আজঃ শুক্রবার ১৩ জুন, ২০২৫

কল্লোল সুপার মার্কেট অবৈধভাবে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র: ব্যবসায়ীদের সংবাদ সন্মেলন

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চসিকের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী মিমি সুপার মার্কেট সংলগ্ন কল্লোল সুপার মার্কেট নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী দোকানিরা। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন তারা। কল্লোল সুপার মার্কেট দোকান-মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের অর্থ সম্পাদক খোকন মজুমদার লিখিত বক্তব্যে জানান, কল্লোল সুপার মার্কেটের মূল মালিক আতিয়া বানু।তিনি ১৯৮৮ সালে সিডিএ থেকে পাঁচতলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করার অনুমতি পান। তবে আর্থিক সংগতি না থাকার কারণে তিনি বিভিন্ন জনের কাছে নির্মিতব্য দোকানগুলোর পজেশন সালামির ভিত্তিতে হস্তান্তর করেন এবং ভিন্ন ভিন্ন তারিখে চুক্তিবদ্ধ হন। উক্ত চুক্তিপত্র মূলে কল্লোল সুপার মার্কেট দোকান-মালিক সমবায় সমিতির দোকানদাররা একদিকে দোকানগুলো নিজেই অলিওয়ারিশান স্থলবর্তী পরবর্তীক্রমে ভোগ দখল বা ব্যবসা বাণিজ্য করার অধিকার আইনানুগভাবে লাভ করেন। সম্পত্তির মূল মালিক আতিয়া বানু দোকান মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা সালামি নেন এবং তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন। সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ভবনটি কিনেছেন দাবি করে বেআইনি ও অবৈধভাবে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
দোকানদার এনামুল হক বরেন, কল্লোল সুপার মার্কেট নামীয় ভবনটি ১৯৮৯-৯০ সালে বহুতল ভবনের ফাউন্ডেশন দিয়ে শুধু তিনতলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। যার ভীত, ফাউন্ডেশন অত্যন্ত মজবুত ও সুদৃঢ় অবস্থায় এখনো আছে। এটি আরও ৬০-৭০ বছর পর্যন্ত নিশ্চিন্তে ব্যবহার উপযোগী। এরপরও মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর অপচেষ্টার অংশ হিসেবে কু-উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করতে উক্ত ভবনকে জরাজীর্ণ দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিয়ে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। যার ফলে ন্যায় বিচার পেতে সাধারণ দোকানদারগণ বিভিন্ন আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বলবৎ রয়েছে। কিন্তু তিনি যেনতেন প্রকারে মার্কেট গুটিয়ে দিয়ে ডেভেলপারের মাধ্যমে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন।
তিনি বলেন, কল্লোল সুপার মার্কেট নিয়ে ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেলে অর্ধশত পরিবার বাঁচবে। না হয় ন্যায্য বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আমাদের পরিবার, সন্তানদের নিয়ে পথে বসতে হবে। কারণ আমাদের পরিবারের যাবতীয় খরচের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম হলো আমাদের এই ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ মামুন, এনামুল হক, সরোয়ার আলম, জহিরুল ইসলাম, আবদুল হাফিজ জিসান প্রমুখ। এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মোহাম্মদ মামুন বলেন, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী কল্লোল সুপার মার্কেটটি দিদারুল কবির থেকে কিনেছেন ২০১৬ সালে। ভবন ভাঙার পরিকল্পনার আগে উনি আমাদের সঙ্গে বসেননি, আলোচনাও করেননি। ৩৩-৩৪ বছর ব্যবসা করে আসছি। ১৯৮৮ সালে সিডিএ ভবনের নকশা অনুমোদন দিয়েছে। এত কম সময়ে যদি ভবনের মেয়াদ চলে যায় তাহলে চট্টগ্রাম শহরের অর্ধেক ভবন ভেঙে ফেলতে হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

যানজটমুক্ত হচ্ছে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকা, ঈদযাত্রায় হতে পারে স্বস্তি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজায় আরও দুটি নতুন বুথ স্থাপন করা হয়েছে, ফলে মোট বুথ সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ১০টিতে। বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) তত্ত্বাবধানে থাকা এই টোল প্লাজায় যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নতুন এই দুটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। মূলত ঈদুল আজহার পূর্বে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিতে এবং দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারগামী যাত্রীদের সুবিধার্থে নতুন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত টোল প্লাজায় এসব বুথ স্থাপন করা হয়।

সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ চৌধুরী জানিয়েছেন, নতুন বুথগুলো চালু হওয়ায় এখন আর আগের মতো যানজট হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, শাহ আমানত সেতু, যা তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নামেও পরিচিত, কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম এক্সট্রাডোজড টাইপ সেতু। সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে এবং শেষ হয় ২০১০ সালের জুলাই মাসে। এটি
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯৫০ মিটার এবং প্রস্থ ২৪.৪৭ মিটার। এটি চার লেনবিশিষ্ট এবং দুই পাশে রয়েছে ১.৫ মিটার প্রশস্ত ফুটপাত। সেতুর নকশা করে যুক্তরাজ্যের রেনডেল পামার অ্যান্ড ট্রিটন (জবহফবষ চধষসবৎ ্ ঞৎরঃঃড়হ) এবং নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং এতে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (কঋঅঊউ) অর্থায়ন করে।

সেতুর নির্মাণে মোট ব্যয় হয় প্রায় ৫৯০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৩৭২ কোটি টাকা ছিল কুয়েত ফান্ডের ঋণ সহায়তা। মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৩৩৬ কোটি টাকা, এবং বাকি ব্যয় সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য সহায়ক অবকাঠামোর পেছনে ব্যয় হয়। সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই এটি চট্টগ্রাম মহানগরী ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বিশেষ করে আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া,

চন্দনাইশ ও কক্সবাজারসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক সংযোগ নিশ্চিত করে চলেছে। এটি চট্টগ্রাম নগরীর উপর থেকে ভারী যানবাহনের চাপ কমিয়ে দিয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
টোল আদায়ের দিক দিয়ে সেতুটি একটি গুরুত্বপূর্ণ
আয়ের উৎস। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেতু দিয়ে চলাচল করেছে ৭ লাখ ২৩ হাজার ৭৮৬টি যানবাহন এবং ওই মাসে টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৭১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭৬ টাকা। ২০২৩ সালে বার্ষিক টোল আদায় হয়েছে ৭৯ কোটি ১৯ লাখ ৮ হাজার ৩৮৭ টাকা এবং যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৯১ লাখ ২ হাজার ৪২৫টি। বর্তমানে টোল আদায়ের পুরো প্রক্রিয়াটি কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়, যা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।

নতুন দুটি বুথ চালু হওয়ায় সেতুর টোল প্লাজায় যান চলাচল আরও দ্রুত ও সহজ হবে এমনটি বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। অতীতে যেসব সময় দীর্ঘ যানজটে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হতো, এখন তা অনেকটাই কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা করছে। ঈদসহ যেকোনো জাতীয় ছুটি বা উৎসবের সময়ে এই অতিরিক্ত বুথগুলোর কার্যকারিতা আরও বেশি দৃশ্যমান হবে। সেতুটি কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক প্রবাহকে আরও গতিশীল করে তুলছে।

চট্টগ্রামে অধিক ভাড়া আদায় : বাস কাউন্টারকে জরিমানা ।

পবিত্র ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে দুরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার তালিকা দৃশ্যমান না রেখে যাত্রীদের কাছ থেকে বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অধিক ভাড়া আদায় করছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিআরটিএ’র সহযোগিতায় নগরীর বহদ্দারহাট ও চান্দগাঁও বাস টার্মিনালে এস.আলম, সাঙ্গু, সৌদিয়া ও হানিফসহ বিভিন্ন দুরপাল্লার বাস কাউন্টারে তদারকির পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযান চলাকালীন সড়ক পরিবহন

আইন, ২০১৮ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর আওতায় নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন না করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও লাইসেন্স সংক্রান্ত অনিয়মের কারণে দুই বাস কাউন্টারকে পৃথক ২ মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে কাউন্টারগুলোর প্রতি নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা স্পষ্টভাবে প্রদর্শনের নির্দেশনা প্রদানসহ সতর্ক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া মুমতাহিনা ও মোঃ ইসরাফিল জাহান। বিআরটিএ’র কর্মকর্তাবৃন্দ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ অভিযানে সহযোগিতা করেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়,

নগরবাসীর নিরাপত্তা, যাত্রীসাধারণের ন্যায্য ভাড়া নিশ্চিতকরণ ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে। ঈদসহ বিভিন্ন সময়ে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ