
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে পাসপোর্ট অধিদফতরের ৮ জন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান সংক্রান্ত টিম তাদের সমন্বিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অভিযোগ রয়েছে, বেনজীর আহমেদ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেন। এই ঘটনার সাথে পাসপোর্ট অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট ৪ পরিচালক, ১ উপ-পরিচালকসহ ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতায় বসে ৩টি পাসপোর্টে নজিরবিহীন জালিয়াতি করেছিলেন বেনজীর আহমেদ। দিয়েছিলেন বায়বীয় ফোন নম্বর। সবশেষ আবেদনটি প্রায় ধরা পরে গেলেও র্যাব ডিজির প্রভাব খাটিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যান। সেখানেও দেন উদ্ভট ফোন নম্বর, যার কোনো অস্তিত্বই নেই দেশে।
এদিকে, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে দুদক থেকে দুই দফা তলব করা হলেও তারা সংস্থাটির ডাকে হাজির হননি। তবে তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন।