আজঃ শনিবার ১৪ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত ডাক্তার নার্স না থাকায় সেন্ট্রাল সিটি হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরীর সেন্ট্রাল সিটি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নার্স না থাকায় হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার নার্স না থাকা ও চিকিৎসাসেবা যথাযথ না থাকায় গত ৩ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে হাসপাতালটি বন্ধ করার নির্দেশনা এসেছে।

আমরা বৃহস্পতিবার চিঠি পাঠিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। এর আগে গত ৪ মার্চ হাসপাতালটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। সে সময় তিনি প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স না থাকা ও প্রতিষ্ঠানটির ল্যাবেও প্রয়োজনীয় জনবল না থাকার প্রমাণ পান। তা ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী যে সংখ্যক চিকিৎসক থাকার কথা তা না পাওয়ায় হাসপাতালটি সে সময় সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে আরও একজনের করোনা শনাক্ত।

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আরও একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত যুবক (২৭) নগরের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা।মঙ্গলবার বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারে পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। গত ৪ জুন, ৬ জুন ও ৯ জুনের করোনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এদের মধ্যে ২ জন নারী।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একজন। সরকারি পর্যায়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কিটের কিছুটা সংকট রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে। তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোনও সংকট নেই।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন জানান, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বিশেষ ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। করোনা থেকে বাঁচতে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

এদিকে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, চমেক হাসপাতাল, সিভাসু, বিআইটিআইডি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া চসিকের পক্ষ থেকে সার্ভিস সেন্টার চালু করা হবে। এই কেন্দ্র থেকে মানুষ করোনার বিষয়ে তথ্য পাবেন।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে ২০২০ সালে প্রথম করোনার সংক্রমণ শুরু হয়। এরপর দুই বছরে ১ লাখ ২৯ হাজার ৫১৭ জন রোগী চিকিৎসা নেন, মারা যান ১ হাজার ৩৭০ জন। আইসিডিডিআরবির গবেষকরা করোনার নতুন ধরন- এক্সএফজি ও এক্সএফসি শনাক্তের কথা জানিয়েছেন।

করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সচেতনতা : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, করোনার সম্ভাব্য নতুন সংক্রমণ মোকাবেলায় চট্টগ্রামের সব স্বাস্থ্যখাত-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করতে হবে। বুধবার চসিক নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় মেয়র নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সচেতন থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সময় মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে আগের মতো এবারও সফলভাবে করোনা মোকাবেলা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যারা কেউ বিদেশফেরত নন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তারা সংক্রমিত হয়েছেন,এটি স্থানীয় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার ইঙ্গিত।
সভায় সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক), বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিপিসিআর টেস্ট চালু থাকবে। নগরের বিভিন্ন স্থান ও চসিকের মেমন-২ হাসপাতালে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থাও থাকবে।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চসিকের মেমন-২ হাসপাতালকে দ্রুত কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও করোনা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রূ মারমা, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন এবং চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম সারোয়ার আলম, চিকিৎসক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সচেতনতা উল্লেখ করে মেয়র আরো বলেন, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস আবারও সকলে মেনে চলতে হবে। চসিক একটি সার্ভিস সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে নাগরিকরা ফোন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন বলেও মেয়র জানান।
তিনি আরও বলেন, গতবার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাস্ক, টিকা ও মেডিকেলসামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করেছে। এবার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট দল নিয়মিত বাজার তদারকিতে থাকবে। চসিকের ম্যাজিস্ট্রেটরাও প্রয়োজন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ