
আজ প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বেইজিং যাচ্ছেন। ভারত সফরের পরপরই দ্বিপাক্ষিক চীন সফরটিকে ভূরাজনৈতিক অবস্থান আর অর্থনৈতিক সংকটের বাস্তবতায় বাংলাদেশের জন্যে বেশ 'তাৎপর্যপূর্ণ' হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা কিংবা কতগুলি চুক্তি-সমঝোতা হবে সেটি জানায়নি।তবে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের জন্য এই সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এক কথায় জানান, চীন সফরে অগ্রাধিকার হবে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন।’চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বহুমাত্রিক। একক দেশ হিসেবে চীনের কাছ থেকেই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে এবং গত কয়েক বছর ধরে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রেও চীন বাংলাদেশের বিলিয়ন ডলার ক্লাবের সদস্য।চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নানান মাত্রা আছে। চীনে আমাদের অনেক ছাত্ররা যান। সুতরাং শিক্ষা, অবকাঠামো কালচারাল এক্সচেঞ্জ, আমাদের বাণিজ্য বিনিয়োগ সুবিধা এইসব বহুমাত্রিক একটা আলোচনা হবে বলে মনে হচ্ছে।
চীনের কাছ থেকে ঋণ করে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ।
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের পর বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতার স্তরে উন্নীত হয়।

এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ঢাকা-বেইজিং দ্বীপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন কী মাত্রা যুক্ত হয় এবং চীনের বৈশ্বিক রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশ কীভাবে কতটা যুক্ত হয়, সেদিকে দৃষ্টি থাকবে অনেকের।