে বিনা পয়সার বাজার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন বলেন, এমন উদ্যোগ আগে কখনো দেখিনি। তারা যে কার্যক্রম করেছে তা নিশ্চয়ই ব্যাতিক্রমী। এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে।

বিনা পয়সার বাজারের ক্রেতা সাদ্দাম (১১) বলে ঈদের মধ্যে সেমাই, চিনি আছিন না৷ এহন ঈদে সেমাই খাইতারবাম।

শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হোসেন জীম বলেন, আমরা বিতরণ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে বিনা পয়সার বাজারের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছি। এতে করে যাকে দিচ্ছি তার যেনো মনে হয়, সে বাজার থেকেই জিনিসপত্র নিচ্ছে। শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের প্রকাশ,ফাহাদ,ওয়ায়েস, রিয়াদ ও তন্ময় কার্যক্রম সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে৷

সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে এই বাজার। প্রায় শতাধিক পরিবার খাদ্যসামগ্রী পেয়েছে বিনা পয়সার বাজার থেকে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সরকার ১৮ কোটি ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষার প্রচেষ্টায় অব্যাহত রেখেছে।

: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১), আলীম আখতার খান বলেছেন, সরকার সীমিত সামর্থ ও লজিস্টিক দিয়ে দেশের ১৮ কোটি ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তারপরও নানা আইনগত জঠিলতার কারণে দেশের মানুষের আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে ব্যবসায়ীরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন, সাধারণ ভোক্তারা যদি আইন জেনে নিজেরা তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হন তাহলে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব।

তবে ভোক্তা সংরক্ষন আইন ২০০৯ সালে প্রণীত হয়েছে। সেসময়ে অনেক বিষয়কে আমলে নিয়ে আইনটি প্রণীত হলেও কালের পরিবর্তনের সাথে খাপখাওয়ানোর জন্য আইনকে যুগোযোগী করা হচ্ছে। আইনটি সংশোধনের জন্য ইতিমধ্যিই কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রশাসনিক জঠিলতায় অধিদপ্তরের লোকবল নিয়োগে বিলম্বের কারণে ২৪টি জেলায় কর্মকর্তার পদ শুণ্য আছে। যার কারনে ঐ জেলায় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উদ্যোগে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এর সহযোগিতায় সার্কিট হাউজ, চট্টগ্রাম এর সম্মেলন কক্ষে “ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজউল্যার স্বাগত বক্তব্যে সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সাইদ আহসান খালিদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

আলোচনায় অংশনেন সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার মাহমুদা বেগম, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলমগীর, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ফারহানুল ইসলাম, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াইনু মং মার্মা, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আইভি হাসান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, কাজীর দেউরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালেহ আহমদ সোলেমান, চট্টগ্রাম রেস্তোরা মালিক

সমিতির সভাপতি ইলিয়াছ আহমদ, বারকোট রেস্টোরেস্ট এর স্বত্ত্বাধিকারী মনজুরুল হক, বনফুলের জেনারেল ম্যানেজার আনামুল হক, ফুলকপির জেনারেল ম্যানেজার আবদুর সবুর, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফেকচার ওয়ানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রাব্বি তৌহিদ ও সাধারন সম্পাদক খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীন বলেন, একটি সমাজ পুরোপুরি পুরিশুদ্ধ হতে হলে সকল পর্যায়ের মানুষের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। না হলে সমাজে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করবে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এখনো মুষ্ঠিমেয় অসাধু লোকের প্রভাব বলয় থেকে সমাজ ও পরিবেশ মুক্ত নয়। তারা সমাজকে কলুষিত করে, সেখানে আইনের শাসন ও প্রথা সেভাবে কার্যকর নয়।

তাই ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা দিতে হলে সকলকে একযোগে কাজ করার বিকল্প নাই। কারণ যিনি একটি পণ্যের ব্যবসায়ী, তিনি আরও দশটি পণ্যের ক্রেতা। সেকারণে সে যদি একটি পণ্য বিক্রি করে মানুষকে প্রতারিত করে থাকেন। তাহলে আরও দশটি পণ্য কিনে ঠকতে হচ্ছে। এটি কোনভাবেই একটি সভ্য সমাজে চলতে দেয়া যায় না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, জেলা প্রশাসন ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় যাবতীয় কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বানিজ্যিক হাব হিসাবে যেভাবে বিষয়টির প্রতিগুরুত্ব প্রদান করা দরকার প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে সেভাবে করা না গেলেও জেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আইনের দুর্বলতার পাশাপাশি সাধারন ভোক্তাদেরকে সচেতন করতে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে সরকারকে ব্যবসায়ী তোষণনীতির পরিবর্তে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার আহবান জানান। ব্যবসায়ীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ টিভি ও পত্রিকায় একতরফা বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্য বিক্রি করলেও ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। যার কারণে দেশে ন্যায্য ব্যবসা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের পৃষ্টপোষকতা প্রদানে রাজনৈতিক দল ও সরকারকে সতর্ক হবার আহবান জানিয়ে দেশের স্বার্থে সাধারণ মানুষের বিষয়গুলোর প্রতি আরও যত্নবানে হবার অনুরোধ করেন।

মুল প্রবন্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সাইদ আহসান খালিদ ভোক্তা সংরক্ষন আইন, নিরাপদ খাদ্য আইন ও ওষুধ ও কসমেটিক আইনে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি সরাসরি আদালতে মামলা করতে বাধার বিষয়টি দূর করা দরকার। এছাড়াও আইন প্রয়োগে অধিকাংশ জায়গায় শিথিলতার কারণে মানুষ আইন না মানার সংস্কৃত বন্ধে জোর দেন। একই সাথে আইন ও অধিকার সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করার ওপর গুরুত্বরোপ করেন।

এছাড়াও ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যকার বিরোধ নিস্পত্তিতে শালিসী কার্যক্রম জোরদার, পণ্যের মান পরীক্ষায় সুযোগ সুবিধা ও জনবল বাড়ানোর সুপারিশ করেন। সেমিনারে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি, ক্যাব চট্টগ্রাম এর প্রতিনিধিসহ সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশনেন।

চট্টগ্রামে ভোট দিতে কি পারবে তিন লাখ নতুন ভোটার ?

চট্টগ্রামে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে তিন লাখ নতুন ভোটার। এরমধ্যে রয়েছে ১৭ বছর বয়সী তরুণ নাগরিকও। আগামী বছরের মার্চ মাসে ১৮ বছর পূর্ণ হলে তারা ভোটার হিসেবে গণ্য হবে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তরুণদের ভাগ্যে কী হবে-এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

গত শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। এরপর নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয় নিয়ে ওই দিন শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের ঢাকা ও চট্টগ্রামের অন্তত ৫ জন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়।
তারা জানালেন, নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি গুছিয়ে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্রের তালিকা করা রয়েছে। যাচাই-বাছাই করে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। তবে বড় কাজ সরঞ্জাম কেনা।

সরকারের সংকেত পেলে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটার কার্যক্রম শুরু করবে কমিশন। এছাড়া নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মতে নির্বাচনী আইনের কিছু সংস্কারের সিদ্ধান্ত রয়েছে কমিশনের। তারমধ্যে ১৭ বছর বয়সী তরুণদের ভোটার করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে সরকারের। সরকারের নির্দেশনা পেলে তাদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশের আইন মতে, ১৮ বছর পূর্ণ বাংলাদেশের যেকোন নাগরিক ভোটার হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু গত জানুয়ারি মাসে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ বছর হলেও, তা কমিয়ে ১৭ বছর করা উচিত।

চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমদ বলেন, আগামী বছরের মার্চ মাসে ১৭ বছর বয়সী তরুণদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে। আইন অনুযায়ী তখনই তারা ভোটার হবেন। এখন আইন সংশোধন করে ১৭ বছর বয়সী তরুণ নাগরিকদের ভোটার করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সেভাবে কাজ করবে নির্বাচন কমিশন।তিনি বলেন, তরুণদের (ছাত্র-জনতা) গণ-অভ্যুত্থানে দেশে নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে তাদেরও দাবি রয়েছে। তাদের দাবি মানা যুক্তিযুক্ত।

মো. বশির আহমদ আরো জানান, ভোটের কার্যক্রম অনেকটা গুছানো রয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে তালিকা করা হয়েছে। কিছু কেন্দ্র পরিবর্তন করা হতে পারে। ভোটারদের কাছ থেকেও আবেদন-আপত্তি গ্রহণ করা হবে। সব যাচাই-বাছাই করে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করা হবে।

জানা গেছে, হালনাগাদ তিন লাখ ৪ হাজার ২৮৩ জন ভোটার। ২০২৬ সালের মার্চের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন না। কারণ ২ মার্চ ভোটার তালিকা ঘোষণা করা হয়। আইনে সংশোধন আনা হলে তারা ভোট দিতে পারবেন।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে ভোটার ছিল ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৩ জন। সেই ভোটার তালিকা থেকে হালনাগাদে ৯৩ হাজার ৮৩৭ জন মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আর ২৪ হাজার ৭৯৯ জন ভোটার স্থান বদল করেছেন।
গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ২০২২টি। ভোটকক্ষ ছিল ১৩ হাজার ৮৫৭টি। গত নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে ২৭৫টি কেন্দ্র জরাজীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সম্ভাব্য এসব ভোটকেন্দ্রের দরজা-জানালা, বিদ্যুৎ, পানি, রাস্তাঘাটসহ সার্বিক অবস্থা সংস্কার-মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ