আজঃ সোমবার ১২ মে, ২০২৫

নেত্রকোনা:

ইউপি উপনির্বাচনকে ঘিরে বারহাট্টায় বইছে ভোটের হাওয়া

রিপন গুন নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

বারহাট্রা:

উপজেলা নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনকে ঘিরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে শূন্য হওয়া চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে কাজী সাজ্জাদ হোসেন এবং ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মনোরঞ্জন সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আসন্ন উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ ছাড়াও হাট-বাজার, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন মহলের আড্ডায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা, বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। গণসংযোগের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চালাচ্ছেন ব্যাপক প্রচারণা। প্রার্থীদের পক্ষে চলছে মাইকিং। একই সময়ে প্রার্থীদের একাধিক মাইকিংয়ে সরগরম হয়ে উঠছে গোটা জনপদ।

বারহাট্টা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদে আমার বড় ভাই কাজী সাখাওয়াত হোসেন সর্বস্তরের জনগণের ভালবাসায় টানা তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি চলতি মেয়াদে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইয়ের মতো আমিও নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে মানুষের সেবা করার চেষ্টা করবো। আমি আশাবাদী জনগণ তারুণ্যের প্রতীক হিসাবে আমাকে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করবেন ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে- ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার ভিশন দৃশ্যমান করতে চাই। বারহাট্টা সদর ইউনিয়নকে একটি আধুনিক, উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট ও আধুনিক পরিষদ গঠনে নিরলস কাজ করে যাবো।

অপর প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মনোরঞ্জন সরকার বলেন, আমি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ভোটারদের ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। এবার আশা করছি সদর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

উপজেলা সদরের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীরই জনপ্রিয়তা রয়েছে। এখনও নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না কে হবেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের কান্ডারী?

উল্লেখ্য যে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে চলতি মেয়াদে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে গত ২১ এপ্রিল পদত্যাগ করেন কাজী সাখাওয়াত হোসেন। পরদিন শূন্য হওয়া চেয়ারম্যান পদে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে ইউপি সদস্য নূরুল আমিনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমরা কঠিন ও অস্বাভাবিক সময় অতিবাহিত করছি।

আমরা কঠিন ও অস্বাভাবিক সময় অতিবাহিত করছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে, তার প্রেতাত্মারা এখনো আছে। তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। দুর্ভাগ্য আমরা যাদের দায়িত্ব দিয়েছি, আমাদের দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য, তারা সঠিকভাবে এখনো কাজটি করতে পারছে না। ফলে মাঝে মাঝেই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, তাদের আরও শক্তিশালী করার সুযোগ করে দিচ্ছে।

শনিবার চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগের যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার’ প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, আজকে এখানে সমাবেশ হচ্ছে, আরেকটি হচ্ছে নিউমার্কেটে এবং আরেকটি হচ্ছে ঢাকায়। দাবিটা কী? আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে তাই না? আমরা মাঠে যারা আছি তারা শুধু নয়, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে দেখতে চায় না। কারণ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে।

গণতন্ত্র ধ্বংস, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে।আপনারা সংস্কার সংস্কার বলছেন, কিন্তু প্রথম সংস্কার করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদাতের পর নয়টি বছর পথে-ঘাটে ঘুরে ফিরে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। কিছু কিছু মানুষ সব ভুলে যায়। শুধু সুন্দর সুন্দর মুখরোচক কথা বললেই জাতি বোধ হয় সব ভুলে যাবে। তাদের বলব, আজকে সমাবেশটা দেখে যান, আপনাদের সম্বিৎ ফিরে এলে জাতি উপকৃত হবে। সোজা হিসাব বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও অধিকারকে প্রয়োগ করতে চায়। আমাদের তরুণরা চাকরি, ব্যবসা ও কর্মসংস্থান চায়। আমাদের মায়েরা ছেলেদের লেখাপড়া শেখাতে চায়।

তরুণরা জেগে উঠেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মাথা ঠান্ডা রেখে সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে হবে। আধুনিক ও উপযোগী একটি বাংলাদেশ করার শিক্ষা দিচ্ছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে আমরা কোনভাবেই কোনো কিছু করতে দেব না। বাংলাদেশের প্রশ্নে আমরা আপোস করবো না। তাই আমাদের নেতা বলেছেন, সবার আগে বাংলাদেশ। তিনি বলেছিলেন, ফয়সালা হবে রাজপথে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনয়িক তামিম ইকমাল, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান নাজিম প্রমুখ।

সমাবেশে বাংলাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে এবং কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের পথে কেউ যাতে রুদ্ধ করতে না পারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, আজকে এখানে তামিমকে দেখে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে চট্টগ্রামের তরুণরা আজকে ছক্কা মেরে দিয়েছে। এ-ই তরুণরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা হঠানোর মূল শক্তি। ওয়াসিম আকরামের জীবন দিয়ে এ আন্দোলন সফল করেছে। সেদিন ছাত্রদল যুবদল বুক পেতে দিয়েছে গুলির সামনে। গণতন্ত্র, মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তরুণরা লড়াই করেছে, সব অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই করেছে।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা ১৬-১৮ বছর আন্দোলন করেছি। মামলা, হামলা, গুম ও খুনের শিকার হয়েছি। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে অনেক নেতাকর্মীর। আমাদের নেতাকর্মীরা যার জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেছে, সেই গণতন্ত্র যেন কেউ জিম্মি করতে না পারে। এ রকম একটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আমির খসরু বলেন, কারো যদি দর্শন থাকে, ভাবনা থাকে, কর্মসূচি থাকে তাহলে তাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে। কিন্তু কারো স্বার্থের জন্য দেশকে জিম্মি করা যাবে না। মানুষের মধ্যে নতুন যে ভাবনা এসেছে তা বুঝতে হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে সে আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করতে হবে। নতুন

রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কথা শুনি, ৩১ দফার মধ্যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কথা অনেক আগে বলেছে বিএনপি। খালেদা জিয়া বলেছেন, তারেক রহমান বলেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কোনো দল তো সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জনগণের কাছে যেতে দেখিনি। আমরা কেন যাচ্ছি, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটের জন্য, জনগণ ভোট দিলে আগামীতে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হবে। সরকার গঠন করলে সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। এখানে কোন কিছু অস্পষ্ট নেই, দিনের আলোর মতো পরিস্কার।

খসরু বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু হয়েছে, এটা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। গণতন্ত্রের পথে কেউ যাতে রুদ্ধ করতে না পারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা শান্তি পূর্ণ ভাবে এগিয়ে যাবো, কারো উস্কানিতে পা দেওয়া যাবে না। এটা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত। আমরা নতুন সংস্কৃতি সৃস্টি করতে চাই, সহনশীল থাকতে হবে সবাইকে।

এর আগে সমাবেশে উপস্থিত হয় বক্তব্য দেন জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, আমি পলিটিক্যাল কেউ না। আমি একজন স্পোর্টসম্যান। তাই আমি স্পোর্টস নিয়ে কিছু কথা বলবো। একসময় মানে চট্টগ্রাম থেকে ৫-৬ জন করে ন্যাশনাল টিমে প্রডিউস করতো। কিন্তু লাস্ট ১০-১৫ বছর আগে সেরকম প্লেয়ার উঠে আসেনি।

তিনি বলেন, আমি চাইবো, আগামীতে যেন উঠে আসে। এজন্য কার জন্য কি প্রতিবন্ধকতা হয়েছে তা নয়। আমরা কেন ন্যাশনাল টিমে যেতে পারিনি তা দেখতে হবে। আর কি করলে আমরা স্পোর্টসে আরও অংশগ্রহণ করতে পারবো, অবদান রাখতে পারবো তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

এইদিন সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা গেছে, ছাত্র-শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সমর্থক ভিড় করছেন। কেউ হেঁটে, কেউ বাসে আর কেউ ট্রাকে করে আসছেন। কেউ আবার ঢাক-ঢোলের তালে তালে।

নেত্রকোণায় ব্রি ধান৯২ ও ব্রি হাইব্রিড ধান৮ এর নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

নেত্রকোণায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয় নেত্রকোণার আয়োজনে ও এলএসটিডি প্রকল্পের অর্থায়নে ব্রি কতৃক উদ্ভাবিত ধানের উফশী জাত ব্রি ধান৯২ ও ব্রি হাইব্রিড ধান৮ এর নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ( ০৭ মে ) দুপুরে জেলার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের দেওটুকোণ গ্রামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নেত্রকোণা জেলার উপপরিচালক জনাব মোহাম্মদ নূরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে ও ব্রি, নেত্রকোণা আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: খালিদ হাসান সৌরভ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলএসটিডি প্রকল্পের পরিচালক ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূর্বধলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: জোবায়ের হোসেন, ব্রি নেত্রকোণার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান মো: খালিদ হাসান তারেক। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ স্যাটেলাইট স্টেশন এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান নিমফিয়া পারভীন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হুর-ই-ফেরদৌসী তাজিন সহ কৃষি সম্প্রসারণ ও ব্রি নেত্রকোণা’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুধী সমাজ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ স্থানীয় শতাধিক কৃষক-কৃষাণীগণ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রি নেত্রকোণা সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, নেত্রকোণা আঞ্চলিক কার্যালয়ের তত্বাবধানে ব্রি’র অন্যান্য উফশী ধানের জাতের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন কৃষকের মাঝে গবেষণা ট্রায়ালের জন্য উফশী ও ব্রি উদ্ভাবিত হাইব্রিড ধানের স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় জাত সমূহের চাষ হয়েছে। এ বছর ধানের রোগবালাই ও পোকামাকড় কম থাকায় আশানুরূপ ফলনও হয়েছে।
স্হানীয় কৃষক মো: নূর উদ্দিন মন্ডল দুলাল জানান, তিনি এবার এক একর জমিতে ব্রি ধান৯২ চাষ করেছেন । অন্য ধানের তুলনায় অনেক বেশী ফলন হয়েছে। ব্রি নেত্রকোণার কর্মকর্তাগণ সকল ধরনের পরামর্শ ও তথ্য দিয়ে তাকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি ধান ও চাল বিক্রির পাশাপাশি বীজ সংরক্ষণ করবেন। অন্যান্য কৃষকদেরও তিনি এ ধানের জাত চাষ করার আহ্বান জানান।
আরেক কৃষক মোঃ আমিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, তার ব্রি হাইব্রিড ধান৮ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। হাইব্রিড সত্ত্বেও চাল চিকন হওয়ায় এর আলাদা কদর রয়েছে। শতাংশ প্রতি এক মণের বেশি ফলন হওয়ায় তার কাছে অন্যান্য কৃষক আগ্রহী হয়ে ভবিষ্যতে এ জাত চাষ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে কৃষক নূর উদ্দিন ও আমিনুলে’র জমিতে নমুনা শস্য কর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পরে তা মাড়াই করা হয়। সেখানে ব্রি ধান৯২ এর প্রদর্শনীকৃত জমিতে শতাংশ প্রতি প্রায় ১ মণ ও হাইব্রিড ধান৮ এর প্রদর্শনীকৃত জমিতে ১ মণের বেশি ফলন পাওয়া যায়। তারা সহ উপস্হিত কৃষকগণ এ ফলন দেখে আগামীতে উফশী এ জাতসমূহ চাষে আগ্রহী হন এবং ব্রি’র কর্মকর্তাগণকে ধন্যবাদ জানান।
ব্রি নেত্রকোণার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান খালিদ হাসান তারেক জানান, বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় ব্যপক পরিসরে উফশী জাতসমূহ চাষাবাদ প্রযোজন। আর এ জাতসমূহ কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ব্রি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রি, নেত্রকোণা আঞ্চলিক কার্যালয় এ অঞ্চলের কৃষকদের জন্য কিছু গবেষণা ট্রায়াল স্থাপন করেছে যাতে কৃষকরা ধানের নতুন জাতসমূহের বৈশিষ্ট্য ও ফলন সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করেন।
পূর্বধলা উপজেলা কৃষি অফিসার মো: জোবায়ের হোসেন ধানে উচ্চ ফলন পেতে সেচ ও সার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কৃষকদের ধারণা প্রদান করেন ও কৃষকদের ধানের চারা লাইন ও লঘুতে রোপণ করার পরামর্শ প্রদান করেন।
প্রধান অতিথি ড. মোফাজ্জল হোসেন তার বক্তব্যে রোগ ও পোকামাকড় চিহ্নিতকরণ, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা, নতুন জাতসমূহ ও এর উৎপাদনশীলতা সহ স্থানীয় পর্যায়ে ধানের বিভিন্ন জাতের উপযোগীতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ও উপস্থিত কৃষক কৃষাণীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ নূরুজ্জামান সুষম সার প্রয়োগ কি, এর প্রয়োগ মাত্রা, লাভ ও ফলনে প্রভাবের বিস্তারিত আলোচনা করেন পাশাপাশি উফশী ধানের নতুন জাতসমূহ যাতে সকল কৃষকের দোড়গোরায় পৌঁছে দেয়া যায় সে লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ব হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ